সিফিলিস
একটি যৌন বাহিত রোগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সিফিলিস (বাংলা: ফিরিঙ্গি রোগ বা গর্মি রোগ) স্পিরোসেত ব্যাকটেরিয়া ট্রেপনোমা প্যালিডাম উপজাত পেলিডাম দ্বারা সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ।[1][2] সংক্রমণের প্রাথমিক পথ যৌন সংস্পর্শ, তাছাড়াও রক্ত পরিসঞ্চালন, চুম্বন, চামড়ার আঘাত প্রাপ্তি এবং গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে ভ্রূণে সংক্রমিত হতে পারে। যাকে কনজেনিটাল সিফিলিস বলা হয়।
এই নিবন্ধটিতে একজন বিশেষজ্ঞের মনোযোগ প্রয়োজন। |
সিফিলিস | |
---|---|
ট্রেপোনেমা প্যালিডামের ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফ | |
বিশেষত্ব | সংক্রামক ব্যাধি |
লক্ষণ | দৃঢ়, ব্যথাহীন, চুলকানিহীন ত্বকের আলসার |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | রক্ত পরীক্ষা, সংক্রামিত তরলের অন্ধকার ক্ষেত্রের মাইক্রোস্কোপি |
চিকিৎসা | অ্যান্টিবায়োটিক |
সংঘটনের হার | ৪৫.৪ মিলিয়ন / ০.৬% (২০১৫, বিশ্বব্যাপী) |
মৃতের সংখ্যা | ১০৭,০০০ (২০১৫, বিশ্বব্যাপী) |
সিফিলিসের লক্ষণ এবং উপসর্গের উপর নির্ভর করে একে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায় (প্রাথমিক, দ্বিতীয়, সুপ্ত, এবং তৃতীয় পর্যায়)।[3] প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত একটি একক যৌনব্যাধিজনিত ক্ষত (একটি দৃঢ়, যন্ত্রণাহীন, চুলকানিবিহীন চামড়ার ক্ষত), দ্বিতীয় পর্যায়ের সিফিলিসে একটি বিকীর্ণ ফুসকুড়ি যা ঘন ঘন হাতের তালুতে এবং পায়ের পাতার নিচের অংশে, সুপ্ত সিফিলিসে সামান্য বা কোনো লক্ষণবিহীন অবস্থা, তৃতীয় পর্যায়ের সিফিলিসে গুমাস, স্নায়বিক বা হৃৎপিণ্ডঘটিত উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। যাইহোক, এর ঘন ঘন এটিপিকাল উপস্থাপনা কারণে তা মহান অনুকারক হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে।