সল্লেখনা
From Wikipedia, the free encyclopedia
সল্লেখনা, সল্লেখন (IAST: sallekhanā), সমলেহ, সন্থার, সমাধি-মরন বা সন্ন্যাসী-মরন নামেও পরিচিত;[1] জৈন ধর্ম্মমতে মনের ভিতরের সব বিকার, ক্রোধ, মান, মায়া, লোভ পরিত্যাগ করে খাদ্যবস্তুর পরিমাণ ক্রমে ক্রমে হ্রাস করে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ব্রহ্মশক্তিকে স্মরণ করতে করতে দেহত্যাগ করাকে সল্লেখনা, বা সন্থার বলে।[2] জৈনবাদের নৈতিক আচরণের একটি সম্পূরক ব্রত এটি। এটি খাদ্য এবং তরল গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করে স্বেচ্ছাসেবকভাবে উপোস রাখার ধর্মীয় অভ্যাস। [3] জৈনবাদে, মানবিক আবেগ ও দেহের পতন এবং শারীরিক ও মানসিক ক্রিয়াকলাপগুলি প্রত্যাহার করে পুনর্জন্মকে প্রভাবিত করার অন্যতম উপায় হিসেবে দেখা হয়। [4] জৈন পণ্ডিতরা একে আত্মহত্যা হিসাবে বিবেচিত করে না কারণ এটি আবেগ দ্বারা পরিচালিত নয় এবং এতে বিষ বা অস্ত্রের ব্যবহার নেই। সাল্লেখন ব্রত পালনের পরবর্তী ধর্মীয় আচার বছরজুরে চলতে পারে।
সল্লেখনা ব্রত জৈন সন্ন্যাসী ও সাধারণ গৃহী উভয়েই পালন করতে পারেন। [5] ঐতিহাসিক শীলা যেমন 'নিষিধি' শিলালিপি প্রমাণ করে জৈন ইতিহাসে রানী সহ পুরুষ ও মহিলা উভয়ই সল্লেখনা পালন করেছিলেন। তবে, আধুনিক যুগে, সল্লেখনের চর্চা নেই বললেই চলে। [6]
জীবনের অধিকার এবং ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গির স্বাধীনতার চর্চা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে, রাজস্থান হাইকোর্ট এই অনুশীলনটিকে আত্মহত্যা হিসেবে গন্য করে নিষিদ্ধ করেছিল।[7] সেই বছরই, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রাজস্থান হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে এবং সল্লেখনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।[8]