Loading AI tools
সল্টলেক সেক্টর ৫ মেট্রো স্টেশন বা বন্ধন ব্যাঙ্ক সল্টলেক সেক্টর ৫ মেট্রো স্টেশন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উপনগরী বিধাননগরে অবস্থিত। এই মেট্রো স্টেশন কলকাতা মেট্রো লাইন ২ -এর অন্তর্গত। লাইন ২- এর জন্য স্টেশন নির্মাণ সম্পূর্ণ ২০১৮ সালে এবং ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টেশনটি চালু হয়। [2] এই স্টেশনের ঠিক পাশে আই টি সেন্টার মেট্রো স্টেশনের নির্মাণের কাজ চলছে। যা কলকাতা মেট্রো লাইন ৬ -এর অন্তর্গত। ব্রিজ দ্বারা এই দুই স্টেশন যুক্ত থাকবে ইন্টারচেঞ্জ(অদলবদল) করার জন্য।
কলকাতা মেট্রো স্টেশন | |||||||||||||||||||||
অন্যান্য নাম | বন্ধন ব্যাঙ্ক সল্টলেক সেক্টর ৫ | ||||||||||||||||||||
অবস্থান | সেক্টর ৫, সল্টলেক, বিধাননগর | ||||||||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৪′৫৩″ উত্তর ৮৮°২৫′৪৭″ পূর্ব | ||||||||||||||||||||
মালিকানাধীন | কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন | ||||||||||||||||||||
লাইন | লাইন ২ (পরিচালনাগত) | ||||||||||||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ২ টি পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম | ||||||||||||||||||||
রেলপথ | ২ | ||||||||||||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||||||||||||
গঠনের ধরন | উত্তোলিত | ||||||||||||||||||||
পার্কিং | না | ||||||||||||||||||||
সাইকেলের সুবিধা | না | ||||||||||||||||||||
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ | ||||||||||||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||||||||||||||
ভাড়ার স্থান | কলকাতা মেট্রো লাইন ২ | ||||||||||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||||||||||
চালু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০[1] | ||||||||||||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | ২০১৮ | ||||||||||||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||
অবস্থান | |||||||||||||||||||||
তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০০৯ সালে নির্মাণ শুরু হয়।[3]
২০১৮ সালের জুলাই মাসে সেক্টর ৫ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে চলে মেট্রো ট্রেন। সিগন্যাল ও স্ক্রিন ডোরের কাজ শেষ না হওয়ায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যায় উদ্বোধন। প্রথম পর্বে সেক্টর ৫ থেকে ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের বদলে সল্টলেক স্টেডিয়াম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালে ট্রেন চালকদের প্রস্তুতির অভাবে পুজোর আগে ফের পিছিয়ে যায় স্টেশনটি'সহ রেলপথের উদ্বোধন। ওই বছরে নভেম্বর মাসে প্রস্তুতি শেষ হয়। কিন্তু কলকাতা মেট্রো সংস্থা তড়িঘড়ি প্রকল্প শুরু করতে চায়নি, ফলে দু’মাস পিছিয়ে যায় উদ্বোধন স্টেশনটির উদ্বোধন। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টেশনটি'সহ মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।[3][4][5][6][7]
কলকাতা মেট্রোর লাইন ২ -এর অন্তর্গত সল্ট লেক সেক্টর ৫ মেট্রো স্টেশনটি গঠনগতভাবে উত্তলিত মেট্রো স্টেশন।
স্টেশনের মোট ৩ টি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর বা ভূমি স্তরে স্টেশনের প্রবেশ পথ ও প্রস্থান পথ শুরু বা শেষ হয়। স্টেশনের প্রবেশ পথ ও প্রস্থান পথগুলি ইংরেজি ইংরেজি বর্ণ "এ", "বি", "সি" ও "ডি" দ্বারা চিহ্নিত। "এ" ও "বি" প্রবেশ পথ ও প্রস্থান পথ চাউলপট্টি রোডের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। "সি" ও "ডি" প্রবেশ পথ ও প্রস্থান পথ সল্টলেক বাইপাসের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। দ্বিতীয় স্তর বা এল১ বা মধ্যবর্তী স্তরে স্টেশনের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন এজেন্ট, মেট্রো কার্ড ভেন্ডিং মেশিন, ক্রসওভার প্রভৃতি অবস্থিত। তৃতীয় স্তর বা এল২ বা অন্তিম স্তরে প্ল্যাটফর্ম ও রেল ট্র্যাক অবস্থিত। স্টেশনের তৃতীয় স্তরটি টিনের ছাউনি দ্বারা আচ্ছাদিত। এই আচ্ছাদনটি ইস্পাতের বীম দ্বারা নির্মিত কাঠামোর উপরে স্থাপন করা হয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম দুটিতে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর রয়েছে।[8]
জি | রাস্তার স্তর | প্রস্থান / প্রবেশ |
এল১ | মধ্যবর্তী | ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন এজেন্ট, মেট্রো কার্ড ভেন্ডিং মেশিন, ক্রসওভার |
এল২ | পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ১, দরজা বাম খুলবে | |
পশ্চিমদিকগামী | দিকে →করুণাময়ী→ → | |
পূর্বদিকগামী | →দিকে ← ট্রেন প্রান্তিক← ← | |
পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ২, দরজা বাম খুলবে | ||
এল২ | ||
সড়ক থেকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে পৌছাতে বা টিকিট কাউন্টার থেকে সড়কে সহজে পৌছাতে স্টেশনে চারটি চলন্ত সিঁড়ির রয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার থেকে প্ল্যাটফর্মে পৌছাতে এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট কাউন্টারের স্তরের পৌছাতে চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। মেট্রো স্টেশনের ভিড়, টিকিট কাটার জন্য কতগুলি কাউন্টার খোলা আছে, কোন গেট দিয়ে ঢোকা-বেরোনা যাবে - এ সব তথ্য দেখানো হয় অত্যাধুনিক ডিসপ্লে বোর্ডে। আপ-ডাউন দুই লাইনের ট্রেনের সময়সূচিও ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শিত হয়।[9]
তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের কর্মীদের সুবিধার জন্য সেক্টর ৫ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার মোড়গুলিতে কেএমআরসিএলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করেছে নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষ। কলকাতার কোনও মেট্রো স্টেশনে এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য এমন বব্যস্থা নেই।[9]
স্টেশনে শৌচাগার, স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ও বয়স্ক এবং অশক্ত যাত্রীদের জন্য প্রতি স্টেশনে একাধিক লিফট এবং এসক্যালেটরের ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ফোন। কোনও যাত্রী সমস্যা দেখলেই ওই ফোন থেকে মেট্রোর কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবেন।[4]
প্ল্যাটফর্মে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর বা পিএসডি রয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়।[8] প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর- এর উচ্চতা ১.৭ মিটার।[8] দরজার প্রস্থ ২ মিটার।[8] ট্রেনের দরজার প্রস্থ ১.৪ মিটার।[8] যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তৈরি কাচের এই 'পর্দা' তৈরি হয়েছে মোবাইল ফোনের স্ক্রিন যে উপাদানে তৈরি, তা দিয়ে। সাধারণ কাচের থেকে এই উপাদান অনেক বেশি ঘাত সহ্য করতে পারে। ট্রেন ঢুকে না-দাঁড়ানো পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর বন্ধ থাকে। ট্রেনের দরজা প্ল্যাটফর্মের দরজার ঠিক সামনে দাঁড়ালে ইলেকট্রনিক সঙ্কেতের দ্বারা দুটো দরজা একসঙ্গে খুলে যায়। কোনও কারণে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে যদি ট্রেন দাঁড়ানোর পরেও দরজা না-খোলে, সে ক্ষেত্রে প্রতিটি স্ক্রিন ডোরের পাশে রয়েছে একটি 'ইমার্জেন্সি ডোর'। এই দরজা শুধুমাত্র ট্রেনের দিক থেকে খোলা হয়।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.