Loading AI tools
ভারতের রাষ্ট্রীয় আইন দিবস উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সংবিধান দিবস ( আইএএসটি: Samvidhāna Divasa ), (যা জাতীয় আইন দিবস নামেও পরিচিত) প্রতিবছর ২৬ নভেম্বর পালিত হয়। ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর ভারতের গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছিল।[1]
সংবিধান দিবস | |
---|---|
আনুষ্ঠানিক নাম | সংবিধান দিবস |
অন্য নাম | জাতীয় আইন দিবস |
পালনকারী | ভারত |
তাৎপর্য | ভারতের গণপরিষদ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে গ্রহণ করে |
উদযাপন | বিদ্যালয়ের সংবিধান সম্পর্কিত কার্যক্রম, সমতার জন্য দৌড়, সংসদের বিশেষ অধিবেশন |
শুরু | ১৯৫০ |
তারিখ | ২৬ নভেম্বর |
সংঘটন | বার্ষিক |
প্রথম বার | ২০১৫ |
সম্পর্কিত | ভারতের সংবিধান, সাধারণতন্ত্র দিবস (ভারত) |
ভারত সরকার ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর তারিখের এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৬ নভেম্বর তারিখটিকে সংবিধান দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ওই বছরের ১১ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুম্বাইয়ের দাদারে বি আর আম্বেদকরের 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় এই ঘোষণা করেন।[2]
২০১৫ খ্রিস্টাব্দটি ছিল ভারতের সংবিধানের প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকর (১৪ এপ্রিল ১৮৯১ - ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬) এর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী বছর। ভারত সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বছরটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[3][4][5] বর্ষব্যাপী উদযাপনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। আম্বেদকরের চিন্তা, ভাবনা ও ধারণা ছড়িয়ে দিতে সারা বছর ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। [4][6] তারই অঙ্গ হিসাবে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১১ অক্টোবর মুম্বাইয়ের দাদারে ইন্দু মিলস কম্পাউন্ডে আম্বেদকর স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় উদযাপনের অংশ হিসেবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে ২৬ নভেম্বর "সংবিধান দিবস" হিসাবে পালিত হবে।[7][8][9][10] ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর ভারত সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি উদযাপনের ঘোষণা দেয়।[11]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই যে, বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বাধীন সংবিধান রচনার খসড়া কমিটির ৩৮৯ জন সদস্যের (১৫ জন মহিলা সদস্যসহ) কঠিন পরিশ্রমে রচিত হয়েছিল ভারতের সংবিধান। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে উপস্থিত সদস্যদের উচ্চস্বরে ও দীর্ঘায়িত সমর্থনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের সংবিধান পাশকে স্বাগত জানান হয়েছিল। সংবিধান পাশ হওয়ার পর প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী যোদ্ধা দুই ভগিনী অরুণা আসফ আলী ও পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্য বিধাতা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে গণপরিষদের ঐতিহাসিক অধিবেশন শেষ হয়।[12] ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি সংবিধান আইনত কার্যকর হলে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের আগে প্রতিবছর ২৬ নভেম্বর তারিখটি জাতীয় আইন দিবস হিসাবে পালিত হত।[13]
ভারতে সংবিধান দিবস সরকারি ছুটির দিন নয়। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।
শিক্ষা ও সাক্ষরতা অধিদফতরের পরামর্শে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ও সাক্ষরতা কেন্দ্রের অংশগ্রহণকরীরা 'সংবিধানের প্রস্তাবনা' পাঠ করে। এছাডাও, তারা ভারতের সংবিধানের বিষয়ে অনলাইন এবং অফলাইনে কুইজ এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যের উপর অনেক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বক্তৃতাতেও অংশগ্রহণ করে থাকে।
উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমসাময়িক সমস্যা এবং উদ্বেগের বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে উপহাস সংসদ বা 'মক পার্লামেন্ট'এর আয়োজন করতে পরামর্শ দেয়, যাতে তারা সংসদীয় বিতর্কে যোগ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলতে পারে।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথম সংবিধান দিবস উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়, লখনউতে একটি সর্বভারতীয় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেখানে সমস্ত রাজ্যের ক্যুইজ বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করেছিল।[11]
বিদেশ মন্ত্রক বিদেশ মন্ত্রক সমস্ত বিদেশী ভারতীয় স্কুলগুলিকে ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসাবে উদযাপন করার নির্দেশ দেয় এবং দূতাবাসগুলিকে সেই জাতির স্থানীয় ভাষায় সংবিধান অনুবাদ করার এবং বিভিন্ন একাডেমি, লাইব্রেরি এবং ইন্ডোলজির অনুষদে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়। ভারতীয় সংবিধান আরবি ভাষায় অনুবাদের কাজ শেষ হয়েছে।[11][14] ক্রীড়া বিভাগ "সমতার জন্য দৌড়" নামে প্রতীকী দৌড়ের আয়োজন করে।[11][15] সংবিধান ও আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে ভারতীয় সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনও ছিল। এ উপলক্ষে সংসদ ভবন চত্বরেও আলোকমালায় সজ্জিত করা হয়। [11]
অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর বিশাখাপত্তনমের বিচ রোডে ৭০ তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে 'রান ফর আম্বেদকর' সমাবেশে যোগ দিয়েছিল।[16]
২০২৩ খ্রিস্টাব্দের সংবিধান দিবস উদযাপনে।[17] মণিপুরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নংথোম্বাম বীরেন সিং ইম্ফলের মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের ক্যাবিনেট হলে সংবিধানের ১০৫ তম সংশোধনীসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সংবিধানের দ্বিভাষিক সংস্করণ ইংরাজী ও মৈতৈ লিপিতে প্রকাশ করেন।[18][19][20] । দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই প্রকাশনা।[21] তথা সংবিধানের দ্বিভাষিক সংস্করণটি মণিপুর রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস এবং পাবলিক লাইব্রেরিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।[22]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.