সংক্রমণ
সংক্রমণ বলতে কোন পোষক জীবের দেহকোষে রোগ সৃষ্টিকারী সংঘটকের অনুপ্রবেশ, আক্রমণ, সংখ্যাবৃদ্ধি, পোষ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সংক্রমণ বলতে কোন পোষক জীবের দেহকোষে রোগ সৃষ্টিকারী সংঘটকের অনুপ্রবেশ, আক্রমণ, সংখ্যাবৃদ্ধি, পোষকের দেহকলার সাথে সংঘটিত বিক্রিয়া এবং এর ফলে উৎপন্ন বিষক্রিয়াকে বোঝায়।[1][2] সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগকে সংক্রামক রোগ বা ছোঁয়াচে রোগ বলে। সংক্রমণের ইংরেজি পরিভাষা হল ইনফেকশন।
সংক্রামক রোগ | |
---|---|
ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপিতে ম্যালেরিয়া স্পোরোজয়েটের পাকতন্ত্রে চলাচল। | |
বিশেষত্ব | Infectious disease |
সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সংঘটক (এজেন্ট) যেমন- ভাইরাস, ভিরয়েড , প্রিয়ন, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোড (বিভিন্ন প্রকার কৃমি), পিঁপড়া, আর্থ্রোপড যেমন উকুন, এঁটুল, মাছি এবং বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক দ্বারা সংঘটিত হয়।
পোষক (হোস্ট) তাদের অনাক্রম্যতন্ত্র বা প্রতিরক্ষাতন্ত্র ব্যবহার করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। স্তন্যপায়ী পোষক প্রাণী জন্মদত্ত আনাক্রম্যতন্ত্র ব্যবহার করে, যার ফলশ্রতিতে প্রদাহ এবং অভিযোজিত প্রতিক্রিয়া হয়।[3]
সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট ঔষধগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া নিরোধক বা অ্যান্টিবায়োটিক, ভাইরাস নিরোধক (অ্যান্টিভাইরাল), ছত্রাক নিরোধক (অ্যান্টিফাঙ্গাল), প্রোটোজোয়া নিরোধক (অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল) এবং কৃমি নিরোধক (অ্যান্টিহেলমিনথিক) ঔষধ। সংক্রামক রোগে ২০১৩ সালে প্রায় ৯২ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে (ঐ বছর মোট মৃত্যুর প্রায় ১৭% )।[4] চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে শাখা সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করে, তাকে সংক্রামক রোগতত্ত্ব বলা হয়। [5]