শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী
From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর অংশ, এটি হচ্ছে দেশটির সমুদ্র-সামরিক বাহিনী। যেহেতু শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপ দেশ তাই দেশটিতে নৌবাহিনীর গুরুত্ব ব্যাপক, নৌবাহিনীর সমর দায়িত্ব সহ তারা অনেক কাজ করে যেমনঃ মাদক চোরাচালানীদের গ্রেফতার, অবৈধ কোনো জাহাজ আটকানো, জলদস্যুদের শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি।
শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী | |
---|---|
![]() | |
সক্রিয় | ৯ ডিসেম্বর ১৯৫০; ৭৩ বছর আগে (1950-12-09) |
দেশ | ![]() |
ধরন | সমুদ্র-সামরিক বাহিনী |
ভূমিকা | সমুদ্র পথে যুদ্ধ, জাহাজ যুদ্ধ, সমুদ্র নিরাপত্তা |
আকার | আনুমানিক ৫০,০০০ জন কর্মকর্তা এবং নাবিক[1] |
অংশীদার | প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (শ্রীলঙ্কা) |
নৌবাহিনী সদর-দপ্তর | এসএলএনএস পরাক্রম, কলম্বো |
নীতিবাক্য | රට වට බැදි රන් වැට বাংলা:"দেশের চারিদিকে সোনালি বেড়া" |
বার্ষিকী | ৯ই ডিসেম্বর (নৌবাহিনী দিবস) |
যুদ্ধসমূহ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৭১ জেভিপি আন্দোলন দমন জেভিপি বিদ্রোহ দমন অভিযান ১৯৮৭-৮৯ শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ |
ওয়েবসাইট | www |
কমান্ডার | |
নৌবাহিনী কমান্ডার | একজন ভাইস এ্যাডমিরাল |
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | এ্যাডমিরাল ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো এ্যাডমিরাল ডি. এ. এম. আর. সামারাসেকারা এ্যাডমিরাল ট্রাভিস সিন্নিয়াহ |
প্রতীকসমূহ | |
নেভাল এনসাইন | ![]() |
নেভাল জ্যাক | ![]() |
এই বাহিনী ব্রিটিশদের রাজকীয় নৌবাহিনীর তৈরি করে যাওয়া, তারা এই বাহিনীর নাম রয়্যাল সিলন নেভি রেখেছিলো ১৯৩৯ সালে, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার দুই বছর পর ১৯৫০ সালের ৯ই ডিসেম্বর স্বাধীন শ্রীলঙ্কার প্রথম নৌবাহিনী আইন (নেভি এ্যাক্ট) প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭২ সালে সিলনের নাম শ্রীলঙ্কা হয়ে গেলে সিলন নেভি শ্রীলঙ্কা নেভি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সহ এই নৌবাহিনী ১৯৭১ সালের জেভিপি (কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দল) এর জঙ্গি হামলা মোকাবেলা সহ শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে উভচর যুদ্ধ সহ নৌযুদ্ধও করেছে।[1] এই বাহিনীর প্রধান অধিনায়ক একজন ভাইস এ্যাডমিরাল থাকেন।[2]
সত্তরের দশকের মাঝখান দিক থেকে এই বাহিনীতে নারী নাবিক এবং কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, নারীদের নাবিকদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার সুযোগ থাকলেও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কমান্ডারের বেশি পদমর্যাদা দেওয়া হয়না, যদিও ইন্দ্রনী ওয়াই অমরসিংহ নামের একজন নারী ডাক্তার ক্যাপ্টেন পদবী পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছিলেন ২০০০-এর দশকে যাকে অবসরের আগে কমোডোর পদবী দেওয়া হয়।[3]