Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শ্রীপুর পৌরসভা বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা।
শ্রীপুর | |
---|---|
পৌরসভা | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | গাজীপুর জেলা |
উপজেলা | শ্রীপুর উপজেলা |
সরকার | |
• মেয়র | আনিছুর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৪৬.৯৭ বর্গকিমি (১৮.১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,১৫,৭০০ |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
শ্রীপুর পৌরসভা রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ৬৫ কি: মি: এবং গাজীপুর জেলা শহর হতে ৩০ কি: মি: উত্তরে অবস্থিত। শ্রীপুর পৌর এলাকার উত্তরে তেলিহাটি ইউনিয়ন, উত্তর-পূর্বে বরমী ইউনিয়ন, দক্ষিণে রাজাবাড়ী ইউনিয়ন, পূর্বে গোসিংগা ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে মাওনা ইউনিয়ন। শ্রীপুর পৌর এলাকার ৫নং ও ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন। শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত রেললাইনটি রাজধানী ঢাকাসহ গাজীপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জ হয়ে ভৈরব পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও অন্যান্য সংযোগ সড়কের মাধ্যমে শ্রীপুর পৌরসভা দেশের সকল জেলা ও উপজেলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
শ্রীপুর পৌর এলাকায় কোন নদী নেই এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য এলাকা হতে উঁচু ও বন্যামুক্ত। সরকার কর্তৃক শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে একটি ছোট্ট ভূমিহীন বসতি প্রতিষ্ঠিত হয়,বসতির নামকরণ করা হয় "বনরূপা (গুচ্ছগ্রাম)" বনরূপা গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ-মাদ্রাসা রয়েছে,বনরূপা গ্রামের দক্ষিণে হেলিপেঠ মাঠ রয়েছে, দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রাম ও শ্রীপুর মৌজার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে পৌরসভার সরকারি কবরস্থান অর্থাৎ পৌর কবরস্থান অবস্থিত। "বনরূপা (গুচ্ছগ্রামের)" পশ্চিমে ছৌক্কার খাল শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর-মাওনা সড়ক হতে শুরু হয়ে ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সীমানা দিয়ে অতিক্রম করে ৪নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গড়গড়িয়া খালের সাথে মিলিত হয়েছে, এবং কেওয়া বাইদের খাল ৪নং ওয়ার্ডের আনসার রোডে হতে শুরু হয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গড়গড়িয়া খালের সাথে মিলিত হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের গড়গড়িয়া খালের পানি ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সীমানা বরাবর অতিক্রম করে লবলং খাল দিয়ে পৌর এলাকার বাইরে মনিপুর-আওলাতলি খাল হয়ে মীর্জাপুরের তুরাগ নদীতে পতিত হয়েছে। [1]
পৌরএলাকার পূর্ব দিকে শ্রীপুর-গোসিংগা রোডের উভয় পাশে বিশাল অরণ্য রয়েছে।
গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার- শ্রীপুর, উজিলাব, লোহাগাছ ও কেওয়াসহ মোট ৪টি মৌজার ৪৬.৯৭বর্গ কি:মি: এলাকা নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত। পৌর এলাকার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌরভবন, উপজেলা প্রসাশন অফিস, উপজেলা পরিষদ অফিস, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, শ্রীপুর থানা অবস্থিত। প্রশাসনিক অন্যান্য অফিসও স্থাপনাগুলো শ্রীপুর পৌরএলাকার অভ্যতরেই প্রতিষ্ঠিত। [2]
৯টি ওয়ার্ড সমন্বয়ে গঠিত পৌরএলাকা হলো- ০১নং ওয়ার্ড (শ্রীপুর উত্তর, বাগমারা উত্তর, উজিলাব পূর্ব); ০২নং ওয়ার্ড- (শ্রীপুর দক্ষিণ, ভাংনাহাটি -১, বাগমারা দক্ষিণ); ০৩নং ওয়ার্ড (লোহাগাছ, গুচ্ছগ্রাম বা বনরূপা); ০৪নং ওয়ার্ড (ভাংনাহাটি-২, ভাংনাহাটি-৩, চাপিলাপাড়া,
বৈরাগিরচালা); ০৫নং ওয়ার্ড (কেওয়া পূর্ব খন্ডাংশ-১, গিলারচালা, বেতজুরী, মাধখলা); ০৬নং ওয়ার্ড (কেওয়া পূর্ব খন্ডাংশ-২, উজিলাব পশ্চিম); ০৭নং ওয়ার্ড (চন্নাপাড়া, দোখোলা, বেরাইদেরচালা); ০৮নং ওয়ার্ড (কেওয়া পশ্চিম খন্ড অংশ-১); ০৯নং ওয়ার্ড (কেওয়া পশ্চিম খন্ড অংশ -২, বহেরারচালা)। [3]
গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর, উজিলাব, লোহাগাছ ও কেওয়াসহ মোট ৪টি মৌজার ৪৬.৯৭বর্গ কি:মি: এলাকা নিয়ে নভেম্বর ২০০০ সালে ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে শ্রীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে শ্রীপুর "গ" শ্রেণীর পৌরসভা থাকলেও মার্চ ১১, ২০০৭ইং তারিখে এটি "খ" শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়।
উল্লেখযোগ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান: শ্রীপুর থানা, মাওনা হাইওয়ে থানা, শ্রীপুর সিভিল ডিফেন্স এন্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।
শ্রীপুর পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকারের ৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারমধ্যে কাওমি মাদ্রাসা ০৪টি, মাদ্রাসা ০৫টি, কলেজ ০৬টি, স্কুল এবং কলেজ ০৮ টি, উচ্চ-বিদ্যালয় ০৬টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯টির মধ্যে সরকারী ১৪টি, বেসরকারী ৫টি।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.