Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মির্জা শাহ সুজা(২৩ জুন ১৬১৬ – ৭ ফেব্রুয়ারি ১৬৬১)[1] তিনি শাহ সুজা হিসেবে বেশি পরিচিত, বাংলার সুবাদার মোগল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি বাংলার সুবাদার ছিলেন ১৬৩৯ থেকে ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।[2] তিনি আপন ভাই শাহ জামানকে সরিয়ে সাত বছর ধরে মসনদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
শাহ সুজা | |
---|---|
মুঘল শাহজাদা | |
জন্ম | ২৩ জুন ১৬১৬ |
মৃত্যু | ১৬৬০ (বয়স ৪৩–৪৪) |
বংশধর | সুলতান অইন-উদ-দিন, বুলন্দ আখতার, জয়নুল আবেদীন,গুলরুখ বানু,রোশনারা বেগম,আমিনা বেগম |
রাজবংশ | তৈমুর |
পিতা | শাহ জাহান |
মাতা | মুমতাজ মহল |
ধর্ম | ইসলাম |
শাহ সুজা ১৬১৬ সালের ২৩ জুন আজমিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুঘল সম্রাট শাহজাহান এবং তার রানী মমতাজ মহলের দ্বিতীয় পুত্র ও চতুর্থ সন্তান ছিলেন। শাহজাহানের সৎ মা সম্রাজ্ঞী নুর জাহান প্রিন্স শাহ সুজাকে তার জন্মের পর দত্তক দেন। তার উচ্চ পদমর্যাদা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং জাহাঙ্গীরের তার প্রতি স্নেহের কারণে তাকে এই নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সুজা তার পিতামহ সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিশেষ প্রিয় হওয়ায় সম্রাজ্ঞীর জন্যও এটি একটি সম্মানের বিষয় ছিল।[3]
সুজার ভাইবোন ছিলেন বড় বোন জাহানারা বেগম, দারা শিকোহ, রোশেনারা বেগম, আওরঙ্গজেব, মুরাদ বাক্ষ, গৌহারা বেগম এবং অন্যান্যরা। তার তিন ছেলে ছিল - সুলতান জৈন-উল-দিন (বন সুলতান বা সুলতান ব্যাং), বুলান্দ আখতার এবং জৈনুল আবেদিন; এবং চার মেয়ে - গুলরুখ বানু, রোশেনারা বেগম এবং আমিনা বেগম।[4]
শাহ সুজা ১৬৩৩ সালের ৫ মার্চ শনিবার রাতে রুস্তম মির্জার মেয়ে বিলকিস বানু বেগমকে প্রথম বিয়ে করেন। রাজকুমারী জাহানারা বেগম এই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। নগদ ১,৬০,০০০ টাকা এবং এক লক্ষ টাকার পণ্য সচক হিসাবে মির্জা রুস্তমের প্রাসাদে পাঠানো হয়েছিল। ১৬৩৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ টাকার বিয়ের উপহার প্রদর্শন করেন জাহানারা বেগম ও সাতি-উন-নিসা খানম।[5] পরের বছর তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। তাকে বুরহানপুরে খারবুজা মহল নামে একটি পৃথক সমাধিসৌধে সমাধিস্থ করা হয়।[6] তার মেয়ের নাম দিলপাজির বানু বেগম নাম দেন শাহজাহান,[7] যিনি শিশু অবস্থায় মারা যায়।
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি শাহজাহানের শাসনামলে বাংলার দ্বিতীয় গভর্নর আজম খানের কন্যা পিয়ারি বানু বেগমকে[8] বিয়ে করেন।[9][10] তিনি দুই পুত্র ও তিন কন্যার মা ছিলেন,[11]যথা প্রিন্স জাইন-উদ-দিন মির্জা, জন্ম ২৮ অক্টোবর ১৬৩৯; প্রিন্স জাইন-উল-আবেদীন মির্জা, জন্ম ২০ ডিসেম্বর ১৬৪৫; গুলরুখ বানু বেগম (প্রিন্স মুহাম্মদ সুলতানের স্ত্রী), রাউশান আরা বেগম এবং আমিনা বানু বেগম।[12] ১৬৬০ সালে তিনি তার স্বামী, পুত্র ও কন্যাদের নিয়ে আরাকানে পালিয়ে যান। সুজা ১৬৬১ সালে খুন হন। তার ছেলেদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পিয়ারি বানু বেগম এবং তার দুই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আরেক মেয়ে আমিনা বানু বেগমকে প্রাসাদে নিয়ে আসা হয়, যেখানে শোক থেকে মারা যান।[13]
স্থাপত্যকর্মের প্রতি তার বিশেষ অনুরাগ ছিল। ঢাকা থেকে তিনি মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করলেও ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল তার সময়ে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপনাটি হলো বড় কাটরা, আরো আছে হোসেনি দালান, ধানমন্ডির শাহী ঈদগাহ এবং লালবাগ মসজিদ। এ ছাড়া কুমিল্লায় রয়েছে শাহ সুজা মসজিদ।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.