শাখা (বেদ)
From Wikipedia, the free encyclopedia
শাখা (সংস্কৃত:शाखा) হল হিন্দু ধর্মতাত্ত্বিক সম্প্রদায়। এক-একটি শাখা এক-একটি নির্দিষ্ট বৈদিক ধর্মগ্রন্থ শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ অথবা এক-একটি শাখা এক-একটি নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থকে অনুসরণ করে।[3][4] নির্দিষ্ট শাখার অনুগামীকে বলে ‘শাখী’।[5] হিন্দু দর্শনে নাস্তিক শাখার অনুগামীকেও একই নামে ডাকা হয়।[6]
এই ধরনের বৈদিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে চরণ (অর্থাৎ, জীবনচর্যা বা ব্যবহার) শব্দটিও ব্যবহার করা হয়:[7] "’চরণ’ ও ‘শাখা’ শব্দদুটি কখনও কখনও সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হলেও, ‘চরণ’ শব্দটির দ্বারা একটি শাখায় আবদ্ধ একটি সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে বোঝায় এবং ‘শাখা’ শব্দটির ধারা তারা যে ধর্মগ্রন্থটিকে অনুসরণ করে তাকে বোঝায়। যেমন ‘শাখাং অধিতে’ শব্দটিতে (অর্থাৎ, ‘তিনি বেদের একটি নির্দিষ্ট সংস্করণ অধ্যয়ন করেন’) বোঝানো হয়েছে।"[4] প্রত্যেকটি শাখার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এগুলিকে ‘শাখাভেদঃ’ বা ‘বিভিন্ন (বৈদিক) শাখার ভেদ’ বলা হয়। প্রতিটি শাখা একটি নির্দিষ্ট বৈদিক সংহিতা শিক্ষা করে। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে সংযুক্ত ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, শ্রৌতশাস্ত্র, গার্হ্যসূত্র ও উপনিষদ্গুলিও শিক্ষা করে।[3][4]
হিন্দু সমাজের প্রথাগত নিয়মানুসারে, নির্দিষ্ট শাখার সঙ্গে সম্পর্কটি বর্ণ-পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ঋগ্বৈদিক যুগের শেষে ব্রাহ্মণ শব্দটি পুরোহিত শ্রেণীর সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু এই বর্ণের মধ্যেও জাতি ও শাখার বিভাজন অনুসারে উপবিভাগ থেকে যায়।[8] যে ব্রাহ্মণ নিজের শাখা পরিবর্তন করতেন তাঁকে ‘শাখারণ্ডঃ’ বা ‘শাখাদ্রোহী’ বলা হত।[3]