লুৎফুর রহমান বর্ণভী

লুৎফুর রহমান বর্ণভী (১৯১৬ – ১৯৭৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত,লেখক, সম্পাদক ও ইসলামি বক্তা। তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির শিষ্য ছিলেন। তিনি অরাজনৈতিক ইসলামি সংঘটন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।^{[1] [2] [3]}

মাওলানা লুৎফুর রহমান বর্ণভী
উপাধি	শায়খে বর্ণভী
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম	১৯১৬ ইং বরুণা, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
মৃত্যু	১৯৭৭(1977-00-00) (বয়স ৬০–৬১)
ধর্ম	ইসলাম
পিতামাতা	আব্দুল হামিদ (পিতা) হালিমা (মাতা)
জাতিসত্তা	বাঙালি
আখ্যা	সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র	হানাফি
আন্দোলন	দেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ	তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজ	জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
যেখানের শিক্ষার্থী	দারুল উলুম দেওবন্দ
মুসলিম নেতা
এর শিষ্য	হুসাইন আহমদ মাদানি

জীবনী

লুৎফুর রহমান বর্ণভী ১৯১৬ সালে সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানাধীন বরুণা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল হামিদ ও মাতা হালিমা। পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে কিছুকাল গাছবাড়ি জামিউল উলুম মাদ্রাসায় পড়ার পর ১৯৩৪ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ চলে যান। দেওবন্দে তিনি দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।^[4]

এরপর তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির হাতে বায়আত গ্রহণ করেন এবং খেলাফত লাভ করেন। দেশে ফিরে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মৌলভীবাজারে শিক্ষকতা শুরু করেন। এখানে ১০ বছর শিক্ষকতা করে তিনি নিজ গ্রাম বরুণায় জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪০ এর দশকে তিনি তদানীন্তন ভারতের মুসলমানদের ঐক্য ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনের প্রতিবাদে পল্টন ময়দানে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি সভাপতিত্ব করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন।^[5]

১৯৭৭ সালের ১৭ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।^[6]

আরও দেখুন

• দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা

তথ্যসূত্র

উদ্ধৃতি

1. https://www.qowmipedia.com/page/%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%96-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B0/
2. Harun, Mizan (২০১৮)। رجال صنعوا التاريخ وخدموا الإسلام والعلم في بنغلاديش للشاملة [Men Who Shaped History And Served Islamic Science In Bangladesh: A Comprehensive Perspective] (আরবি ভাষায়)। Dhaka: Darul Bayan। পৃষ্ঠা 299–304।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
3. https://anjumanehefajoteislam.com/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC/
4. নিজামপুরী ২০১৩, পৃ. ২৭২।
5. নূর, আহমেদ (৫ মে ২০২১)। "'হেফাজত' নামটাও ছিনতাই করা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
6. নিজামপুরী ২০১৩, পৃ. ২৭৫।

গ্রন্থপঞ্জি

• জাহাঙ্গীর, সালাউদ্দিন (২০১৭)। বাংলার বরেণ্য আলেম — ১ম খণ্ড (১ম সংস্করণ)। মধ্য বাড্ডা, আদর্শ নগর, ঢাকা: মাকতাবাতুল আযহার। পৃষ্ঠা ৩৩৫–৩৪৫।
• নজরুল ইসলাম, শাহ (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "আলোর মিনার শায়খে বর্ণভী (রহ.)"। দৈনিক জনতা।
• নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৭২–২৭৬। আইএসবিএন 112009250-7।
• লস্কর, মো. আজিজুর রহমান (১৩ ডিসেম্বর ২০১৫)। "স্মরণে শায়খে বর্ণভী রাহ."। কমাশিসা।