লিজে মাইটনার
অস্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
লিজে মাইটনার (১৮৭৮ - ১৯৬৮) একজন অস্ট্রীয়-সুয়েডীয় পদার্থবিজ্ঞানী যিনি নিউক্লীয় বিভাজন (Nuclear Fission) প্রক্রিয়ার প্রথম সফল ব্যাখ্যাতা হিসেবে বিখ্যাত।[3] তিনি তার ভ্রাতুষ্পুত্র অটো রবার্ট ফ্রিচ্-এর সাথে মিলে ফিশন বিক্রিয়ার নাম দেন। উল্লেখ্য ১৮৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন মাক্স প্লাংক মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছিলেন তখনই পদার্থবিজ্ঞান জগতের উজ্জ্বল চার নক্ষত্রের জন্ম হয় যারা সনাতন পদার্থবিজ্ঞানের বেড়াজাল ছিন্ন করে মানুষের চিন্তার ধারাকে বদলে দিয়েছেন। এরা হলেন লিজে মাইটনার, অটো হান, আলবার্ট আইনস্টাইন এবং মাক্স ফন লাউয়ে। এদের মধ্যে মাইটনার বাদে সবার জন্মই ১৮৭৯ সালে। মাইটনার জন্মান '৭৯ সাল শুরু হবার মাত্র দেড় মাস আগে। ম্যাক্স প্লাংক মজা করে তাই বলেছিলেন:
“ | যারা ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তাঁরা মূলত, পূর্বনির্ধারিত এবং এদের মধ্যে লিজে মাইটনারকে অবশ্যই গণনা করা হবে যদিও তিনি জন্মেছিলেন একটি ছোট্ট, কৌতূহলদ্দীপ্ত মেয়ে হিসেবে ১৮৭৮ সালের ৭ নভেম্বর অর্থাৎ যে সময়ে তার আসা উচিত ছিল সে সময়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে পারেন নি। | ” |
লিজে মাইটনার | |
---|---|
জন্ম | ৭ নভেম্বর ১৮৭৮[1][2] |
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ১৯৬৮(1968-10-27) (বয়স ৮৯) কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড |
নাগরিকত্ব | অস্ট্রিয়া (পূর্ব-১৯৪৯), সুইডেন (পরে-১৯৪৯) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | নিউক্লীয় বিভাজন |
পুরস্কার | লাইবেন পুরস্কার (১৯২৫) মাক্স প্লাংক পদক (১৯৪৯) এনরিকো ফের্মি পুরস্কার (১৯৬৬) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিদ্যা |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কাইসের উইলহেম সোসাইটি বার্লিন হামবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | ফ্রানজ এস এক্সনার |
অন্যান্য উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | লুডভিগ বোলৎসমান মাক্স প্লাংক |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | আর্নল্ড ফ্লেমার্সফেল্ড ওয়াং গনচাং নিকোলাস রিহেল |
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | ম্যাক্স ডেলবুর্ক হান্স হেলমান |
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন | নিউক্লীয় ফিশন |
স্বাক্ষর | |
টীকা | |
She was the aunt of Otto Robert Frisch. Her father was Philipp Meitner. |
বিংশ শতাব্দীর নারী বিজ্ঞানীদের মধ্যে মারি ক্যুরির পরেই তার নাম উচ্চারিত হয়ে থাকে। অবশ্য নোবেল পুরস্কার লাভের সৌভাগ্য তার হয়নি যদিও তা তার প্রাপ্য ছিল। অটো হান এবং তিনি একসাথেই প্রায় সকল গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু নোবেল পান অটো হান একা। ইহুদি হওয়ার কারণে তাকে জার্মানিও ছাড়তে হয়েছিল। বিজ্ঞানের প্রতি অবদানের তুলনায় স্বীকৃত পেয়েছেন বেশ কম। অবশ্য আইইউপিএসি ১০৯ টি রাসায়নিক মৌলের একটিকে তার নামে নামাঙ্কিত করেছে: মাইটনারিয়াম।[4][5][6]