![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a7/Basava_statue_crop.png/640px-Basava_statue_crop.png&w=640&q=50)
লিঙ্গায়েত ধর্ম
হিন্দুধর্মের একটি শাখা সম্প্রদায় / From Wikipedia, the free encyclopedia
লিঙ্গায়েত ধর্ম হল ভারতের শৈব ধর্মীয় সম্প্রদায়।[3][4][5][web 1] প্রথম দিকে এই মতবাদ বীরশৈব মতবাদ নামে পরিচিত ছিল। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী থেকে এই সম্প্রদায়ের অনুগামীরা ‘লিঙ্গায়েত’ নামে অভিহিত হতে থাকে। ‘লিঙ্গায়েত ধর্ম’ ও ‘বীরশৈবধর্ম’ শব্দ দু’টি বর্তমানে সমার্থক।[note 1] কিন্তু ‘বীরশৈবধর্ম’ শব্দটি বৃহত্তর ‘বীরশৈব দর্শন’ অর্থেও প্রযুক্ত হয়, যা লিঙ্গায়েত ধর্মেরও পূর্ববর্তী;[6] আবার এই শব্দটিই অধুনা ‘লিঙ্গায়েত’ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক সম্প্রদায়[7] এবং বৈদিক প্রভাবান্বিত আধুনিক একটি লিঙ্গায়েত (উপ)সম্প্রদায় অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[web 2][note 2]
![]() বসব, দ্বাদশ শতাব্দীর রাষ্ট্রনীতিবিদ, দার্শনিক, কবি ও লিঙ্গায়েত সন্ত | |
প্রতিষ্ঠাতা | |
---|---|
বসব (১১৩১–১১৬৭) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
কর্ণাটক | ১৭%[1] |
মহারাষ্ট্র | ৬%[2] |
ধর্ম | |
হিন্দুধর্ম (শৈব সম্প্রদায়) | |
ধর্মগ্রন্থ | |
বচন সাহিত্য • করণ হাসুগে • বাসবপুরাণ • শূন্যসম্পদনে • মন্ত্রগোপ্য | |
ভাষা | |
কন্নড় | |
সম্পর্কিত জাতিগত গোষ্ঠী | |
কন্নড় |
অধুনা কর্ণাটক অঞ্চলের দ্বাদশ শতাব্দীর দার্শনিক ও রাষ্ট্রনীতিবিদ বসব[8] লিঙ্গায়েত ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন অথবা এই ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলেন।[note 2] ‘লিঙ্গায়েত ধর্ম’ বলতে সমগ্র লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কেও বোঝায়, আবার বসবের মৌলিক চিন্তাধার প্রতি উৎসর্গিতপ্রাণ একটি সমসাময়িক (উপ)সম্প্রদায়কে, এবং এই সম্প্রদায়ের অন্তর্গত পৃথক ধর্মবিশ্বাস হিসেবে স্বীকৃতিকামী একটি আন্দোলনকেও বোঝায়। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের যুগে (খ্রিস্টীয় চতুর্দশ-অষ্টাদশ শতাব্দী) লিঙ্গায়েত পণ্ডিতেরা উত্তর কর্ণাটক অঞ্চলে সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠেছিলেন। একবিংশ শতাব্দীকে কোনও কোনও লিঙ্গায়েত হিন্দুধর্ম ও বীরশৈবধর্ম থেকে পৃথক এক ধর্মের আইনগত স্বীকৃতি দাবি করেছেন।[5][9][web 1][note 3] ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-শাসিত কর্ণাটক সরকারের যুগে সেই দাবি রাজনৈতিক সমর্থন অর্জন করলেও অন্যেরা তার বিরোধিতা করে।[5][web 3][web 2]
লিঙ্গায়েত ধর্মকে সাধারণভাবে একটি হিন্দু সম্প্রদায়ই মনে করা হয়।[10][web 1][note 4] কারণ লিঙ্গায়েতদের ধর্মবিশ্বাসে অনেক হিন্দু ধ্যানধারণার উপাদান বিদ্যমান।[9][note 5] লিঙ্গায়েতদের পূজা সর্বজনীন ঈশ্বর রূপে শিবকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই পূজা করা হয় ‘ইষ্টলিঙ্গ’-এর আকারে।[3][5][note 6] লিঙ্গায়েতরা বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। এই মতবাদের দার্শনিক ভিত্তিটির সঙ্গে একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতীয় দার্শনিক রামানুজের দর্শনের মিল পাওয়া যায়।[web 1] লিঙ্গায়েতরা জাতিভেদ প্রথা সহ সব ধরনের সামাজিক বৈষম্যের বিরোধী।[11]
বর্তমান যুগে লিঙ্গায়েত ধর্ম দক্ষিণ ভারতে, বিশেষত কর্ণাটক রাজ্যে প্রভাবশালী।[5][12] লিঙ্গায়েতরা তাদের ধর্মগুরুদের জন্মজয়ন্তী পালনের পাশাপাশি শিবরাত্রি ও গণেশচতুর্থীর মতো হিন্দু উৎসবও পালন করে।[13][14][15] লিঙ্গায়েতদের নিজস্ব তীর্থস্থান, মন্দির, পূণ্যস্থান ও ধর্মীয় কবিতাও আছে, যার সবই শিবকেন্দ্রিক।[16] বর্তমানে লিঙ্গায়েত, শৈব সিদ্ধান্ত মতানুগামী, নাথ, পাশুপত, কাপালিক ও অন্যান্যদের নিয়ে শৈব সম্প্রদায় গঠিত।[web 4][note 7]