রোমান পুরাণ
প্রথাগত রোমান সাহিত্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
রোমান পুরাণ হচ্ছে প্রথাগত গল্প যার ভিত্তি হচ্ছে রোমান সাহিত্য এবং ভিজ্যুয়াল আর্টসে ফুটে ওঠা প্রাচীন রোম এর কিংবদন্তি ও ধর্মীয় ব্যবস্থা। রোমান পুরাণ বলতে এই উপস্থাপণার আধুনিক গবেষণাকেও বোঝায় এবং উপস্থাপনার বিষয় যে কোন সময়ের অন্যান্য সংস্কৃতির সাহিত্য ও শিল্পকর্মে প্রকাশিত বিষয়বস্তুও হতে পারে।
রোমীয়গণ তাদের প্রথাগত বর্ণনা সে অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত উপাদান যাই হোক ঐতিহাসিক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তাদের গল্পগুলো প্রায়শই রাজনীতি ও নৈতিকতা এবং সম্প্রদায় বা রোমান রাজ্যের প্রতি ব্যক্তির দায়িত্ব সম্পর্কিত। বীরত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ থিম। গল্পগুলোতে রোমান ধর্মীয় চর্চা প্রতিফলিত হয় যা ধর্মতত্ত্ব বা কসমোজেনির তুলনায় আচার, পালন এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত।[1]
রোম এর প্রাকইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইতালীয় উপদ্বীপে গ্রীক ধর্মের ব্যাপক প্রভাব থাকায় রোমান ধর্ম ও পৌরাণিক কাহিনী অধ্যায়ন বেশ জটিল এবং পরবর্তীতে রোমান লেখকগণ গ্রীক সাহিত্য মডেল অনুকরণ কর শিল্পকর্ম তৈরী করে। ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে রোমানুণ গ্রীকদের মত নিজেদের দেবতার পরিচয় নির্ধারণে উৎসাহী ছিলো এবং তারা গ্রিক দেবতার গল্পগুলো নিজেদের দেবতাদের নামে অনুবাদ করে।[2] রোমের প্রথমদিকের কাল্পনিক এবং পৌরাণিক কাহিনীর সঙ্গে এট্রুসক্যান ধর্মের গতিশীল সম্পর্ক ছিলো কিন্তু গ্রীকদের চেয়ে কম নথিভুক্ত হয়েছে।
রোমান পুরাণে গ্রীক সাহিত্যের মত ঐশ্বরিক চরিত্রের বর্ণনায় বেশ কিছুটা ঘাটতি দেখা যায়[3]। গ্রিক পুরাণ এর বিভিন্ন চরিত্রের মত রোমুলাস এবং রেমাস দুগ্ধপোষ্য মেয়ে-নেকড়ে বিখ্যাত, ট্রোজান হর্সব্যতীত।[4] কারণ মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর সময় থেকে ল্যাটিন সাহিত্য সমগ্র ইউরোপে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলো। রোমানদের গ্রীক পুরানের অনুবাদিত ব্যাখ্যা এবং গ্রীক উৎসের তুলনায় "শাস্ত্রীয় পুরাণের" সচিত্র উপস্থাপনা একে সুপরিচিত করে তোলে। ওভিদ'র মেটামরফসিসে লিখিত গ্রীক পুরাণ অগাস্টাসের সময়ে লিখিত যা ক্যানোনিকাল হিসেবে পরিচিত হয়।