Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী (লেখক নাম: রাশিদ আসকারী; জন্ম: ১ জুন ১৯৬৫) একজন বাংলাদেশী লেখক, কলাম লেখক, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক, রাজনীতি বিশ্লেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ১২তম উপাচার্য ছিলেন।[1][2][3][4] ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন[5] এবং ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন।[6]
হারুন-উর-রাশিদ আসকারী | |
---|---|
১২তম উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ | |
কাজের মেয়াদ ২১ অগাস্ট ২০১৬ – ২০ অগাস্ট ২০২০ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল হাকিম সরকার |
উত্তরসূরী | শেখ আব্দুস সালাম |
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ২৪ জুলাই ২০২৪ – ১০ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মুহম্মদ নূরুল হুদা |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ আজম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আসকারপুর, মিঠাপুকুর উপজেলা, রংপুর, বাংলাদেশ | ১ জুন ১৯৬৫
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাসুমা ফেরদৌস |
সন্তান | হুমায়ুন রাশিদ আসকারী (পুত্র) রোজা আসকারী (কন্যা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী |
|
পেশা | শিক্ষক, লেখক, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ |
স্বাক্ষর |
১৯৬৫ সালের ১ জুন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার আসকারপুর গ্রামে মোঃ আবদুল মান্নান ও সেতারা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ে করেছেন মাসুমা ফেরদৌসকে। তাদের হুমায়ুন রাশিদ আসকারী ও রোজা আসকারী নামে দুই সন্তান রয়েছে।
আসকারী মাধ্যমিক পাশ করেন ১৯৮০ সালে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে রাজশাহী বোর্ড থেকে ১৯৮২ সালে ৫ম স্থান অধিকার করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন যথাক্রমে ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে। তিনি ভারতের পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি করেন ২০০৫ সালে।
তিনি ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেন এবং ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রফেসর হন। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালের কলা অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর এবং ইংরেজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[3][7] এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক ও ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[4][4] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগে একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।[8][9] ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট প্রফেসর আসকারী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন[10] এবং এই বিশ্ববিদ্যালের ইতিহাসে প্রথমবারের মত উপাচার্যের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ সমাপ্ত করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।[11]
রাশিদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখি করেন।[12] তিনি ২টি সম্পাদনা গ্রন্থসহ মোট ৮টি গ্রন্থ এবং শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম রচনা করেছেন। তবে পাঠকের কাছে ইংরেজি ভাষার প্রাবন্ধিক হিসেবে অধিক পরিচিত। বিশ্বকবি রবীন্দ্রানাথ ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবার্ষিকীতে ঠাগোর'স রাইটিং ইন ইংলিশ নামে তিন খণ্ডের বই সম্পাদনা করেন। ২০২১ সালে বাংলা একাডেমীর বইমেলায় প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই আমার পিতা আমার বাংলাদেশ-এর অনুবাদ মাই ফাদার মাই বাংলাদেশ সম্পাদনা করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বহুভাষিক ফ্লিপবুক জার্নাল 'দ্য আর্চার' সম্পাদনা করেন। তিনি বলেন “উপাচার্য সত্ত্বার চাইতে লেখক সত্ত্বা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ”।[13][14] ‘দ্য অথার সাকসেস কোচ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে বাংলাদেশের সেরা ১০ উদীয়মান ইংরেজি লেখকের তালিকাভুক্ত হন। [15][16]
যুক্তরাষ্ট্রের রাইট স্টেট ইউনিভার্সিটি, ডেইটন ওহাইও থেকে প্রকাশিত “জার্নাল অব দ্য-পোস্ট কলোনিয়াল কালচারস এন্ড সোসাইটিজ”-এ ২০১১ সালে তার একটি ছোটগল্প (নাইনটিন সেভেন্টি ওয়ান) প্রকাশিত হয়। এছাড়া ভারতের কনটেম্পোরারি লিটারেরি রিভিউ পত্রিকায় ২০১১ এবং ২০১২ সালে দুটি গল্প প্রকাশিত হয়। দ্য ব্রুনেই টাইমস্ এবং আফ্রিকান হেরাল্ড এক্সপ্রেসসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রত্রিকায় তার অসংখ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় সাহিত্য একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ইন্ডিয়ান লিটারেচার পত্রিকার মার্চ- এপ্রিল ২০১৯ সংখ্যায় তার ছোটগল্প সংকলন নাইনটিন সেভেন্টি ওয়ান এর রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে।[17]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.