রাজস্থানের অর্থনীতি
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাজস্থান একটি খনিজ সমৃদ্ধ রাজ্য এবং এটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ অর্থনীতি রয়েছে, যেখানে কৃষি-জমি, খনি এবং পর্যটনের বৃদ্ধি প্রধান শক্তি হিসাবে কাজ করে। রাজ্যটির খনিগুলি থেকে স্বর্ণ, রূপা, বেলেপাথর, চুনাপাথর, মার্বেল, ফসফেট পাথর, তামা এবং লিগনাইট কয়লা উত্তোলন করা হয়। রাজস্থান দেশের মধ্যে সিমেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক এবং ভারতে উৎপাদিত মোট লবণের এক দশমাংশ রাজ্যটি থেকে উৎপাদিত হয়।[2]
পরিসংখ্যান | |
---|---|
জিডিপি | ৭.৬৭ লাখ কোটি (২০১৬-১৭ ) |
জিডিপি ক্রম | ৭ম |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | ২৪.৭%[1] |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষি ১৯.৫% শিল্প ৩০.৫% পরিষেবা ৫০% (২০১৫)[1] |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি | কৃষি ৪৪% শিল্প ৮% সেবা ৪৭% (২০১৫) [1] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | জিএসডিপি-এর ৩৩.২% (২০১৬-১৭ )[1] |
রাজস্ব | ₹১.২৩ লাখ কোটি (২০১৬-১৭ )[1] |
ব্যয় | ₹১.৭১ লাখ কোটি (২০১৬-১৭ )[1] |
মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
প্রচুর পরিমাণে গম[3] এবং বার্লি চাষ করা হয়, এছাড়াও ডাল, আখ এবং তৈলবীজ চাষ করা হয়। তুলা ও তামাক নগদ ফসল। রাজস্থান ভারতের ভোজ্য তেলের বৃহত্তম উৎপাদক এবং তৈলবীজের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক। রাজস্থান ভারতের সবচেয়ে বড় উল উৎপাদনকারী রাজ্য। রাজ্যটিতে প্রধানত খরিফ ও রবি এই দুটি ফসল ঋতু আছে। রাজস্থানে সেচের প্রধান উৎস কূপ এবং ট্যাংক। ইন্দিরা গান্ধী খাল উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানে সেচের জলের যোগান দেয়।
রাজস্থান ভারতে রাইসরিষা, বাজরা, সরিষা ও উল বৃহত্তম প্রযোজক এবং তৈলবীজ, মশলা ও দুধের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক। এছাড়া রাজ্যটি ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম সোয়াবীন এবং মোটা শস্যের উৎপাদক।[4]
রাজস্থান উত্তর ভারতের অন্যতম প্রধান দুধ উৎপাদনকারী রাজ্য। রাজস্থান দুধ উৎপাদক সমবায় সরস ব্র্যান্ডের দুধ পণ্য উৎপাদন করে এবং জয়পুর ও নতুন দিল্লিতে তাদের দোকান রয়েছে।
রাজস্থান তার পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অবকাঠামো, বিনিয়োগ উপযোগী জলবায়ু এবং অনুকূল জনসংখ্যা ঘনত্বের কারণে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের পর ভারতের একটি প্রধান বিনিয়োগ গন্তব্য।
রাজস্থান পাথর উত্তোলন এবং খনিজ শিল্পে ভারতের মধ্যে অগ্রগণ্য একটি রাজ্য। রাজ্যের উদয়পুর শহরে রয়েছে ভারতের একমাত্র এবং বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দস্তা, লেড এবং রূপো উৎপাদক হিন্দুস্তান জিঙ্ক- এর সদর দপ্তর। রাজস্থানের ক্ষেত্রী তে তামার খনি আছে।
রাজস্থান রাজ্যের পর্যটন শিল্প উন্নতি হচ্ছে। জয়পুরের প্রাসাদ, উদয়পুরের হ্রদ, জোধপুর, বিকানির ও জৈসলমরের মরুভূমি পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ স্থান। রাজ্যের অভ্যান্তরীর উৎপাদনের ১৬ শতাংশ আসে পর্যটন শিল্প থেকে।[5] অনেক পুরোনো এবং উপেক্ষিত প্রাসাদ এবং দুর্গ এতিহ্যবাহী হোটেলে রূপান্তর করা হয়েছে। রাজ্যটিতে পর্যটন আতিথেয়তা খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
পর্যটন শিল্পের উন্নতির সঙ্গে হস্তশিল্প শিল্প বৃদ্ধি হয়েছে রাজ্যটিতে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.