রঙ্গিয়া
ইন্ডিয়ার আসামের একটি শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইন্ডিয়ার আসামের একটি শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
রঙ্গিয়া (রান্দিয়া রাঙ্গিয়া) (অসমীয়া: ৰঙিয়া) একটি উদ্যান উপত্যকা শহর এবং ভারতের আসাম রাজ্যের কামরুপ জেলার রাঙ্গিয়া মহকুমার সদর দপ্তর। এটি নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের আঞ্চলিক সদর দপ্তর। ভারতীয় সেনাবাহিনীর রেডহর্ন ডিভিশন শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গুয়াহাটি থেকে শহরের দূরত্ব 52 কিমি। রাঙ্গিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন। এই রেলওয়ে জংশনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শহর। রাঙ্গিয়া রেলওয়ে জংশন উত্তর পূর্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন। রাঙ্গিয়ার পুরাতন নাম "রান্দিয়া" শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বড়লিয়া নদী। রাঙ্গিয়া ভারত-ভুটান সীমান্তের প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত।
রঙ্গিয়া ৰঙিয়া Rangia | |
---|---|
নগর | |
আসাম, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬.৪৭° উত্তর ৯১.৬৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ | আসাম |
Region | Western Assam |
জেলা | কামরূপ |
সরকার | |
• শাসক | Rangiya Municipality Board |
উচ্চতা | ৩৯ মিটার (১২৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৬,৩৮৯ |
Languages | |
• সরকারি | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭৮১৩৫৪ |
Telephone code | ০৩৬২১ |
যানবাহন নিবন্ধন | AS 01 & AS 25 |
Sex ratio | 1.17:1 (male:female) ♂/♀ |
ওয়েবসাইট | kamrup |
রঙ্গিয়া অঞ্চলের স্থানাংক ২৬.৪৭° উত্তর ৯১.৬৩° পূর্ব। সাগরপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩৯ মিটার। নগরটির মাঝে দিয়ে বয়েছে বরলীয়া নদী।
রণ ও দিয়া এই শব্দ দুইটির সংযোগে রঙ্গিয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে এখানে বিভিন্ন শাসক গোষ্ঠী যেমন: আহোম, কোচ রাজবংশ, গৌড়, মোগল ইত্যাদি শাসকগোষ্ঠীরা নিজের শক্তির পরীক্ষা করেছেন। গৌড়ের সেনাপতি আহোম সাম্রাজ্য আক্রমণের সময় নগর থেকে ৫কিঃমিঃ দূরত্বে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এই দুর্গটি গৌরীয়াকোঠ নামে পরিচিত। নগর থেকে ৩কিঃমিঃ দূরত্বে ছিল রাজা আরিমত্তের রাজধানী। চতুর্দিকে দুর্গ নির্মাণ করে রাজা নিজের রাজধানী সুরক্ষিত রেখেছিল। দুর্গটির নাম হচ্ছে বৈদ্যর গড়। এই বৈদ্যর গড় আজও বিরাজমান। বৈদ্যর গড় নাম সমন্ধে বিভিন্ন মতভেদ দেখা যায়। এক কিংবদন্তি মতে দুর্গটি নির্মাণের সময় অসংখ্য পিঁপড়া নির্মাণের কার্যে বাধাস্বরুপ হয়েছিল। এক নিসন্তান বৈদ্য মন্ত্রবলে পিঁপড়া দূর করে নির্মাণ কার্য সফল করে তোলে। ফলে দুর্গটির নাম বৈদ্যর গড় হয়। আরেকটি প্রবাদমতে রাজা আরিমত্তের অপরনাম বৈদ্যদেব। আবার কয়েকজনের মতে বঙ্গের সেনাপতির নাম বৈদ্যদেব। তিনি দুর্গটি নির্মাণ করেন। রাজা আরিমত্ত দুর্গটিকে পুনঃনির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসের এক বিখ্যাত চরিত্র রাজা আরিমত্তের সহিত রঙ্গিয়ার সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে।
২০১১ সনের জনগননা অনুযায়ী রঙ্গিয়া নগরের জনসংখ্যা ২০,৭১২জন।[1]
৩১নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথ দ্বারা রঙ্গিয়া নগর অসমের বিভিন্ন প্রান্তের সহিত সংযুক্ত। অঞ্চলটির আরেকটি প্রধানপথ হচ্ছে ভারত ও ভুটান সংযোগকারী পথ। পথটি ভুটানের ফুন্টশোলিং নগরকে সংযুক্ত করেছে। রঙ্গিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। এই জংশন থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রধান মহানগর যেমন কলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, ইত্যাদি স্থানে যাতায়ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৩ সনের ৪জানুয়ারী থেকে ডেকারগাঁও-কামাখ্যা নামক রেল চালু করা হয়।[2] যা তেজপুর, রঙ্গিয়া ও গুয়াহাটি নগরকে সংযুক্ত করেছে।