Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোশাররফ হোসেন (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নামে পরিচিত; জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৪৩)[1] হলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পপতি। তিনি চট্টগ্রাম-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর সাবেক মন্ত্রী।[2][3] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন | |
---|---|
চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ |
উত্তরসূরী | মাহবুব রহমান রুহেল |
কাজের মেয়াদ জুন ১৯৯৬ – ২০০১ | |
পূর্বসূরী | ওবায়দুল হক খোন্দকার |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | এম ওবায়দুল হক |
উত্তরসূরী | আবু সালেক |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | ওবায়দুল হক খোন্দকার |
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | তোফায়েল আহমেদ |
উত্তরসূরী | শ ম রেজাউল করিম |
কাজের মেয়াদ ১১ মার্চ ১৯৯৯ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ নাসিম |
উত্তরসূরী | আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী |
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | মহিউদ্দীন খান আলমগীর |
উত্তরসূরী | সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ১৯৪৩
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | আয়েশা সুলতানা |
সন্তান | তিন ছেলে ও এক মেয়ে |
পেশা | রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী |
১৯৪৩ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ধুম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৬২ সালে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯৬৬ সালে লাহোরের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। তাঁর পিতা এস.রহমান ১৯৬০ সালের দিকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও নামকরা ব্যবসায়ী ছিলেন। এস. রহমান ১৯৪৪ সালে কলকাতায় তাঁর ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি চট্টগ্রামে চলে আসেন। চট্টগ্রামে তিনি “ওরিয়েন্ট বিল্ডার্স কর্পোরেশন” নামক একটি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে তিনি অনেক রাস্তা, ভবন ও বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গড়ে তুলেন। এছাড়াও তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২০টি বিলাসবহুল মার্সিডিজ বাসের বহর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও অন্যান্য এলাকার সঙ্গে প্রবর্তন করেন। এস.রহমান কক্সবাজার যে কত্তবড় পর্যটন স্পট হবে তা আগে থেকে অনুমান করতে পেরেছিলেন। যারই প্রেক্ষিতে তিনিই সর্বপ্রথম কক্সবাজারে হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেটি হলো ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘হোটেল সায়মন’। বর্তমানেও এটি কক্সবাজারের হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি হোটেল হিসেবে বিবেচিত। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প প্রসারে তার এ পদক্ষেপ এখনও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামে তৎকালীন সময়ে পর্যটকদের একমাত্র আবাসিক হোটেল ‘‘মোটেল সৈকত’’ দীর্ঘ ১০ বছর পরিচালনা এবং চট্টগ্রামে একটি রোপ ফ্যাক্টরী ও হার্ডওয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। মোশাররফ হোসেনের পিতামহ ফজলুর রহমান দীর্ঘ ২০ বৎসর যাবৎ চট্টগ্রামের মীরসরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মনে প্রাণে একটি রাজনৈতিক আদর্শকে লালন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে অর্থনৈতিক দুর্বলতা যেন জনসেবা থেকে তাকে দূরে রাখতে না পারে সে জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি তিনি তার পৈতৃক ব্যবসাসমূহ দেখাশুনা করেন। এক পর্যায়ে ১৯৮৩ সালে গ্যাসমিন লিমিটেড নামে একটি "ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ফার্ম" প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাইপ লাইনের কাজ করে আসছে। ১৯৬৪ সালে কক্সবাজারে তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত হোটেল সায়মনকে পরবর্তীতে আরো সম্প্রসারণ করে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেন। এছাড়া তিনি ‘পেনিনসুলা চিটাগাং’ নামক একটি আন্তর্জাতিক মানের চার তারকা হোটেলের চেয়ারম্যান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দাম্পত্য জীবনে তিনি স্ত্রী আয়েশা সুলতানার সাথে সংসার করছেন। তাঁর তিন ছেলে এবং একজন মেয়ে রয়েছে।
তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৬২ সালে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯৬৬ সালে লাহোরের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন তিনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
লাহোরে অধ্যয়নকালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন সময় মিছিল সমাবেশে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফার যৌক্তিকতা তুলে ধরে লাহোরে পূর্ব পাকিস্তানে অধ্যয়নরত ছাত্রদের সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদের এক সমাবেশে তিনি সভাপতিত্ব করেন। লাহোর থেকে দেশে ফিরে মানুষের কল্যাণ করার মহান ব্রত নিয়ে চট্টল শার্দুল এম.এ. আজিজের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে অতপ্রোতভাবে জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮,২০১৪ এবং ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধী দলীয় হুইপের এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিতে আসার পর তিনি দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বাকশাল এবং ’৭৭ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৮০ ও ৮৪ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৪ এবং ২০১২ সালে সভাপতি এবং একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন সৎ, ভদ্র, নম্র, স্পষ্টবাদী ও উদার মনোভাবের মানুষ হিসেবে নিজ দলের নেতাকর্মীসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের নিকট তার সুনাম রয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে এ সুদীর্ঘ সময়ে তিনি কখনও কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি এবং কোন সন্ত্রাসী লালন করেননি। তিনি কখনও নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেননি। ’৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান তিনি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং নিজ দলের আদর্শে অবিচল থেকেছেন সব সময়। রাজনীতি করতে এসে মুক্তিযুদ্ধসহ বহুবার তিনি জীবন মৃত্যুর মুখোমুখী হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট চত্বরে তৎকালীন বিএনপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক তিনি এবং আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত হন। এসময় সন্ত্রাসীরা তার পায়ের রগ কেটে দেয়। ’৮৮ সালে ২৪শে জানুয়ারী শেখ হাসিনার মিছিলে পুলিশ কর্তৃক গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার ঘটনায় তিনিও মারাত্মকভাবে আহত হন। ’৯২ সালের ৮ মে ফটিকছড়িতে জামায়াত ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়ে অলৈাকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ২০১৫ সালে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।[4]
মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সেক্টর - ১ এর সাব - সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। পাক-হানাদারদের বাঙালি নিধন এর নীলছক এর কালোরাত্রির তান্ডবটি শুধুমাত্র ঢাকা ও অন্য জেলাগুলোতে নয়, দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও হওয়ার কথা ছিলো। তারই প্রক্রিয়ায় বাঙালী জাতীয়তাবাদে উদ্ধুদ্ব ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। চট্টগ্রামে বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্য ছিলো যথাক্রমে প্রায় ৫ হাজার ও ৬ শত। বাঙালী সৈন্যদের মধ্যে ছিলো ইস্ট বেঙ্গল সেন্টারে নব-গঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল এর নতুন প্রায় ২৫০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। ছিলো ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এর উইং ও সেক্টর হেড কোয়ার্টার এর রাইফেলসরা এবং পুলিশ বাহিনী। পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যরা ছিল মূলত ২০-বালুচ এর। ২৫ শে মার্চ এর বিধ্বংসী কালোরাত চট্টগ্রামে পুনরাবৃত্তি করার জন্য চট্টগ্রামের সিনিয়র অবাঙালী অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফতেমিকে আদেশ দেয়া হয়, কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত সৈন্য পৌঁছানোর মধ্যে যেনো সমস্ত পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে ধরে রাখেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
চট্টগ্রামে কালোরাত্রির নৃশংসতা ঠেকাতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সাহসী বীর বাঙালী যোদ্ধারা শুভপুর ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে কুমিল্লা থেকে আগমনকারী সেনাদলের পথ বন্ধ করে দেন এবং চট্টগ্রাম শহর ও ক্যান্টনমেন্টের প্রধান প্রধান এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেন।পরবর্তীতে তিনি সি.ইন.সি স্পেশাল ট্রেনিং নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মোশাররফ হোসেনকে ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.