মোগা জেলা
ভারতের পাঞ্জাব অঙ্গরাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের পাঞ্জাব অঙ্গরাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোগা জেলা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাইশ জেলার মধ্যে অন্যতম। ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫ সালে মোগা জেলা ফরিদকোট জেলা থেকে আলাদা হয়ে পাঞ্জাব রাজ্যের ১৭তম জেলা হয়ে ওঠে। ভারতের পাঞ্জাবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গম ও ধান উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে মোগা জেলা। মোগা শহর ও মোগা জেলার লোকেরা মালওয়া সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত।
| মোগা জেলা | |
|---|---|
| জেলা | |
 সদর দপ্তরসহ পাঞ্জাব, ভারতের জেলা | |
| দেশ |  ভারত |
| রাজ্য | পাঞ্জাব |
| সদর দপ্তর | মোগা |
| আয়তন | |
| • মোট | ২,২৩৫ বর্গকিমি (৮৬৩ বর্গমাইল) |
| জনসংখ্যা (২০১১) | |
| • মোট | ৯,৯২,২৮৯ |
| • জনঘনত্ব | ৪৪৪/বর্গকিমি (১,১৫০/বর্গমাইল) |
| ভাষা | |
| • দাপ্তরিক | পাঞ্জাবি |
| সময় অঞ্চল | আইএসটি(+5:30) |
| ওয়েবসাইট | moga |
পূর্বে মোগাকে জেলা করার জন্য বহু চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছিল। অবশেষে পাঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এস. হরচরণ সিং ব্রার ১৯৪৫ সালের ২৪ নভেম্বর মোগাকে জেলা করার জন্য জনগণের দাবিতে একমত হন। পূর্বে মোগা ফরিদকোট জেলার উপজেলা ছিল। মোগা শহরটি জেলার সদর শহর যা ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সড়কে অবস্থিত। তখতপুরা সাহেব এই জেলার অন্যতম পরিচিত গ্রাম।
বাঘা পুরানা, বাধনী কালান, ধর্মকোট, নীহাল সিং ওয়াল এবং ঘাল কালান শহরগুলি মোগা জেলার অন্তর্গত। থাথি ভাই, রাজিয়ানা, দুনে কে, ল্যান্দে কে, সমাধ ভাই, বুঘিপুরা, দৌধর, দুধিকে, লোপন, হিম্মতপুরা এবং চুগাওয়ানের মতো গ্রামগুলোও এই জেলার অন্তর্গত।
মোগা ও ফরিদকোটকে সংযোগের দ্বারা বাঘা পুরানা প্রধান রাস্তায় অবস্থিত এবং এইভাবে সমস্ত পাঞ্জাব জুড়ে বাসের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র। পাঞ্জাবের বাঘা পুরানা থানার প্রধান এখতিয়ার রয়েছে; ৬৫টি 'পিন্ড' বা গ্রামসমূহ এই থানার নিয়ন্ত্রাধীন। শহরটি মূলত তিনটি পট্টি বা শাখায় অবস্থিত: মুগলু পট্টি (সবচেয়ে বড় একটি), বাঘা পট্টি এবং পুরানা পট্টি। শহরটিতে সমৃদ্ধশালী লোকের ন্যায্য অংশ রয়েছে এবং তাই পার্শ্ববর্তী শহর ও গ্রামগুলোর তুলনায় গড় জীবনযাত্রার মান উপরে।
হারামকোট হল মোগা জেলার একটি শহর এবং একটি পৌর পরিষদ। দৌধর মোগার বৃহত্তম গ্রাম।
| বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
|---|---|---|
| ১৯৫১ | ৩,৭৯,১৮১ | — |
| ১৯৬১ | ৪,৪৩,১৩৫ | +১.৫৭% |
| ১৯৭১ | ৫,৩৬,৬২৩ | +১.৯৩% |
| ১৯৮১ | ৬,৫৫,৮৭৩ | +২.০৩% |
| ১৯৯১ | ৭,৭৭,৮৯৪ | +১.৭২% |
| ২০০১ | ৮,৯৪,৭৯৩ | +১.৪১% |
| ২০১১ | ৯,৯৫,৭৪৬ | +১.০৭% |
| উৎস:[1] | ||
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোগা জেলার জনসংখ্যা ৯,৯২,২৮৯ জন, যা মোটামুটিভাবে ফিজি দেশ অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য মন্টানার সমান। ভারতে এর অবস্থান ৪৪৭তম (মোট ৬৪০ এর মধ্যে)। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৪৪ জন (১,১৫০/বর্গমাইল)। ২০০১-২০১১ সময়কালে এক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৯%। মোগার লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১,০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৮৯৩ জন মহিলা এবং সাক্ষরতার হার ৭১.৬%।
প্রকৌশলী কলেজ, বিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও মোগা শহর পরিচিত। মোগা শহরের কয়েকটি বিখ্যাত বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো হল:
'লিটল মিলেনিয়াম স্কুল মোগা'—কে ব্রেনফিড ম্যাগাজিন জরিপ ২০১৬ দ্বারা পাঞ্জাবের সেরা দশ প্রাক-বিদ্যালয় এবং ভারতের সেরা ১০০ বিদ্যালয়ের সেরা হিসেবে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানটি কিরণ বেদী উপস্থাপন করেছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
