Loading AI tools
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মার্টিন ফন জারসভেল্ড (ইংরেজি: Martin van Jaarsveld; জন্ম: ১৮ জুন, ১৯৭৪) ট্রান্সভাল প্রদেশের ক্লার্কসডোর্প এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[1][2][3] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৪ সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্টিন ফন জারসভেল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্লার্কসডোর্প, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৮ জুন ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ডানহাতি অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮৭) | ১৮ অক্টোবর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭১) | ৬ অক্টোবর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪ – ২০০৪ | নর্দার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ – ২০১১ | টাইটান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ – ২০১১ | কেন্ট (জার্সি নং ৪১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ – | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ২ নভেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে টাইটান্স, নর্দার্নস এবং প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট, নর্দাম্পটনশায়ার ও গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলত মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম ও অফ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘জারে’ ডাকনামে পরিচিত মার্টিন ফন জারসভেল্ড।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯টি টেস্ট ও ১১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে সাফল্য লাভের পাশাপাশি দুইটি উইকেট লাভ করেছিলেন। প্রাপ্ত দুইটি ওডিআই উইকেটের একটি পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্কাস ট্রেসকোথিকের। ঐ খেলায় তিনি পাঁচ ওভার বোলিং করে ১৮ রান দেন। তবে, জ্যাক ক্যালিস ও জ্যাকুয়েস রুডল্ফের ১৫৩ রানের জুটির কারণে তাকে আর ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি।
২০০১-০২ মৌসুমের দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী উপহার দেন তিনি। ৭৪.৫৮ গড়ে ১,২৬৮ রান তুলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ২০০২-০৩ মৌসুমে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। গটেংয়ের বেনোনিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ওডিআইয়ে সফরকারী দল দশ উইকেটে পরাজিত হলেও ব্যাট কিংবা বল হাতে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। পরের খেলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। ইনিংসের শেষদিকে নিজস্ব প্রথম বলেই তালহা জুবায়েরকে বোল্ড করে উইকেট পান মার্টিন ফন জারসভেল্ড।
এছাড়াও দুই টেস্টে অংশ নেন তিনি। দুই ইনিংসে ৫০ রান তুলেন ও তাপস বৈশ্যকে এলবিডব্লিউতে বিদায় করেন। ১৮ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে মার্টিন ফন জারসভেল্ডের।
তবে, দুই টেস্টে গড়া সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন রান করলে পিঠের আঘাত থেকে সেড়ে উঠা হার্শেল গিবস পুনরায় দলে ফিরে আসেন। এরপর ২০০৩ সালের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে খেলার সুযোগ পান। তিন-দলীয় ঐ প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ফন জারসভেল্ড মাত্র একবার ২০ রানে কোঠা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০.৫০ গড়ে ৮২ রান তুলেছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ২০০৩-০৪ মৌসুমে পাকিস্তান গমন থেকে বঞ্চিত হন। ঐ মৌসুমে কেবলমাত্র দুই টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন। গ্যারি কার্স্টেনের পরিবর্তে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলে ৭৩ রানের প্রথম অর্ধ-শতক করেন। এরপর সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে নিল ম্যাকেঞ্জি তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। ম্যাকেঞ্জি ঐ টেস্টে ৫৯ ও অপরাজিত ১৩ রান তুলে দলকে নয় উইকেটে বিজয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মার্টিন ফন জারসভেল্ড ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১ রান তুললেও খেলায় ৩১৩ রানে পরাজিত হয়ে সিরিজে খোয়ায়।
তাস্বত্ত্বেও, ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একদিনের প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ সুযোগ পান তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজে পরাজিত হবার ফলে জেপি ডুমিনির বিপরীতে তাকে দলে রাখা হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ও সর্বশেষ খেলায় গোল্ডেন ডাক পান। ইয়ান ব্রাডশয়ের বলে ড্যারেন পাওয়েলকে ক্যাচ দেন তিনি। খেলায় ঐ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকানরা পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল।
এরপর তিনি আরও দুই টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারতের সাথে ড্র হওয়া খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসে সংগৃহীত ৬৭৯ রানের মধ্যে তার অবদান ছিল মাত্র ১৫। ফলে পরের টেস্টে হাশিম আমলাকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পুনরায় দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম ইনিংসে ১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ বলে ৪৯ রান তুলেছিলেন। এ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৮৬ ওভারে ৩৭৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ধাবিত হয়েছিল।
২০০৫ সালে মার্টিন ফন জারসভেল্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে কোলপ্যাকের খেলায়াড় হিসেবে যোগ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, তার দীর্ঘদিন ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
২০০৫ মৌসুমে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে কেন্টের সদস্যরূপে অপরাজিত ২৬২ রান করেন। ঐ মৌসুমে সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার রবার্ট কী ও ২৯ বছর বয়সী ড্যারেন স্টিভেন্সের পর রান সংগ্রহের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছিলেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যান ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেনোনি টাইটান্সের পক্ষে খেলেন। সুপারস্পোর্ট সিরিজের পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে ২১১ রান তুলে দলের মধ্যে ব্যাটিং গড়ে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.