মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা
কলকাতার রাস্তা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কলকাতার রাস্তা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মহাত্মা গান্ধী রোড অথবা এম.জি. রোড, পূর্বে হ্যারিসন রোড নামে পরিচিত ছিল,[1] ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার (পূর্বে ক্যালকাটা নামে পরিচিত) পূর্ব থেকে পশ্চিমে জনসাধারণের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান পথ। এম.জি. রোডটি উত্তর এবং মধ্য কলকাতার সীমানা তৈরি করেছে।[2] ১৮৮৯ সালে শহরের প্রথম এই রোডটিতে বিদ্যুৎ দ্বারা আলোকিত করা হয়েছিল।
পূর্ব নাম | হ্যারিসন রোড |
---|---|
অবস্থান | কলকাতা |
ডাক কোড | ৭০০০০৭ |
স্থানাঙ্ক | ২২.৪৬১০৬২° উত্তর ৮৮.৩২৯৪৫১° পূর্ব |
মহাত্মা গান্ধী রোডটি প্রথমে হ্যারিসন রোড নামে পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে কলকাতার হ্যারিসন রোডটির নামকরণ করা হয় মহাত্মা গান্ধী রোড (এম.জি. রোড) এবং চৌরঙ্গির উপরের অংশটির নাম পরিবর্তন করে জওহরলাল নেহেরু রোড নামকরণ করা হয়।[3] ১৮৮৯ সালে যখন ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (সিইএসসি) শহরে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছিল, এই হ্যারিসন রোডটি শহরের প্রথম রোড ছিল যা কৃতিত্বের অধিকারী।[4] কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (সিআইটি) ১৯১১ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯২৬ সালে হ্যারিসন রোডটি উত্তরের বিডন স্ট্রিট এবং দক্ষিণে বহুবাজার পর্যন্ত প্রসারিত হয়।[5]
শহরের স্টুডিও ফটোগ্রাফির পথিকৃৎ চারু গুহ ১৯২০ সালে হ্যারিসন রোডের পাশে তার প্রথম স্টুডিও শুরু করেছিলেন।[6] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই রোডটি আগে শহরের "সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল" প্রতিবেশী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।[7] ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল ভ্যানকুভার সান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল - "আজ বিকেলে হ্যারিসন রোডের দাঙ্গায় আরও চারজন নিহত হয়েছে, এই অঞ্চলে যা সাধারণত ঝড়ের এক-চতুর্থাংশ।"[8]
কলকাতার পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বজায় রাখতে রোডটি ধমনীসদৃশ। এই শহরের প্রধান দুটি রেলওয়ে স্টেশন হল শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন দুটির মধ্যে স্বল্পতম দূরত্ব। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই রোডটিতে রয়েছে; যেমন - শিয়ালদহ স্টেশন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ক্রসিং, কলেজ স্ট্রিট ক্রসিং, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ক্রসিং, নেতাজি সুভাষ রোড, বড় বাজার, চিৎপুর রোড ক্রসিং, হাওড়া ব্রিজ ইত্যাদি।[9]
এম.জি.রোডের পূর্ব দিকে শিয়ালদহ স্টেশন এবং বিদ্যাপতি সেতু থেকে পশ্চিমে হাওড়া ব্রিজের প্রবেশদ্বার। [9]
রোডটিতে সারাদিন যানবাহন গতিপথ দুইমুখী নির্দেশ করে। তবে শিয়ালদহগামী ছোট যানবাহন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ। এছাড়া কিছু ক্রসিংগুলি নির্দিষ্ট এবং একমুখী আছে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট ক্রসিংগুলিতে যানবাহনগুলি কেবল একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘুরতে পারে। এই রাস্তার নিকটতম মেট্রো স্টেশন হল মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন,কলকাতা।[9]
বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহাত্মা গান্ধী রোডের নিকটে অবস্থিত;[10] যেমন - অ্যাংলো আরবি সেকেন্ডারি স্কুল, জ্ঞান ভারতী বিদ্যাপীঠ, সেন্ট পলস স্কুল, হিন্দু স্কুল, লরেন্স ডে স্কুল, শ্রী জৈন বিদ্যালয়, সেন্ট পলস মিশন স্কুল ইত্যাদি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছাকাছি কিছু জনপ্রিয় রেস্তোঁরা আছে; যেমন - শ্রীরাম ধাবা, আহার রেস্টুরেন্ট, মাধুরী রেস্টুরেন্ট, বাসন্ত কেবিন ইত্যাদি। এছাড়া কিছু হোটেল আর ধর্মশালা এই রোডের উপর অবস্থিত; যেমন - হোটেল হোয়াইট হাউস, হোটেল হিমালয়, হোটেল সম্রাট ইত্যাদি।[10]
বেশ কয়েকটি সিনেমা হল রাস্তার পাশে বা কাছাকাছি অবস্থিত; যেমন - অরুণা, ছবিঘর, নাজ, পূরবী, প্রভাত ইত্যাদি।[10]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একদিন রাতে কবিতায় এই রাস্তার কথা উল্লেখ করেছেন। কবিতার লাইনগুলি হল[11] -
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী ভারতের সর্বপ্রথম, জনপ্রিয় গোয়েন্দা, তাঁর বন্ধু এবং সহযোগী অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৃহকর্মী পুটিরামের সাথে হ্যারিসন রোডের তিনতলার বাড়ীতে দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.