মহাকর্ষীয় তরঙ্গ
From Wikipedia, the free encyclopedia
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হলো ত্বরিত বস্তু কর্তৃক সৃষ্ট স্থান-কালের আন্দোলনজনিত বিশেষ প্রকারের তরঙ্গ। সাধারণ আপেক্ষিকতত্ত্ব অনুযায়ী নির্বাতে এর বেগ আলোর বেগের সমান।[1] ১৯০৫ সালে অঁরি পোয়াঁকারে এই তরঙ্গের প্রস্তাবনা দেন এবং আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতত্ত্ব থেকে এর বর্ণনা দেন।[2][3][4][5][6][7] যেকোন ত্বরিত, স্পন্দিত এবং প্রবলভাবে আন্দোলিত ভর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ মহাকর্ষীয় বিকিরণের মাধ্যমে শক্তি পরিবহন করে যা বিচ্ছুরক শক্তির একটি রূপ। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র এদের অস্তিত্ব সম্পর্কে বলে না যেহেতু এই সূত্র ভৈত মিথস্ক্রিয়া সমূহ অসীম গতিতে বিস্তৃত হয় এমন ধারণার ওপর ভিত্তি করে বর্ণিত - যা দেখায় যে চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান আপেক্ষিকতার সাথে জড়িত ঘটনা সমূহ বর্ণনা করতে পারে না।
১৯৯৩ সালে রাসেল অ্যালান হাল্স এবং জোসেফ হুটন টেইলর জুনিয়র কর্তৃক আবিষ্কৃত হাল্স-টেইলর যুগ্ন পালসার তাদের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। এই পালসারটিই প্রথম বস্তু যা মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পরক্ষ প্রমাণ দেয়।[8]
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে লিগো এবং ভার্গো ঘোষণা করে যে তারা প্রথম কোনো পর্যবেক্ষিত মহাকর্ষীয় তরঙ্গের তালিকা মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ঘটনা প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণটি এর ৫ মাস পূর্বে উন্নমিত লিগো আবিস্কারক কর্তৃক করা হয়।[9][10][11] ইহা একটি যুগ্ন কৃষ্ণ গহব্বর ব্যবস্থার একত্রিকরণের কারণে উৎপন্ন হয়। এর পরে, লিগো আরো দুটি নিশ্চিত এবং একটি সম্ভাব্য মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে।[12][13]
২০১৭ সালে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের আবিস্কারে অবদানের জন্য রাইনার ভাইস, কিপ থর্ন ও ব্যারি ব্যারিশ-কে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।[14][15][16]