ভ্লাদিমির লেনিন
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ ওরফে লেলিন ( রুশ: Владимир Ильич Ульянов, প্রতিবর্ণীকৃত: Vladimir Ilyich Ulyanov, রুশ উচ্চারণ: [vlɐˈdʲimʲɪr ɨˈlʲjitɕ ʊˈlʲjanəf] ; Ленин: Lenin; ২২ এপ্রিল, ১৮৭০ – ২১ জানুয়ারি, ১৯২৪ ) হলেন একজন মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। লেনিন অক্টোবার বিপ্লবের বলশেভিকদের প্রধান নেতা ছিলেন। লেলিন ১৯১৭ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১৯২২ থেকে ১৯২৪ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। লেলিন প্রশাসনের অধীনে রাশিয়া ও তারপর বৃহত্তর সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা পরিচালিত একটি একদলীয় সাম্যবাদী রাষ্ট্র হয়ে ওঠে। তিনি আদর্শিকভাবে একজন সমাজতান্ত্রিক হয়ে মার্ক্সবাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ-বিকাশ করেছিলেন, যা লেনিনবাদ নামে পরিচিত হয়। তার ধারণাগুলি মরণোত্তরভাবে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হিসাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছিল।
ভ্লাদিমির লেনিন | |
---|---|
Владимир Ленин | |
পিপলস কমিসার কাউন্সিলের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ৮ নভেম্বর ১৯১৭ – ২১শে জানুয়ারি ১৯২৪ | |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | আলেক্সেই রিকভ |
সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা (বলশেভিক) | |
কাজের মেয়াদ ১৭ নভেম্বর ১৯০৩ – ২১শে জানুয়ারী ১৯২৪ | |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | যোসেফ স্তালিন (সাধারণ সম্পাদক, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি ) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ (১৮৭০-০৪-২২)২২ এপ্রিল ১৮৭০ সিমবির্স্ক, রুশ সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি ১৯২৪(1924-01-21) (বয়স ৫৩) রুশ সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন |
জাতীয়তা | সোভিয়েত রাশিয়ান |
রাজনৈতিক দল | সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাদেজদা ক্রুপস্কায়া (১৮৯৮-১৯২৪) |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী, আইনজীবী |
ধর্ম | প্রারম্ভিক জীবনে খ্রিস্টান, পরবর্তীতে নাস্তিক |
স্বাক্ষর |
তাঁকে ২০ শতকের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়েও লেলিন ১৯৯১ সালে বিলোপ হওয়া অবধি সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে মরণোত্তরকালীন এক পরিব্যাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের বিষয় ছিলেন। তাঁকে সোভিয়েত ইউনিয়নের জাতির জনক হিসাবে গণ্য করা হতো। তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের পিছনের আদর্শিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন এবং এভাবে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের উপর একটি লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেন। বিতর্কিত এবং অত্যন্ত বিভাজক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেনিনকে তাঁর সমর্থকরা সমাজতন্ত্র এবং শ্রমিক শ্রেণির চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখেন, অন্যদিকে বাম এবং ডান উভয় দিকের সমালোচকরা তাঁকে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা হিসাবে তার ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন। তথাপি সোভিয়েত ইউনিয়নের জনক হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এছাড়া লেনিন আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।