Loading AI tools
আইরিশ হোম রুল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ ভারতে আন্দোলন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতীয় স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশগুলিতে আইরিশ তথা অন্যান্য স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের আদলে গড়ে ওঠা একটি আন্দোলন। ১৯১৬ থেকে ১৯১৮ অবধি চলতে থাকা এই স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অ্যানি বেসান্তের ভূমিকার সূত্রপাত ঘটায়; যেখানে বাল গঙ্গাধর তিলক কেবল মাত্র উচ্চ শ্রেণীদের মাঝে তার প্রভাব ফেলতে সক্ষম হন, অ্যানি বেসান্ত ভর আন্দোলনে সাফল্য লাভ করেন।[1] In 1921 All India Home Rule League changed its name to Swarajya Sabha.[2]
মহাত্মা গান্ধীর সর্বপ্রথম কাজ; একটি গুরুত্বপূর্ণ বই হিন্দ স্বরাজ ১৯০৯ সালে রচনা করা হয়।[3]
পতাকায় রয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইউনিয়ন জ্যাকের নিশান। পতাকায় লাল ও সবুজ রঙের ডোরাকাটা আছে।
পতাকাটি কাল্পনিক জুলফিকারের ধাঁচে দ্বিখণ্ডিত।
বহু ভারতীয়দের কাছে পবিত্র চিহ্ন সপ্তর্ষি মণ্ডলও বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মুসলমানদের পবিত্র চিহ্ন অর্ধচন্দ্রাকার ও ৭টি তীক্ষ্ণ প্রান্তের একটি নক্ষত্র রয়েছে পতাকায়।
এই পতাকাটি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা বলে মনে করা হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে ভারতীয় স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন শুরু হয়। ভারত সরকার আইন (১৯০৯) জাতীয় নেতাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়। তবুও, কংগ্রেসের মধ্যে ভেদ তথা তিলকের মতো নেতাদের অনুপস্থিতি, যিনি সেই মুহুর্তে মান্দালয়ে কারারূদ্ধ ছিলেন, এসকলের জেরে জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়া ছিল হ্রস্বীকৃত।
বেশ কিছু কারণে ১৯১৫ সাল নাগাদ, দেশ জুড়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নতুন রূপ ধারণ করেছিল। অ্যানি বেসেন্তের (যিনি ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত এবং আইরিশ স্বায়ত্তশাসন_আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থক) উত্থান বৃদ্ধি, কারাবাস থেকে তিলকের প্রত্যাবর্তন এবং কংগ্রেসে বিভক্ত সমাধানে ক্রমবর্ধমান ডাক, ভারতের রাজনৈতিক মহলকে জাগিয়ে তুলেছিল। গদর বিদ্রোহ ও সেটির দমন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিরক্তিভাবের পরিস্থিতি অব্যাহত বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ ভারতীয় ও ভারতের রাজনৈতিক নেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যের অংশগ্রহণ নিয়ে একে-অপরের বিপক্ষে ছিলেন মতামত রাখেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলাতে ভারতের একাধিক মুসলমান আপত্তি জানায় যেহেতু তারা উস্মানীয় সুলতানকে খলিফার চোখে দেখতো।
এক দিকে বহু ভারতীয় বিপ্লবীরা যুদ্ধের বিরোধিতা করে আর অন্যদিকে মধ্যযুগীয় ও উদারপন্থীরা ব্রিটিশদের পক্ষে যুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণকে সমর্থন করেছিল। এই সমস্যাটি ভারতের রাজনৈতিক শ্রেণিকে বিভক্ত করে দেয় ও স্বায়ত্তশাসনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা একপ্রকারে বিক্ষিপ্তচিত্ত হয়ে পড়ে। এনি বেসেন্ত যদিও এই উপলক্ষে ঘোষণা করেন, "ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ভারতের সুযোগ"। নব ভারত (নিউ ইন্ডিয়া) পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে, তিনি ভারতের ঔপনিবেশিক সরকারকে আক্রমণ করেছন এবং স্বায়ত্তশাসনের প্রতি পরিষ্কার ও নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। ঠিক আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল ভারতের ক্ষেত্রেও, যুদ্ধ চলাকালীন সরকার কোনও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করে।
তিলক যখন তার দ্বারা দায়ের করা একটি আপত্তিজনক মামলা অনুধাবন করতে বিলেত চলে যান ও এনি বেসেন্ত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে চুপ হয়ে যান তখন ধীরে ধীরে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনটি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে।
স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের ভরবেগ মহাত্মা গান্ধীর উত্থান তথা তার দ্বারা সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জন্য আরও খানিকটা স্থগিত হতে আরম্ভ করে।
১৯২০ সালে সর্বভারতীয় ভারতীয় স্বায়ত্তশাসন মহাত্মা গান্ধীকে তাদের সভাপতি রূপে নির্বাচিত করে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.