ভাদুন
বাংলাদেশের একটি গ্রাম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের একটি গ্রাম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভাদুন হলো বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার একটি গ্রাম। এটি ধারাবাহিক নাটক শুটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। এটি "শুটিং গ্রাম" নামে পরিচিত পূবাইলের অন্যতম একটি গ্রাম।[1] ২০০৩ হতে গ্রামটি চিত্রগ্রহণের জন্য প্রযোজক পরিচালকদের কাছে জনপ্রিয় হয়। হলি ক্রস রিট্রিট অ্যান্ড প্যাস্টোরাল সেন্টার নামক কবরস্থান এই গ্রামে অবস্থিত।[2]
ভাদুন | |
---|---|
গ্রাম | |
বাংলাদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.৯৩৯৫৮০৩° উত্তর ৯০.৪৫৮৯৮২৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা |
জেলা | গাজীপুর |
উপজেলা | সদর |
সরকার | |
• ধরন | সিটি কর্পোরেশন |
• শাসক | জিসিসি |
ভাষা | |
• জাতীয় | বাংলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬:০০) |
পোস্টকোড | ১৭২১ |
গাজীপুর জেলার পূবাইলে অবস্থিত গ্রামটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ২১ কিলোমিটার ও গাজীপুর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[3][4]
এই গ্রামে পরিচালক আমজাদ হোসেনের একুশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক আগুন লাগা সন্ধ্যা-এর শুটিংয়ের পর গ্রামটি পরিচিতি পায়। নব্বইয়ের দশকে নাটক বা চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে গ্রামের দৃশ্য দেখাতে ঢাকা থেকে অনেক দূরে যেতে হতো। ১৯৯৭ সালে আমজাদ হোসেন ধারাবাহিক নাটকটির জন্য একটি নতুন গ্রাম খুঁজতে শুরু করেন। ভাদুন গ্রামে পৌঁছে তিনি শুটিংয়ের জন্য একটি উপযুক্ত বাড়ি খুঁজে পান, কিন্তু বাড়ির মালিক নিজের বাড়িটিকে শুটিং করতে দিতে অস্বীকার করেন। পরে আমজাদ তার সাথে আলোচনা করে তাকে রাজি করান।[3] আমজাদ হোসেন গ্রামে তার পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িকে শুটিং হাউসে পরিণত করেন। এরপর সালাহউদ্দিন লাভলু তার বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং এই গ্রামেই করেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো সাকিন সারিসুরি। এভাবে ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের জন্য গ্রামটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।[5]
২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই গ্রামে শুটিং ৭ মাসের জন্য বন্ধ ছিলো। ৭ মাস পর সরকার পুনরায় সেখানে শুটিংয়ের অনুমতি দেয়।[6][7]
২০০৬ সাল পর্যন্ত এই গ্রামে একটির বেশি শুটিং হাউস ছিল না, কিন্তু তারপরে শুটিং হাউসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের হিসেবে গ্রামটিতে ১০টি শুটিং হাউস রয়েছে। কিছু অভিনেতা শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে এখানে বাড়ি তৈরি করেছেন।[5] এই গ্রামে রয়েছে শাকিব খানের ‘জান্নাত হাউস’ শুটিং হাউস। এখানে মোশাররফ করিম তার দুই বন্ধু মিলে ৩ বছরের জন্য একটি বাসা ভাড়া নিয়ে শুটিং হাউসে পরিণত করেন। এছাড়া সালাহউদ্দিন লাভলুর এখানে একটি শুটিং হাউস ছিলো।[3] গ্রামটির উল্লেখযোগ্য শুটিং হাউসগুলো হলো মেঘলা, আকাশ ভিলা, ঐশী স্যুটিং, বিলভিলা, হাসনাহেনা, শাহীনের বাড়ি, ভুবন, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি।[4]
গ্রামটির বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয় ২০০৩ সালে।[3] ঢাকার খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় এই গ্রামটি প্রযোজকদের কাছে জনপ্রিয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত,[3] তারা এই গ্রামে শুটিংয়ের জন্য বাড়ি বা অন্যান্য উপকরণ পেতে অর্থ প্রদান করতো না, কিন্তু এখন তাদের ব্যবহার করার জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ভাড়া নিতে হয়। টিবিএস নিউজ অনুযায়ী, ২০২২ সালে শুটিংয়ের জন্য একটি গরু পেতে ৳১,০০০ এবং মুরগির জন্য ৳২০০ দিতে হবে। শুটিংয়ের জন্য একটি বাড়ি পেতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৳৪,০০০ ভাড়া দিতে হয়।[5] ২০২২ সালে রাইজিংবিডি.কম-এর মতে এখানে বউ ভাড়া প্রতিদিন ৳৫০০ হারে পাওয়া যায়।[4]
বর্তমানে নগরায়নের প্রভাবে গ্রামটি ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হচ্ছে।[4] এছাড়া শিল্পায়নের কারণে গ্রামটি প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.