ব্লকচেইন
From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি ব্লকচেইন [1] তথা ব্লক-এর শিকল হলো যা ক্রমাগত বর্ধমান রেকর্ড তালিকা যা ক্রিপ্টোগ্রাফির দ্বারা সংযুক্ত এবং নিরাপদ।প্রতিটি ব্লকের প্রকৃতি এরূপ যে তা পূর্বের ব্লকের একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাস নিয়ে গঠিত এবং একটি কার্যকাল ও কার্যপ্রকৃতির সমন্বিত তথ্য [2]।
গঠনগতভাবে ইহা কার্যকাল ও কার্যপ্রকৃতির তথ্য সমন্বিত তথ্যভান্ডার এবং তথ্য পরিবর্তনরোধী কৌশল।এটা হলো একটি উন্মুক্ত বিভাজিত তথ্যভান্ডার যা যাচাইযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত কাজের রেকর্ড করতে পারে [3]। একটি বিভাজিত তথ্যভান্ডার হিসেবে ব্যবহারকল্পে,একটি ব্লকচেইন প্রকৃতিগতভাবে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক সংগঠনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হয় যা একটি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয় নতুন ব্লক যাচাইকরনের জন্য।
একবার রেকর্ড হওয়ার পর একটি ব্লকের তথ্য সবগুলো উপ-অনুক্রমিক ব্লকের পরিবর্তন ব্যতীত পরিবর্তন করা যায় এবং এ ধরনের পরিবর্তনের চেষ্টায় নেটওয়ার্কে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়।
ব্লকচেইন নকশা দ্বারা নিরাপদ যা এমন একটি কম্পিউটার প্রক্রিয়ার সাথে তুলনীয় যা উচ্চ বাইজেনটাইন ফল্ট টোলারেন্স যুক্ত।ফলে ব্লকচেইন কেন্দ্রীকতাবিহীন ঐক্য সৃষ্টি করে।এটা ব্লকচেইনকে আপেক্ষিকভাবে ঘটানা,চিকিৎসা সংক্রান্ত রেকর্ড এবং অন্যান্য রেকর্ড ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজের উপযোগী করে তোলে।এসব কাজের মধ্যে রয়েছে পরিচয় ব্যবস্থাপনা,কার্যসম্পাদনা প্রক্রিয়াকরণ,ঐতিহাসিক স্থান নথিকরণ,খাদ্য নিরাপত্তা এবং নির্বাচন।
২০০৮ সালে ব্লকচেইনের উদ্ভাবক সাতশি নাকামতো কেবল ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন-এর সাধারণ লেনদেনের তথ্যভান্ডার নিরপত্তারয় ব্যবহার করার জন্য এটি উদ্ভাবন করেন। [4] বিটকয়েনের জন্য ব্লকচেইন আবিষ্কার এটিকে প্রথম ডিজিটাল মুদ্রায় পরিণত করে যা দ্বৈত খরচ সমস্যার সমাধান করে কোনো প্রকার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্রীয় সার্ভার-এর সাহায্য ছাড়াই। বিটকয়েনের নকশা অন্যান্য প্রয়োগিক কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি অনুপ্রাণিত করেছে।[4][1]
ব্লকচেইন প্রযুক্তি একাধিক ক্ষেত্রে একত্রিত করা যেতে পারে। ব্লকচেইনের প্রাথমিক ব্যবহার হল বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য বিতরণ করা খাতা হিসাবে।