![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/16/Kellykey.jpg/640px-Kellykey.jpg&w=640&q=50)
ব্রাজিলের কার্নিভাল
From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রাজিলের কার্নিভাল (পর্তুগিজ: Carnaval — উচ্চারণ: ক্যার্নাভাল্) হচ্ছে ব্রাজিলের একটি বাৎসরিক উৎসব, যা ইস্টারের চল্লিশ দিন আগে অনুষ্ঠিত হয়। লেন্টের কিছু নির্দিষ্ট দিনে রোমান ক্যাথলিক ও অন্যান্য কিছু খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ঐতিহ্যগতভাবে মাংস ও ডিমজাত খাবার গ্রহণ করা ত্যাগ করে। "কার্নিভাল" শব্দটি এসেছে "carnelevare" থেকে, যার অর্থ ‘মাংস ত্যাগ করা’।[1] বিশ্বাস করা হয় যে, কার্নিভাল উদ্যাপনের বিষয়টি এসেছে সাতুরলানিয়ার পেগান উৎসব থেকে, যা মূলত খ্রিস্টীয় ভাবাধারা থেকে উৎপত্তি।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/16/Kellykey.jpg/640px-Kellykey.jpg)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3d/Baianas-imperatriz-2008.jpg/320px-Baianas-imperatriz-2008.jpg)
এই উৎসবের সুরের স্পন্দন, অংশগ্রহণ, এবং পোশাক এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভিন্ন হয়ে থাকে। দক্ষিণের শহর রিউ দি জানেইরু ও সাঁউ পাউলুতে ভেনিস কার্নিভালের উৎসাহে এটি আয়োজন করে মূলত সাম্বা স্কুলগুলো। এই আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজগুলো জনসাধারণের সামনে ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়, যদিও ব্লোকস নামের তুলনামূলক কম আয়োজনের কুচকাওয়াজগুলো অন্যান্য শহরগুলোতে দেখা যায়। উত্তর-পশ্চিমের শহর সালভাদর, পোর্টো সেগুরো, এবং রেসিফির রাস্তাতেও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, এবং সাধারণ জনগণ তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এই কার্নিভাল আফ্রিকান-ব্রাজিলীয় সংস্কৃতি দ্বারা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এছাড়া উত্তর-পূর্বের ওলিন্দার কার্নিভালেরও বেশকিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে, যদিও এর কিছু অংশ ভেনিস কার্নিভালের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ও আঞ্চলিক লোকসাহিত্যের সাথে একটি হালকা সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে।
কার্নিভাল ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছুটির দিন, এবং এই দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুরো দেশের কাজকর্ম প্রায় এক সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে উপকূলবর্তী শহরগুলোতে রাত-দিন অনুষ্ঠান চলতে থাকে।[2] বিয়ারের বিক্রয় সারা বছরেরে তুলনায় ৮০% বৃদ্ধি পায়, এবং কার্নিভালকে সামনে রেখে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পায় প্রায় ৭০%।[3] এমতাবস্থায় এইডসের সংক্রমণ রোধে সরকার কনডম বিতরণসহ বিভিন্ন সচতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু করে।[4]