ব্যাস প্রণালী
অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে তাসমানিয়া দ্বীপকে পৃথককারী সমুদ্রপ্রণালী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্যাস প্রণালী অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড (মূলত ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্য) থেকে দক্ষিণের তাসমানিয়া দ্বীপকে পৃথককারী সমুদ্র প্রণালী। প্রণালীটি পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের বাহু তাসমান সাগরকে পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের বাহু অস্ট্রেলীয় মহাবাঁককে (Great Australian Bight) সংযুক্ত করেছে।[1] ইংরেজ অভিযাত্রী ম্যাথিউ ফ্লিন্ডার্স প্রণালীটিকে ব্রিটিশ শল্যচিকিৎসক ও অভিযাত্রী জর্জ ব্যাসের নামে নামকরণ করেন। ব্যাস ১৭৯৮ সালে এই সমুদ্রপ্রণালীটি জাহাজে অতিক্রম করেন এবং প্রমাণ করেন যে তাসমানিয়া একটি দ্বীপ। প্রণালীটিতে প্রবাল প্রাচীর ও বহু দ্বীপ আছে, বিশেষত এর দক্ষিণভাগে। প্রণালীটি পূর্ব-পশ্চিমে ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে গড়ে ৩০০ কিলোমিটার প্রশস্ত।[2] প্রণালীটি ৫০-৭০ মিটার গভীর। প্রণালীটির পশ্চিম প্রান্তসীমাতে কিং আইল্যান্ড দ্বীপ এবং পূর্ব প্রান্তসীমাতে ফুরনো দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত।
ব্যাস প্রণালী | |
---|---|
অবস্থান | ভারত মহাসাগর–প্রশান্ত মহাসাগর |
স্থানাঙ্ক | ৪০° দক্ষিণ ১৪৬° পূর্ব |
ধরন | প্রণালী |
অববাহিকার দেশসমূহ | অস্ট্রেলিয়া |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মা) |
সর্বাধিক প্রস্থ | ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মা) |
গড় গভীরতা | ৬০ মিটার (২০০ ফু) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৮৩ মি (২৭২ ফু) |
প্রণালীটিতে ১৯৬৫ সালে ব্যারাকুটা নামক স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৭ সালে হ্যালিবাট ও কিংফিশ পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রগুলি আবিষ্কৃত হয়। ১৯৭০ সালে খনিজ তেলের উৎপাদন শুরু হয়।[3]
তাসমানিয়ার আদিবাসীরা সম্ভবত ৪০ হাজার বছর আগে সর্বশেষ বরফ যুগে একটি স্থলযোজকের মাধ্যমে মূল অস্ট্রেলীয়া ভূখণ্ড থেকে তাসমানিয়া দ্বীপে আগমন করে। আজ থেকে ৮০০০ বছর আগে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাস প্রণালীর জন্ম হয় এবং তারা মূল অস্ট্রেলিয়া ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।[4]