![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/2a/Barrackpore_%2528subdivision%2529_in_North_24_Parganas_%2528West_Bengal%2529.svg/langbn-640px-Barrackpore_%2528subdivision%2529_in_North_24_Parganas_%2528West_Bengal%2529.svg.png&w=640&q=50)
ব্যারাকপুর মহকুমা
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার একটি মহকুমা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্যারাকপুর মহকুমা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি মহকুমা। এই মহকুমা ষোলোটি পুরসভা (কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, ব্যারাকপুর, উত্তর ব্যারাকপুর, নিউ ব্যারাকপুর, টিটাগড়, খড়দহ, পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, উত্তর দমদম ও দক্ষিণ দমদম), একটি ক্যান্টনমেট বোর্ড (ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট), একটি সেন্সাস টাউন (ইছাপুর প্রতিরক্ষা এস্টেট) এবং ব্যারাকপুর-১ ও ব্যারাকপুর-২ ব্লক নিয়ে গঠিত। উক্ত ব্লকদুটিতে আবার নয়টি সেন্সাস টাউন এবং ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। মহকুমার সদর ব্যারাকপুর।
ব্যারাকপুর মহকুমা | |
---|---|
মহকুমা | |
![]() | |
স্থানাঙ্ক: ২২.৭৬° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব / 22.76; 88.37 | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | ![]() |
জেলা | উত্তর চব্বিশ পরগনা |
সদর দফতর | ব্যারাকপুর |
আয়তন | |
• মোট | ৩৩৫.৮০ বর্গকিমি (১২৯.৬৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৬,৬৯,৭৪৮ |
• জনঘনত্ব | ১১,০০০/বর্গকিমি (২৮,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | ISO 3166-2:IN |
যানবাহন নিবন্ধন | WB 23 / WB 24 |
ওয়েবসাইট | wb |
এখানে অবস্থিত অন্নপূর্ণা মন্দিরটি খুবই প্রাচীন এক মন্দির। মন্দিরটি রানী রাসমণির কনিষ্ঠা কন্যা জগদম্বা দেবী ১৮৭৫ সালে তৈরী করেছিলেন। মন্দিরটি অবিকল দক্ষিনেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের আদলে তৈরী। এই মন্দিরে দেবী অন্নপূর্ণা প্রতিষ্ঠিত আছেন। এছাড়া মহাদেবও গর্ভগৃহে বিরাজ করছেন। মন্দিরটির পিছনদিকে ৬ খানা ছোট আকারের শিবমন্দির রয়েছে। একটা সুন্দর নাটমন্দির ও নহবৎখানাও রয়েছে। মন্দিরের পিছনের দ্বার দিয়ে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। ঘাটটিও খুব সুন্দর করে বাঁধানো। ঘাটটির নাম “রাসমনি ঘাট”। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব চারবার এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন। ঠাকুরের পদধূলিমাখা মন্দিরটি খুবই সুন্দর। এটি বঙ্গীয় স্থাপত্য শৈলীতে তৈরী নবরত্ন মন্দির। এখানে বেশ শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ বজায় রয়েছে। মন্দিরটিতে ঢোকার জন্য একটা বিশাল প্রবেশদ্বার রয়েছে। প্রবেশদ্বারের উপরে একটা বিশাল সিংহের মূর্তি রয়েছে। মন্দিরটি দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২.৩০ ও বিকেল ৪টা থেকে রাত্রি ৮টা খোলা রাখা হয়। এখানে কিছুটা সময় কাটাতে মন্দ লাগলো না। তবে দক্ষিনেশ্বরের মন্দিরের পরিবেশের সাথে এখানকার পরিবেশের আসমান-জমিন ফারাক রয়েছে।
ব্যারাকপুরে আরেকটি বিখ্যাত স্থান হল দাদা বৌদি হোটেল যেখানকার বিরিয়ানি খুব বিখ্যাত, এখানকার বিরিয়ানি খেতে রাজ্যের বহু মানুষ এখানে আসে। দাদা বৌদি বিরিয়ানির বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে রাত সাড়ে দশটা অবধি খোলা থাকে। বর্তমানে বৃহস্পতিবারটিকে বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানে বিরিয়ানি খেতে কলকাতা থেকেও প্রচুর মানুষ প্রতিনিয়ত এখানে আসেন। এট স্টেশনের নিকটে অবস্থিত হওয়ায় প্রচুর মানুষের সুবিধা হয়েছে।