Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার কেন্দ্রীয় মিলনায়তন বা অডিটোরিয়াম।[1][2] এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) বলেও পরিচিত রয়েছে।[3] মিলনায়তনটি ঝিনাইদহ জেলার ব্যক্তিত্ব বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।[4] এটি ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো, তখন এই এই মিলনায়তনের নাম ছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ও ২০১২ সালে নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নামে আসা হয়। এই মিলনায়তনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক আয়োজন, চলচিত্র উৎসব, নাটিকা পরিবেশনসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ আয়োজনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[5][6] বর্তমানে এই মিলনায়তনের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান।[7]
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন | |
---|---|
অবস্থান | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস |
মালিক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া |
পরিচালক | অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল |
নির্মাণ | ২০০০ |
উদ্বোধন | ২০০১ |
নির্মাণ খরচ | ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা |
প্রাক্তন নাম | শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তন |
থিয়েটারের আসন | ১২০০ |
জায়গা | |
পার্কিং | স্থান নেই |
বাইসাইকেল পার্কিং | স্থান নেই |
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকশিত হবে।
তৎকালীন উপাচার্য রাশিদ আসকারী
২০০০ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মিলনায়তন নির্মান করা হয়।[8] এটির নাম দেওয়া হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সংক্ষেপে ডাকা হয় ইবি টিএসসিসি নামে। এরপরে ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুষ্টিয়া জেলার ব্যক্তিত্ব শাহ আজিজুর রহমানের নামে শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তন নামকরণ করে।[9]
২০১২ সালে মুনতাসীর মামুন (শহীদ স্মৃতিসৌধের ভাস্কর) ও শাহরিয়ার কবির হাইকোর্টে রিট করেন, এই মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতাকারী ব্যক্তির নামে, তাই এটির নাম পরিবর্তন করা দরকার।[10] এই রিটের জের ধরে ২০১২ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট এই স্থাপনার নাম পরিবর্তনের আদেশ দেন।[11] এরপর ১৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩২তম সিন্ডিকেটে আলোচনা করে এই মিলানায়নের নাম নির্ধারন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন।
২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান মিলনায়তনের বর্তমান নামের স্থলে শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তন বলায় সমালোচনার স্বীকার হন।[12]
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন ভবনের একাংশে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া অবস্থিত। এখানে সকালে নানারকম নাস্তা জাতীয় খাবার পাওয়া যায়, দুপুরে ভাত, মাছ মাংস সহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার পাওয়া যায় ও রাতে রাতের খাবার পাওয়া যায়। বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়ার ডাইনিং ম্যানেজারের কাজ নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম কলম। মিলানায়তনের পরিচালকই ক্যাফেটিয়ার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।[13] ২০১৯ সালে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ক্যাম্পাস ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস চালু হলেও ক্যাফেটেরিয়া কয়েক মাস বন্ধ ছিলো।[14][15]
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সাথে সংযুক্ত স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও মিলানায়তন উভয়ই দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নানা আয়োজনে এই মিলানায়তন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মিলানায়তনে মোট ১২০০ আসন রয়েছে।[16] এসব ব্যবহারের মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.