বন্ধুত্ব
পারস্পরিক সম্পর্ক / From Wikipedia, the free encyclopedia
বন্ধুত্ব হলো মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশেষ সম্পর্ক।[1] আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হল বন্ধুত্ব। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে মানুষ সুখী হয়।
স্থায়ী বন্ধুত্বের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকে যেমনঃ স্নেহ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, সততা, স্বার্থপরতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সমবেদনা, একে অপরের সঙ্গ, আস্থা, নিজের যোগ্যতা, অনুভূতি প্রকাশ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
বন্ধুত্ব - একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠার; একে অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত পাগলামি করার একমাত্র আধার এ ‘বন্ধুত্ব’। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোট-বড় সবাই বন্ধু হতে পারে। তবে বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা অবশ্যই থাকা চাই তা হল ‘ভালোবাসা’। আত্মার সঙ্গে আত্মার টান থাকতেই হবে।[2]
বন্ধু এ শব্দের মাঝেই সব লুকায়িত - এতে কোন বয়স বাধা নয়। কিশোর বয়সের কোন ছেলে বা মেয়ের সাথে যদি তার চেয়ে বড় কারো সাথে বন্ধুত্ব হয় তবে তা তাকে জ্ঞানের পরিসীমা বাড়াতে বিরাট ভূমিকা রাখে। তবে তার জন্য প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি বিশেষ যত্ন। অনেক বিষয়ে ছোট্ট বন্ধু বুঝতে বা মানতে দ্বিধা করবে সে জন্য তকে সব সমসাময়িক দিক থেকে বা বর্তমান সময় উপযোগী বিষয় দিয়ে বুঝানো। তাঁর মনে যেন কোন ভয় না থাকে সে বিষয়ে খোলা মেলা আলোচনা করা। এ জন্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা। ভালো মন্দ সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করা, যাতে আগামীর দিন গুলো সুন্দর ও সুখের হয়। আমাদের পিতা মাতা আমাদের সব থেকে আপন বা কাছের মানুষ হলেও অনেক বিষয় আমরা তাদের সাথে বলতে পারিনা। কিন্তু বন্ধুর সাথে অকপটে সব ভালো মন্দ যত খারপ হোক র্নিদ্বিধায় বলা যায়, আর সেটার নামই প্রকৃত বন্ধু।