বজলুর রহমান
বাংলাদেশের সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বজলুর রহমান (৩ আগস্ট ১৯৪১ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০১২ সালে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।[1]
বজলুর রহমান | |
---|---|
জন্ম | ৩ আগস্ট ১৯৪১ |
মৃত্যু | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ |
পেশা | সাংবাদিকতা, মুক্তিযোদ্ধা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার |
দাম্পত্যসঙ্গী | মতিয়া চৌধুরী |
বজলুর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরনিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি শেরপুর জেলার গণবর্দী স্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিক, ময়মনসিংহ জেলার আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে আইএ, বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।[2]
বজলুর রহমান ১৯৬১ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে সংবাদে যোগদান করেন এবং শুরু হয় সাংবাদিকতা।[3] কিছুদিন পর তিনি সংবাদের সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। আমৃত্যু তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকে কিছুদিন কাজ করেছেন। তার অংশগ্রহণ ছিলো মুক্তিযুদ্ধ, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, আটষট্টি-ঊনসত্তর-সত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে অনিয়ম, গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখন তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে। এছাড়া ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ববাংলার মুক্তিসনদ ৬ দফা দাবি ঘোষণা করার পর বজলুর রহমান তা সক্রিয়ভাবে সমর্থন এবং এর পক্ষে সামগ্রিক জনমত গঠনে প্রচারাভিযান চালান।[4] তিনি বাসসের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান।[5]
সাংবাদিকতায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[6][7][8] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.