Loading AI tools
উদ্ভিদের প্রজাতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এই ফুলের বাংলা নাম- বক বা বকফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Sesbania grandiflora[1])। ইংরেজি নাম vegetable hummingbird[2]।অন্যান্য নামের মধ্যে অগস্তি , মণিপুষ্প , গাছমুগা , Drigapalaka উল্লেখযোগ্য। এটি Fabaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ।
বকফুল Sesbania grandiflora | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
উপপরিবার: | Faboideae |
গোত্র: | Robinieae |
গণ: | Sesbania |
প্রজাতি: | S. grandiflora |
দ্বিপদী নাম | |
Sesbania grandiflora (L.) Poiret | |
বক ফুল শিম ও মটর গোত্রীয় গাছ। কিন্তু গাছ দেখতে মোটেই শিম বা মটরের মত নয়। ফুলের গড়নের কিছুটা মিল থাকলেও পাতা ও গাছের সাথে কোন মিল নেই। তবে ধৈঞ্চা গাছের সাথে কিছুটা মিল আছে। বক ফুল গাছ ধৈঞ্চা গাছের চেয়ে বড় ও মজবুত। ফুলের রং বকের মত সাদা বলেই হয়তো এর নামকরণ করা হয়েছে বকফুল। এদেশে তিন রংয়ের বকফুল দেখা যায়- সাদা, লাল, গোলাপী। লাল রংয়ের বকফুলের জাত এসেছে থাইল্যান্ড থেকে। এজন্য একে থাই বকফুল বলা হয়।
অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে আছে - Sesban coccinea, Agati grandiflora, Coronilla grandiflora। বকফুলের আদি আবাস মালয়েশিয়া। ক্ষুদ্র আকৃতির পত্রমোচী গাছ। কাণ্ড সরল, উন্নত, ম্লান-বাদামি ও মসৃণ। যৌগিক পত্রটি পালকের মতো এবং আকর্ষণীয়, পত্রিকা আয়তাকৃতি ও গাঢ়-সবুজ। কোমল কলিগুলো বাঁকানো। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফল লম্বা, প্রায় গোল,বীজ থেকে সহজেই চারা হয়। বৃদ্ধি দ্রুত, এক বছরেই গাছ ফুল ও ফলবতী হয়।[3]
অঞ্চল ভেদে এ গাছের অনেক নাম আছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বক, বকে, বগ, বকফুল, বগফুল, অগন্তা, অগাতি ইত্যাদি। তবে এ গাছটি বকফুল নামেই বেশি পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বকফুল গাছ জন্মে, বিশেষ করে বাংলাদেশে।
এক যুগ আগেও গৃহস্থের বাড়ির আঙিনায় দেখা মিলত বকফুল গাছের। ভোজনরসিক বাঙালির প্রতিটি ঘরে বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের মাঝে খাবারে বিশেষ মাত্রা যোগ করত বকফুলের বড়া বা ভাজা বকফুল। এই ফুল খাবারের উপকরণ ছাড়া কোলাচার বা পূজায় ব্যবহারের নজির নেই। ঘর সাজাতে কিংবা নারীদের খোঁপায় ফুলের ব্যবহার দেখা গেলেও বকফুল সেখানে অনুপস্থিত। এ ফুলের কদর খাবারের উপকরণ বড়াতেই।
প্রায় প্রতিবাড়িতেই বক ফুলের বড়া একটি প্রচলিত খাবার। চালের গুড়ার লেইকে জলে মিশিয়ে পাতলা করে এতে হলুদ ও লবণ মিশিয়ে বকফুল চুবিয়ে বড়া করে তৈরি করা হয়। আকৃতিতে বকফুল গাছ বড় হয়। শীতে ফুল দেয়। অতিবৃষ্টিতে এই গাছ মারে যায়।
বকফুলের বড়া বাংলার মানুষের কাছে একটি পছন্দের খাবার। এর ঔষুধি গুণ আছে প্রচুর । জ্বর, ফোলা ও ব্যাথাবেদনা সারাতে, বাতের ব্যথায় শিকড় চূর্ণ জলের সাথে গুলে ব্যাথা জায়গায় ঘষলে আরাম পাওয়া যায়। চুলকানি-পাঁচড়া সারাতে কম্বোডিয়ায় বাকল চূর্ণ লাগানো হয়। কৃমি ও জ্বর সারাতে পাতার রস খাওয়ানো হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসার ও বুক জ্বালা নিরাময়, রাতকানা রোগের ঔষুধ হিসাবে গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়, করেকোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, চোখের স্নায়ু জোরদার করেবার্ধক্য ও হাড় দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে বকফুল পাতার রস উপকারী।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.