![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/41/NewtonsPrincipia.jpg/640px-NewtonsPrincipia.jpg&w=640&q=50)
প্রাকৃতিক দর্শন
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাকৃতিক দর্শন এবং প্রকৃতির দর্শন (লাতিন ভাষায়: Philosophia naturalis) ছিল প্রকৃতি তথা সমগ্র ভৌত বিশ্ব বিষয়ক অধ্যয়ন। আধুনিককালে যাকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞান বলা হয় তা-ই একসময় ছিল প্রাকৃতিক দর্শন। প্রাকৃতিক দর্শনকে বলা যায় আধুনিক বিজ্ঞানের পূর্বসূরী। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র থেকে শুরু করে অনেক বড়- সকল বস্তুর গঠন এবং কার্যকারিতা নিয়ে জ্ঞানের এই শাখায় আলোচনা করা হতো।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/41/NewtonsPrincipia.jpg/640px-NewtonsPrincipia.jpg)
যেমন ইংরেজ বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন ফিলোসোফিয়া নাতুরালিস প্রিংকিপিয়া মাথেমাটিকা যাকে বাংলা করলে দাঁড়ায় প্রাকৃতিক দর্শনের গাণিতিক নীতিসমূহ। গণিতের মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সূত্র আবিষ্কার করলেও তিনি এই জ্ঞানকে প্রাকৃতিক দর্শন নামেই আখ্যায়িত করেছিলেন। ফ্রান্সিস বেকন ও মনে করতেন তিনি প্রাকৃতিক দর্শনের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সেই যুগে এমনকি প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং রসায়নকে আলাদা করে দেখার কোন উপায় ছিল না। এমনকি ভ্রমণ কাহিনীও প্রাকৃতিক দর্শনের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বলে গণ্য হতো।[1]
মার্টিন হাইডেগার লক্ষ্য করেছিলেন যে গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল প্রকৃতি নামক ধারণাটির জনক এবং এই ধারণাটিই মধ্যযুগে ও আধুনিক যুগের পত্তনের পূর্ব পর্যন্ত প্রভাবশালী ছিল। তিনি বলেন:
“ | এরিস্টটলের ফুজিকোস আক্রোয়াসেওস (ইংরেজিতে যে বইটি Physics নামে পরিচিত, আক্ষরিক অনুবাদ "প্রকৃতি বিষয়ক বক্তৃতামালা") গ্রন্থটি মূলত একটি বক্তৃতা যাতে তিনি এমন সব বস্তু নির্ণয়ের চেষ্টা করেছেন যারা নিজে থেকেই উদ্ভূত হয়। বর্তমানে পদার্থবিজ্ঞান বলতে আমরা যা বুঝাই তার সাথে এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যার অনেক পার্থক্য। এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা প্রাচীনকালের বিষয় আর আধুনিক ভৌত বিজ্ঞানসমূহ আধুনিক যুগের বিষয়- এই পার্থক্যের চেয়েও বড় পার্থক্য হচ্ছে এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা ছিল দর্শন, যেখানে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান একটি ইতিবাচক বিজ্ঞান যা একটি দর্শনকে প্রথমেই সত্য বলে ধরে নেয়... এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা না থাকলে গালিলেওর জন্ম হতো না।[2] | ” |