প্রতিকৃতিহীনতাবাদ
প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃত জগতের শৈল্পিক উপস্থাপনা অনুপস্থিতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রতিকৃতিহীনতাবাদ বা নিরাকারবাদ হলো প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃত সত্তার শৈল্পিক উপস্থাপনা বা প্রতিমূর্তির অনুপস্থিতির পাশাপাশি ধর্মীয়ভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতি। প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃত সত্তার শৈল্পিক উপস্থাপনার নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ দেবতা পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে, অথবা এটি সর্বদেবতার মন্দিরকে ঘিরে হতে পারে, এতে নবী, সন্ত, বা ঋষিদের, এমনকি জীবিত প্রাণীর মূর্তি এবং সাধারণত অস্তিত্বে থাকা যেকোনো কিছুর মূর্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।[1][2][3] প্রতিকৃতির ধারণা সাধারণত ধর্মীয় ঐতিহ্য দ্বারা সংযোজিত হওয়ার কারণে প্রতিকৃতিহীনতাবাদ নিষিদ্ধ হয়ে যায়, এবং এটি মূর্তির শারীরিক ধ্বংসের যুক্তি প্রয়োগ করলে প্রতিমাপূজা বিরোধি হয়ে ওঠে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বৌদ্ধধর্ম ও খ্রিস্টধর্ম উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিকৃতিহীনতার ঐতিহাসিক পর্যায় রয়েছে, যদিও শিল্পে বুদ্ধ, শিল্পে বুদ্ধের জীবন, শিল্পে বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্ব, পশ্চিমা শিল্পে ঈশ্বর পিতা, খ্রিস্টীয় শিল্পে পবিত্র আত্মা, যীশুর চিত্রণ, শিল্পে ট্রিনিটি, মানুষ দেহী এর মত শৈল্পিক কর্মকাণ্ড এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।[4] কিন্তু ইহুদিবাদ ও ইসলাম প্রতিকৃতিহীনতার সমর্থন করে, যার মধ্যে মুহাম্মদের মতো প্রধান ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্বও রয়েছে।[5] তবে, হিন্দুধর্ম প্রতিকৃতিহীনতাবাদের সমর্থন ও বিরোধিতা দুটোই করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]