পেপটাইড
From Wikipedia, the free encyclopedia
পেপটাইড হলো অ্যামিনো এসিডের ছোট শিকল যা পেপটাইড বন্ধন দ্বারা পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে।[1][2] একটি পলিপেপটাইড হলো একটি লম্বা, অবিচ্ছিন্ন, অশাখা পেপটাইড শিকল।[3] যে পলিপেপটাইডগুলোর আণবিক ভর ১০,০০০ ডাল্টন বা তার বেশি হয় সেগুলোকে প্রোটিন বলা হয়।[4] বিশটির কম অ্যামিনো এসিডের শিকলগুলোকে অলিগোপেপটাইড বলা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাইপেপটাইড, ট্রাইপেপটাইড এবং টেট্রাপেপটাইড।
পেপটাইডগুলো জৈব পলিমার এবং অলিগোমারের বিস্তৃত রাসায়নিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এর পাশাপাশি নিউক্লিক এসিড, অলিগোস্যাকারাইড, পলিস্যাকারাইড ইত্যাদিও এই শ্রেণীতে পড়ে।
প্রোটিন জৈবিক ও কার্যকরীভাবে সাজানো এক বা একাধিক পলিপেপটাইড দ্বারা গঠিত হয়, যা প্রায়শই কোএনজাইম এবং কোফ্যাক্টরের মতো লিগ্যান্ড, অন্যান্য প্রোটিন, ডিএনএ বা আরএনএর মতো অন্যান্য বৃহদাণু অথবা জটিল ম্যাক্রোমলিকিউলার সমাহারের সাথে আবদ্ধ থাকে।[5]
পেপটাইড গঠনের সময় অ্যামিনো এসিডগুলোকে অবশিষ্টাংশ (residues) বলা হয়। পেপটাইড বা অ্যামাইড বন্ধন গঠনের সময় অ্যামিনো এসিডগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় এবং সেই যুক্ত হওয়ার সময় একটি ছোট্ট পানির অণু বেরিয়ে যায়।[6] এই যুক্তকরণ দুই প্রান্তে দুটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে, যা N-টার্মিনাল এবং C-টার্মিনাল নামে পরিচিত। সাইক্লিক পেপটাইড ছাড়া সকল পেপটাইডের শেষে একটি N-টার্মিনাল (অ্যামিন গ্রুপ) এবং একটি C-টার্মিনাল (কার্বক্সিল গ্রুপ) অবশিষ্টা থাকে (ছবির টেট্রাপেপটাইডে দেখানো হয়েছে)।