![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/6b/Guardiola_training_cropped.jpg/640px-Guardiola_training_cropped.jpg&w=640&q=50)
পেপ গার্দিওলা
স্পেনীয় ফুটবল প্লেয়ার এবং ম্যানেজার / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইয়োসেপ ‘‘পেপ’’ গার্দিওলা ই সালা (জন্ম ১৮ জানুয়ারি ১৯৭১) একজন স্পেনীয় ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়। বর্তমানে তিনি ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খেলোয়াড় হিসেবে গার্দিওলা একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ছিলেন এবং ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় তিনি বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন। তিনি ইয়োহান ক্রুয়েফের ‘‘ড্রিম টিমেরও’’ অংশ ছিলেন যা বার্সেলোনার হয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ জেতে। তিনি ইতালির ক্লাব ব্রেস্কিয়া ও রোমা, কাতারের ক্লাব আল-আহলি এবং মেক্সিকোর ক্লাব দোরাদোসেও খেলেছেন। ইতালিতে খেলার সময় ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে তাকে চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি স্পেন জাতীয় দলে খেলছিলেন এবং কাতালুনিয়া জাতীয় দলের হয়ে কিছু প্রীতি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
![]() বায়ার্ন মিউনিখের সাথে গার্দিওলা | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জোসেপ গার্দিওলা সালা[1] | ||
জন্ম | (1971-01-18) ১৮ জানুয়ারি ১৯৭১ (বয়স ৫৩) | ||
জন্ম স্থান | স্ন্যাতপেদর, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)[2] | ||
মাঠে অবস্থান | ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার সিটি (ম্যানেজার) | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৮৪–১৯৯০ | বার্সেলোনা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৯০–১৯৯২ | বার্সেলোনা বি | ৫৯ | (৫) |
১৯৯০–২০০১ | বার্সেলোনা | ২৬৩ | (৬) |
২০০১–২০০২ | ব্রেস্কিয়া | ১১ | (২) |
২০০২–২০০৩ | রোমা | ৪ | (০) |
২০০৩ | ব্রেস্কিয়া | ১৩ | (১) |
২০০৩–২০০৫ | আল-আহলি | ১৮ | (২) |
২০০৫–২০০৬ | দোরাদোস | ১০ | (১) |
মোট | ৩৭৮ | (১৭) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৯১ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ২ | (০) |
১৯৯১–১৯৯২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ | ১২ | (২) |
১৯৯২–২০০১ | স্পেন | ৪৭ | (৫) |
১৯৯৫–২০০৫ | কাতালুনিয়া | ৭ | (০) |
পরিচালিত দল | |||
২০০৭–২০০৮ | বার্সেলোনা বি | ||
২০০৮–২০১২ | বার্সেলোনা | ||
২০১৩–২০১৬ | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
২০১৬– | ম্যানচেস্টার সিটি | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
খেলোয়াড় হিসেবে অবসর গ্রহণের পর তিনি বার্সেলোনা বি দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের ৮ মে, বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা ফ্রাংক রাইকার্ডের উত্তরসূরি হিসেবে গার্দিওলার নাম ঘোষণা করেন।[3] এতে করে, তিনি বার্সেলোনার মূল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়ে যান। ২০০৮ সালের ৫ জুন, তিনি চুক্তি সাক্ষর করেন। ম্যানেজার হিসেবে তার প্রথম মৌসুমে (২০০৮–০৯) বার্সা ট্রেবল জয় করে। তারা কোপা দেল রে, লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতে। এতে করে, চ্যম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে কনিষ্ঠতম ম্যানেজার হিসেবে এই শিরোপা জেতার কৃতিত্ব গড়েন গার্দিওলা। পরের মৌসুমে গার্দিওলা এবং বার্সেলোনা স্পেনীয় সুপার কোপা, ইউরোপীয়ান সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে। এতে করে, এক পঞ্জিকাবর্ষে সাম্ভব্য ছয়টি শিরোপার সবগুলোই জেতে বার্সা ও গার্দিওলা।
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, গার্দিওলাকে কাতালান আইনসভার সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বর্ণপদক পুরস্কার দেওয়া হয়।[4] ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি, গার্দিওলাকে ২০১১ ফিফা বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগীতায় তিনি ৪২% ভোট পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন পান ১৬% এবং রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জোসে মরিনহো পান ১২% ভোট। ২০১২ সালের ৩০ জুন, গার্দিওলাবার্সেলোনার কোচের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তিনি চার বছর বার্সেলোনায় কাটিয়ে দলকে ১৪টি শিরোপা উপহার দেন।[5] ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি, বায়ার্ন মিউনিখ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে ২০১৩–১৪ মৌসুমে গার্দিওলা ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ করব