পুনঃঅভিস্রবণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
পুনঃঅভিস্রবণ হল একটি জল শোধন প্রক্রিয়া যেখানে অর্ধভেদ্য পর্দা/অর্ধভেদ্য ঝিল্লি ব্যবহার করে পানীয় জল থেকে আয়ন, অবাঞ্ছিত অণু এবং বৃহত্তর কণা অপসারণ করা হয়। পুনঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় , একটি ফলিত চাপের দ্বারা অভিস্রবণিক চাপকে অবদমিত করা হয়, অভিস্রবণিক চাপ দ্রাবকের রাসায়নিক বিভবের তারতম্যে প্রভাবিত সমাবর্তী বৈশিষ্ট্য যা তাপগতিবিদ্যায় একটি পরিমাপক। পুনঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলে দ্রবীভূত এবং অদ্রবণীয় রাসায়নিক এমনকি জৈবিক (প্রধানত ব্যাকটিরিয়া) পদার্থের দূরীকরণ সম্ভব এবং এই পদ্ধতি শিল্প প্রক্রিয়া ও পানীয় জল তৈরি উভয়ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে দ্রাব পর্দার/ঝিল্লির চাপযুক্ত দিকে সংরক্ষিত থাকে এবং বিশুদ্ধ দ্রাবক পর্দার/ঝিল্লির অন্যদিকে অবাধে প্রবাহিত হয়। অর্ধভেদ্য পর্দার/অর্ধভেদ্য ঝিল্লির নির্বাচনশীল (বাছাই করা) বৈশিষ্ট্যের জন্য দ্রবণে থাকা কোনো বড় অণু বা আয়ন রন্ধ্র ভেদ করে পর্দার/ঝিল্লির অপরদিকে যেতে পারে না, কিন্তু দ্রবণের ক্ষুদ্র উপাদান (যেমন দ্রাবক অণু, অর্থাৎ জল, H2O) অবাধে পর্দার/ঝিল্লির অপরদিকে প্রবাহিত হয়। [1]
সাধারণ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়, দ্রবণটি পর্দা ভেদ করে নিম্ন দ্রাব ঘনত্ব (উচ্চ জল বিভব ) থেকে উচ্চ দ্রাব ঘনত্বের (নিম্ন জল বিভব) দিকে প্রবাহিত হয়। এখন দ্রাবকটি প্রবাহিত হওয়ার জন্য যে চালক বলের প্রয়োজন তা আসে সিস্টেমের মুক্ত শক্তির হ্রাসের ফলে, এবং তা হয় যখন পর্দার/ঝিল্লির দুইপাশের দ্রাবক ঘনত্বের পার্থক্য হ্রাস পায়। এর ফলে বেশি দ্রবণ বেশি ঘনত্বের দিকে যায় ও অভিস্রবণিক চাপ সৃষ্টি করে। বাহ্যিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশুদ্ধ দ্রবণের প্রাকৃতিক গতি সংরক্ষণ হল পুনঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়া।
পুনঃঅভিস্রবণ ও পরিস্রাবণ (ইংরেজি: Filtration) দুটি আলাদা পদ্ধতি। পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায়, তরল, অভিস্রবণের মাধ্যমে পর্দা/ঝিল্লি ভেদ করে পর্দার/ঝিল্লির অন্যদিকে প্রবাহিত হয়। প্রিডমিন্যান্ট রিমুুুুভাল মেকানিজম একটি ঝিল্লি পরিস্রাবণ পদ্ধতি,