পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার / From Wikipedia, the free encyclopedia
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।
সোমপুর মহাবিহার | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | বৌদ্ধধর্ম |
ফেরকা | মহাযান |
জেলা | নওগাঁ |
অঞ্চল | রাজশাহী |
মালিকানা | বাংলাদেশ সরকার |
পরিচালনা সংস্থা | বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন |
অবস্থা | পর্যটন কেন্দ্র |
বৌদ্ধ বিহার | |
অবস্থান | |
অবস্থান | পাহাড়পুর, নওগাঁ, বাংলাদেশ |
দেশ | বাংলাদেশ |
এলাকা | বদলগাছী, নওগাঁ, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৫.০৩১১° উত্তর ৮৮.৯৭৭৩° পূর্ব / 25.0311; 88.9773 |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | পাল স্থাপত্য |
প্রতিষ্ঠাতা | ধর্মপাল |
অর্থায়নে | ধর্মপাল |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ৮ম শতাব্দী |
উচ্চতা | ৮০ ফু (২৪ মি) |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক |
মানদণ্ড | ১, ২, ৪ |
পর্যাদাপ্রাপ্ত হয় | ১৯৮৫ (৯ম অধিবেশন) |
সূত্র নং | ৩২২ |
রাষ্ট্র | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | এশিয়া-প্রশান্ত |
ইউনেস্কোর মতে পাহাড়পুর বিহার বা সোমপুর বৌদ্ধ বিহার দক্ষিণ হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার। আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, বরং চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।