পার্ল (প্রোগ্রামিং ভাষা)
From Wikipedia, the free encyclopedia
পার্ল (ইংরেজি: Perl) দুইটি উচ্চ স্তরের, জেনারেল পারপাস, ইন্টারপ্রিটেড, ডাইনামিক প্রোগ্রামিং ভাষার একটি পরিবার। পার্ল বলতে পার্ল ভাষার পঞ্চম সংস্করণ পার্ল-৫'কে বুঝানো হত। কিন্তু ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পার্ল বলতে পার্লের উন্নত ও পুনঃ নকশাকৃত সংস্করণ, পার্ল-৬'কেও বুঝানো হত। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পার্ল ৬ এর নাম পরিবর্তন করে রাকু রাখা হয়। [1][2]
প্যারাডাইম | বহু-প্যারাডাইম |
---|---|
নকশাকার | ল্যারি ওয়াল |
প্রথম প্রদর্শিত | ১৯৮৭ |
টাইপিং পদ্ধতি | চলমান |
লাইসেন্স | গনু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স, আর্টিস্টিক লাইসেন্স |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
অক্, সি, সি++, লিস্প, প্যাসকেল (প্রোগ্রামিং ভাষা), সেড, ইউনিক্স শেল | |
যাকে প্রভাবিত করেছে | |
জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন, পিএইচপি, রুবি, ইসিএমএস্ক্রিপ্ট |
পার্ল কোনো নামের সংক্ষিপ্ত রূপ নয় [3], কিন্তু এর ইংরেজি বানানের অক্ষরগুলো নিয়ে কিছু পরিবর্ধিত রূপ প্রচলিত আছে। যেমন, প্র্যাকটিকাল এক্সট্রাকশন এন্ড রিপোর্টিং লাঙ্গুয়েজ। [4] ১৯৮৭ সালে ল্যারি ওয়াল প্রতিবেদন প্রক্রিয়াকরণের কাজ সহজ করার উদ্দেশ্যে জেনারেল পারপাস ইউনিক্স স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে পার্ল উদ্ভাবন করেন। [5] পরবর্তী সময়গুলোতে এই ভাষাটি বহুবিধ উন্নয়ন ও সংশোধনের মধ্য দিয়ে গেছে। পার্লের পঞ্চম সংস্করণের একটি পুনঃ নকশাকৃত সংস্করণ হিসেবে তৈরি করা 'রাকু', বর্তমানে একটি স্বতন্ত্র ভাষায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে ভাষা দুটো আলাদা প্রকৌশল দল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। দল দুটো নির্দ্বিধায় একে অন্যের আইডিয়া বিনিময় করে থাকে।
পার্ল ভাষাটি সি, শ, অক, সেড ও অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারন করে। [6] এই ভাষাগুলো টেক্সট প্রক্রিয়াকরণের জন্য সেসময়ে প্রচলিত ইউনিক্স কমান্ড লাইন টুলে ইচ্ছেমত যেকোনো পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করার সুযোগ দিত। [7] ভাল রেগুলার এক্সপ্রেশন ও স্ট্রিং পার্সিং সক্ষমতার জন্য সিজিআই স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে পার্ল ৯০'এর দশকে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। [8][9][10]
সিজিআইয়ের পাশাপাশি পার্ল-৫ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেশন, নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং, অর্থসংস্থান, জৈব তথ্যবিজ্ঞানসহ আরও অন্যান্য ক্ষেত্র এমনকি গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস বানাতেও ব্যবহৃত হয়। নানা ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্যতা ও সক্ষমতার কারণে এবং অন্যান্য ভাষার চেয়ে অধিক সংখ্যক বিশেষ ক্যারেকটার ব্যবহারের কারণে বিশ্রী বোঝাতে একে 'সুইস আর্মি চেইন'স অব স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজেস' বলে অভিহিত করা হয়। [11] ১৯৯৮ সালে সারা পৃথিবীতে গ্লু ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে পার্লের সর্বত্র ব্যবহার ও অনমনীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য একে "ইন্টারনেটকে ধরে রাখা ডাক্ট টেপ" বলেও অভিহিত করা হয়েছিল। [12]
পার্ল বেশ এক্সপ্রেসিভ প্রোগ্রামিং ভাষা। অল্প সোর্স কোড দিয়েই এতে এলগরিদম লিখে ফেলা যায়। [13][14]