পাবলো নেরুদা
চিলীয় কবি / From Wikipedia, the free encyclopedia
রিকার্দো এলিসের নেফতালি রেইয়েস বাসোয়ালতো (১২ জুলাই ১৯০৪ - ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩), যিনি তার ছদ্মনাম এবং পরবর্তীকালে আইনসিদ্ধ নাম পাবলো নেরুদা[1] নামে অধিক পরিচিত, একজন চিলীয় কবি-কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ ছিলনে। তিনি ১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। নেরুদা মাত্র তেরো বছর বয়েসে কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখতে শুরু করেন, তন্মধ্যে ছিল পরাবাস্তববাদী কবিতা, ঐতিহাসিক মহাকাব্য, প্রকাশ্য রাজনৈতিক ইশতেহার, গদ্য আত্মজীবনী এবং ভালোবাসার কবিতা, তন্মধ্যে একটি হল ১৯২৪ সালে প্রকাশিত বিশটি কবিতা ভালোবাসার একটি গান হতাশার শীর্ষক কাব্যগ্রন্থ।
পাবলো নেরুদা | |
---|---|
জন্ম | রিকার্দো এলিসের নেফতালি রেইয়েস বাসোয়ালতো (১৯০৪-০৭-১২)১২ জুলাই ১৯০৪ পারাল, মাউলে অঞ্চল, চিলি |
মৃত্যু | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩(1973-09-23) (বয়স ৬৯) সান্তিয়াগো, চিলি। |
পেশা | কবি, কূটনীতিক, সেনেটর |
ভাষা | স্পেনীয়, ইংরেজি, ফরাসি। |
জাতীয়তা | চিলিয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার |
|
দাম্পত্যসঙ্গী | মারিজকে আন্তোনিতা হাগেনার ভোগেলসাং (১৯৩০-১৯৪৩ বা ১৯৩০-১৯৬৫) দেলিয়া দেল কাররিল (১৯৪৩-১৯৮৯) |
সন্তান | ১ |
স্বাক্ষর |
নেরুদা তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন দেশের বহু কূটনীতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং চিলীয় কমিউনিস্ট পার্টির সেনেটর হিসেবে এক মেয়াদ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রপতি গাব্রিয়েল গোন্সালেস ভিদেলা চিলিতে কমিউনিজম বাতিল করলে নেরুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তার বন্ধুরা তাকে বন্দর নগরী বালপারাইসোর একটি বাড়ির বেজমেন্টে মাস খানেক লুকিয়ে রাখে এবং ১৯৪৯ সালে তিনি মাইহু হ্রদের নিকটবর্তী এক গিরিপথ দিয়ে পালিয়ে আর্জেন্টিনা চলে যান। তিনি তিন বছরের আগে আর চিলিতে ফিরে আসেননি। তিনি চিলির সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি সালভাদোর আইয়েন্দের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা ছিলেন এবং স্টকহোম থেকে নোবেল পুরস্কার নিয়ে চিলিতে ফিরে আসার পর আলেন্দে এস্তাদিও নাসিওনালে ৭০,০০০ লোকের সম্মুখে তাকে বই পড়ে শুনাতে আমন্ত্রণ জানান।[2]
নেরুদাকে প্রায়ই চিলির জাতীয় কবি বলে বিবেচনা করা হয়। তার সৃষ্টিকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং প্রভাব বিস্তারকারী। কলম্বীয় ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস একদা তাকে "২০শ শতাব্দীর যে কোন ভাষার সেরা কবি" বলে অভিহিত করেন,[3] এবং সমালোচক হ্যারল্ড ব্লুম তার দ্য ওয়েস্টার্ন ক্যানন বইতে নেরুদাকে পশ্চিমা রীতির কেন্দ্রীয় লেখক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।