Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পল ফ্রেডেরিক সাইমন (জন্ম:অক্টোবর ১৩, ১৯৪১)[1] একজন আমেরিকান সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক ও গীতিকার। সাইমন এর খ্যাতি, প্রভাব ও বাণিজ্যিক সাফল্য শুরু হয়েছিল সাইমন ও গার্ফোনাঙ্কেল জুটির মাধ্যমে যা ১৯৬৪ সালে আর্ট গার্ফোনাঙ্কেল এর সাথে গঠিত হয়েছিল। এই জুটির অধিকাংশ গান লিখেছিলেন সাইমন যার মধ্যে তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের টপ চার্টে এক নম্বরে ছিল। গানগুলো হল, দ্য সাউন্ড অফ সাইলেন্স, মিসেস রবিনসন এবং ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার।[2] এই জুটির জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন ১৯৭০ সালে তারা দুজন বিভক্ত হয়ে যান এবং সাইমন পরবর্তী পাঁচ বছরে তিনটি বহুল প্রশংসিত অ্যালবাম রেকর্ডিং করেন, গিটার বাদক এবং একক গায়ক ও গীতিকার হিসেবে একক ক্যারিয়ার শুরু করেন।[3] ১৯৮৬ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার টাউনশিপ সঙ্গীত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গ্রেসল্যান্ড অ্যালবামটি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সাইমন চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখা শুরু করেন। ১৯৮০ সালে ওয়ান-ট্রিক পনি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত রচনা করেন ও কবি ডেরাক ওয়ালকটের সাথে মিলে ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য কেপম্যান চলচ্চিত্রের সঙ্গীত রচনা করেন।[4]
পল সাইমন | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | পল ফ্রেডেরিক সাইমন |
জন্ম | নিউয়ার্ক, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র | অক্টোবর ১৩, ১৯৪১
ধরন |
|
পেশা |
|
বাদ্যযন্ত্র | Vocals, guitar, bass guitar, piano, percussion, lute, alto saxophone, piccolo |
কার্যকাল | ১৯৫৭-বর্তমান |
লেবেল | Columbia, Warner Bros., Hear Music |
ওয়েবসাইট | www |
সাইমন আজীবন সম্মামনা পুরস্কারসহ, তার একক ও জুটিবদ্ধ কাজের জন্য ১২ বার গ্রামি পুরস্কার লাভ করেন।[5] ২০০১ সালে তিনি রক এন্ড রোল হল অফ ফেম-এ অভিষিক্ত হন।[6] ২০০৬ সালে তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।[7] আন্যান্য অনেক পুরস্কারের মধ্যে সাইমন ২০০৭ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জনপ্রিয় গানের জন্য লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস-এর গার্সউইন পুরস্কার লাভ করেন।[8] ১৯৮৬ সালে “বার্কলি কলেজ অফ মিউজিক” তাকে সঙ্গীতের উপর সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। বর্তমানে তিনি একই কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।[9][10]
সাইমন নিউ জার্সির নিউকার্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুইস (১৯১৬-১৯৯৫) ছিলেন কলেজের একজন অধ্যাপক, বেসবল খেলোয়াড় ও নৃত্য দলের সদস্য যিনি “লি সিমস” নামে মঞ্চে অভিনয় করতেন। সাইমনের মা বেলি (১৯১০-২০০৭) ছিলেন এলিমেন্টারি স্কুলের একজন শিক্ষিকা। ১৯৪৫ সালে তার পরিবার নিউ ইয়র্ক শহরের ফ্লাসিং কুইন্সে অবস্থিত কিউ গার্ডেন হিলসে স্থানান্তরিত হয়।[11] সঙ্গীতজ্ঞ ডোনাল্ড ফ্যাগেন সাইমনের বাল্যকাল সম্পর্কে বলেন, “নিউ ইয়র্কের একজন ইহুদি যেমন নির্দিষ্ট ধরনের, স্টরিওটাইপ, যার কাছে বেসবল ও সঙ্গীত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় এটা বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। পিতামাতারা তখন হয় অভিবাসি বা প্রথম প্রজন্মের আমেরিকান যারা বিকল্প কিছু খুজতে গিয়ে হয় বেসবল না হয়, ব্ল্যাক মিউজিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে।”[12] সাইমন ফ্যাগেনের বর্ণনা শুনে মন্তব্য করেছে, “এটি সত্য থেকে খুব বেশি দূরে নয়”।[12] তিনি তার বাল্যকাল সম্পর্কে বলেন, “আমি বেসবল খেলোয়াড় ছিলাম। প্রতিদিন আমার বাইকে করে যেতাম।” তিনি আরো বলেন, আমার বাবা একজন জাঙ্কি ভক্ত ছিলেনঃ
আমি প্রায়ই আমার বাবার সাথে খেলার ব্যাপারে পরামর্শ করতাম। সে ছিলো একজন ভাল, সুদর্শন ও মজার মানুষ। আমি আমার বাচ্চাদের সাথে যেরকমভাবে খেলা করি সে আমার সাথে তেমন খেলার সুযোগ পেত না। কারণ সে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যাস্ত থাকত। মাঝে মাঝে একটানা দুই রাতও পার হয়ে যেত।[12]
সাইমনের সঙ্গীত জীবন শুরু হয় যখন তার সাথে আর্ট গার্ফোঙ্কেলের পরিচয় হয়। তখন তাদের দুজনের বয়সই ছিল ১১ বছর। তাদের ষষ্ঠ গ্রেড স্নাতকের জন্য তারা ওন্ডাল্যান্ডের অ্যালিসে একটি প্রযোজনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন, এবং ১৩ বছর বয়স থেকে একসাথে পরিবেশনা শুরু করেন।[13] তার স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসাথে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। এভারলি ব্রাদার্স ছিলো তাদের আদর্শ। সাইমন সঙ্গীত কিংবদন্তি উডি গাথরি ও লিড বেলি-র ক্ষেত্র জাজ, ফোক ও ব্লুস এর ও উন্নতি সাধন করেন।
সাইমনের যখন ১২ অথবা ১৩ বছর বয়স তখন তিনি প্রথম তার ও গার্ফোঙ্কেল জুটির জন্য প্রথম গান লেখেন। গানটির শিরোনাম ছিল “দ্য গার্ল ফর মি” এবং মতানুসারে এটি স্থানীয়ভাবে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সাইমনের পিতা এই দুই বালকের জন্য গানটির কথা ও কর্ড ব্যবহারের জন্য কাগজে লিখে দিয়েছিলেন। এই কাগজটিই সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল জুটির প্রথম কপিরাইট করা গান যা বর্তমানে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসে সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৫৭ সালে তারা যখন মধ্য বয়সী কিশোর তখন তারা টম ও জেরি নামে “হেই, স্কুলগার্ল” নামে একটি গান রেকর্ড করেন। এটি ছিল তাদের জন্য প্রথমদিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই এককটি পপ চার্টে ৪৯ নাম্বারে পৌঁছে।
ফরেস্ট হিলস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর সাইমন ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য কুইন্স কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু গার্ফোঙ্কেল গণিত বিষয়ে ম্যানহাটনের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[12] সাইমন ছিলেন আলফা এপসাইলন পাই এর একজন সাথীভাই যিনি ইংরেজি সাহিত্যের উপর ডিগ্রী অর্জন করেন ও ব্রোকলেন ল স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু বাস্তবে তার মন পড়ে থাকত সবসময় সঙ্গীতে।
১৯৫৭ ও ১৯৬৪ এর মধ্যবর্তী সময়ে সাইমন ৩০টিরও বেশি গান লেখেন, রেকর্ড করেন ও মুক্তি দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে গার্ফোঙ্কেল এর সাথে টম ও জেরি নামে কিছু গান করেন যার মধ্যে “আওয়ার সং” ও “দ্যাট’স মাই স্টরি”। এই সময়ের মধ্যে সাইমন যেসকল গান লিখেছিলেন বা রেকর্ড করেছিলেন, সেসব গান সাইমন একাকী অথবা গার্ফোঙ্কেল ছাড়া অন্য শিল্পীদের সাথে পরিবেশন করতেন। গানগুলো কিছু বিখ্যাত রেকর্ড সংস্থা থেকে রেকর্ড হয়েছিল যার মধ্যে, অ্যামি, বিগ, হান্ট, কিং, ট্রাইবুট ও ম্যাডিসন উল্লেখযোগ্য। এই রেকডিংগুলোর জন্য সাইমন কিছু ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন, নামগুলোর মধ্যে, জ্যারি ল্যান্ডিস, পল কেইন ও ট্রু টেইলর অন্যতম। এছাড়া সাইমন টিকু ও ট্রাইাম্পস দলের অংশ হিসেবে কিছু একক গান রেকর্ড করেন যার মধ্যে “মটরসাইকেল” গানটি ১৯৬২ সালে টপ চার্টে ৯৭ নাম্বারে ছিল। টিকু ও ট্রাইম্পস “ফোর ৪৫স” প্রকাশ করেন। মার্টি কুপার যিনি টিকু নামে পরিচিত ছিলেন তিনিই এই দলের প্রধান হিসেবে কিছু গান পরিবেশন করেছিলেন। সাইমনের বাল্যবন্ধু ববি সসার ৪৫স অ্যালবামটি সহকারী প্রযোজক হিসেবে প্রযোজনা করেন। একই বছর সাইমন তার জ্যারি ল্যান্ডিস নাম নিয়ে “দ্য লোন টিন রেঞ্জার” গানের মাধ্যমে পপ চার্টে ৯৯ নাম্বারে পৌঁছেন। টপ চার্টের দুটি গানই অ্যামি রেকর্ডস থেকে রেকর্ড করা হয়েছিল।
১৯৬৪ সালে সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল কলম্বিয়া রেকর্ডে একটি অডিসনে যায় এবং কলম্বিয়া রেকর্ডের নির্বাহী ক্লাইভ ডেভিস তাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিল ও এই জুটির সাথে একটি অ্যালবাম রেকর্ডের চুক্তি করেন। কলম্বিয়া রেকর্ডস এই জুটির পূর্বের নাম টম ও জেরির পরিবর্তে সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সাইমন নাম পরীবর্তনের বিষয়ে ২০০৩ সালে মন্তব্য করেন, পপ সঙ্গীতে নিজেদের আসল নাম ব্যবহার করে দল গঠন এটাই প্রথম।[14] সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল জুটির প্রথম অ্যালবামটি ছিল “ওয়েন্সডে মর্নিং, ৩ এ.এম.” যা ১৯৬৪ সালের ১৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। ফোক ঘরনার এই অ্যালবামে মোট গান ছিল ১২টি যার মধ্যে ৫টি সাইমন নিজে লিখেছেন। প্রথম দিকে অ্যালবামটি খুবি বেশি সফল হয়নি।
একক সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে সাইমন ইংল্যান্ড পদার্পণ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের ফোক ক্লাব ও কফি হাউজে ভ্যমন করতেন। তিনি প্রথম এসেক্সের ব্রেন্টওডে অবস্থিত রেলওয়ে ইন ফোক ক্লাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সেখানে তিনি ক্যাথি চিটির সাথে পরিচিত হন যে পরবর্তীতে তার প্রেমিকাতে পরিনত হয়। সাইমনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ক্যাথি বিবিন্ন ধরনের সঙ্গীত রচনা করেন যার মধ্যে “আমেরিকা” অন্যতম। তিনি লন্ডণের লেস কাজিন্সে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ও বিভিন্ন ফোক ক্লাবে ভ্রমণ করেন যা তাকে বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের সাথে পরিচিত করে তোলে। ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডে দ্য পল সাইমন সংবুক নামে তার একটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় সাইমন অস্ট্রেলিয়ার পপ ব্যান্ড দ্য সিকার-এর ব্রুস উডলির সাথে মিলে কিছু গান রচনা করেন। গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আই উইস ইউ কোড বি হিয়ার, ক্লাউডি, এবং রেড রাবার বল। ক্লাউডি গানটি পার্সলি,সেজ,রোজম্যারি ও থিম অ্যালবামে প্রকাশিত হয় কিন্তু গানটি লেখার কৃতিত্ব থেকে উডলির নাম বাদ দেওয়া হয়। মার্কিন ব্যান্ড “দ্য সার্কেল”, রেড রাবার বল গানটি রেকর্ড করেন এবং এটি আমেরিকার টপ চার্টে ২ নাম্বারে পৌঁছে। সাইমন একইসাথে দ্য সিকারের জন্যও গান লেখা অব্যাহত রাখেন। যার মধ্যে “সামডে ওয়ানডে” ১৯৬৬ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়। এটি প্রায় একই সাথে প্রকাশিত হয় যখন সাইমন ও গার্ফোঙ্কেলের হোমওয়ার্ড বন্ড গানটি প্রকাশিত হয়।
আমেরিকার ফেরার পর সেখানকার ইস্ট কোস্ট রেডিও স্টেশন ওয়েন্সডে মর্নিং ও সাইমনের দ্য সাউন্ড অফ সাইলেন্স গান বাজানোর জন্য অনুরোধ পেতে শুরু করে। তাদের প্রযোজক টম উইলসন ইলেক্ট্রিক গিটার, বেস গিটার ও ড্রামের সাহায্যে গানটি পুনরায় প্রকাশ করে যা যুক্তরাষ্ট্রের পপ চার্টে এক নাম্বারে অবস্থান করে। এই গানের সাফল্যের পর সাইমন গার্ফোঙ্কেলের সাথে পুনরায় জুটি বাধে ও তারা একসাথে আরো চারটি জনপ্রিয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এগুলো হল, সাউন্ডস অফ সাইলেন্স, পার্সলি, সেজ, রোজম্যারি ও থিম, বুকেন্ডস এবং ব্যাপক সফল ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার। সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল মাইক নিকোল্সের চলচ্চিত্র দ্য গ্রাজুয়েট (১৯৬৭) এর জন্য সঙ্গীত রচনা করেন। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন ডাস্টিন হফম্যান ও অ্যানি বেনক্রফ।গ্রাজুয়েট চলচ্চিত্রে অ্যানির চরিত্রের নাম ছিল রবিনসন কিন্তু সাইমন যখন “মিসেস রবিনসন” গানটি লেখেন তখন তিনি এর শিরোনাম দিয়েছিলেন “মিসেস রোজিভেল্ট”। গার্ফোঙ্কেল এই ভুল সিদ্ধান্তটি পরিচালকের কাছে ধরিয়ে দেন এবং পরিচালক বলেন, আমার এখানে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি ও এটা মিসেস রবিনসন।[15] সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড ফিরে আসেন এবং ক্রাফ্ট হলে একটি গির্জার কনসার্টে অংশ নেন যা বিবিসিতে সম্প্রচার করা হয় এবং এখানে অ্যাঞ্জি বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সাইমনের ভাই এডি পরিচিত লাভ করেন।[16]
সাইমন ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটারের পর মৌলিক গান লেখায় মনোযোগ দেন ও গার্ফোঙ্কেলের সাথে বিভিন্ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেন। যেমন তাদের ১৯৭৫ টপ টেন সিঙ্গেল মাই লিটল টাউন। সাইমন এটি গার্ফোঙ্কেলের জন্য লেখেন। এই গানটি তাদের দুজনের মৌলিক অ্যালবামেই স্থান পেয়েছিল- পল সাইমনের “স্টিল ক্রেজি আফটার অল দিস ইয়ারস” ও গার্ফোঙ্কেলের “ব্রেকাওয়ে”। জনপ্রিয় বিশ্বাস প্রচলিত এই গানটি সাইমনের প্রথম জীবনে নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করা নিয়ে লেখা হয়নি।[17] ১৯৮১ সালে তারা পুনরায় একত্রিত হন সেন্ট্রাল পার্কের কনসার্টের জন্য। একসাথে বিশ্ব ভ্রমণ সম্পন্ন করেন এবং একটি বাতিল রিইউনিয়ন অ্যালবাম প্রকাশের চিন্তা করেন যার নাম দেওয়া হয়েছিল “থিংক টু মাচ” যা পরবর্তীতে গার্ফোঙ্কেলকে ছাড়াই “হার্টস এন্ড বোনস” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। ১৯৯০ সালে তারা দুজন একত্রে “রক এন্ড রোল হল অফ ফেমে” অভিষিক্ত হন।[6]
২০০৩ সালে সাইমন ও গার্ফোঙ্কেল আরো একবার একত্রিত হন যখন তাদেরকে আজীবন সম্মামনা গ্রামি পুরস্কার প্রদান করা হয়। একত্রিত হয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রে একটি ট্যুার সম্পন্ন করেন যার নাম ছিল, “ওল্ড ফ্রেন্ডস”। ২০০৪ সালে রোমের কোলোসিয়ামে একটি বিনামূল্যের কনসার্টের আয়োজন করা হয় যেখানে ৬০০,০০০ লোক সমাগম ঘটেছিল।[18] ২০০৫ সালে এই জুটি অ্যারোন নেভিলির সাথে মিলে “ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার”, “মিসেস রবিনসন”, ও “হোমওয়ার্ড বন্ড” পরিবেশন করেন যা পরবর্তীতে হারিকেন ক্যাটরিনায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্যের জন্য ডিভিডি আকারে প্রকাশিত হয়। এই জুটি প্রায় ছয় বছর পর নিউ ওরলেন্সে “নিউ ওরলেন্স জাজ এন্ড হেরিটেজ ফেস্টিভালে” পুনরায় একত্রিত হন।[19]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.