![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/50/Venus_symbol_%2528heavy_pink%2529.svg/langbn-640px-Venus_symbol_%2528heavy_pink%2529.svg.png&w=640&q=50)
নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ
১৯৬০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভূত নারীবাদী কর্মকাণ্ড / From Wikipedia, the free encyclopedia
নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ হল নারীবাদী কার্যকলাপের সংগঠিত দ্বিতীয় পর্যায়, যা ১৯৬০ এর দশকের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্রে আরম্ভ হয়ে ক্রমশ অবশিষ্ট পাশ্চাত্য বিশ্ব এবং বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে।যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রভাব ছিল ১৯৮০ এর দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত।[1] পরিণতির সময়ে এটি বিশ্বের একাধিক স্থানে প্রভাব বিস্তার করেছিল, যেমন ইউরোপ এবং তুরস্ক[2] ও ইস্রায়েল[3] প্রভৃতি এশীয় ভূখণ্ড। ইস্রায়েলে এই আন্দোলন শুরু হয় ১৯৮০ এর দশকে, আর অন্যান্য দেশেও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এর সূচনা হয়।
নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ নারীর ভোটাধিকার এবং লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার অন্যান্য আইনি বাধা দূর করার জন্য সক্রিয় ছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গ এই কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তার করে আরও অনেকগুলো বিষয় এর আওতায় নিয়ে আসে, যেমন: যৌনতা, পরিবার, কর্মক্ষেত্র, প্রজননগত অধিকার, দে ফ্যাক্টো অসাম্য এবং আনুষ্ঠানিক আইনি অসাম্য।[4] মূলধারার নারীরা যখন প্রধানত দ্বিতীয় তরঙ্গের সক্রিয়তার ফলে বিভিন্ন পেশায়, সেনাবাহিনীতে, গণমাধ্যমে এবং ক্রীড়াজগতে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন, তখন দ্বিতীয় তরঙ্গের নারীবাদীরা পারিবারিক হিংসা, বৈবাহিক ধর্ষণ, ধর্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার আইনি স্বীকৃতি, নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হওয়া নারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং বিবাহ-বিচ্ছেদ ও তৎসংক্রান্ত আইনের সংশোধনের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই পর্যায়ের আন্দোলনের প্রধান কর্মসূচী ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সমানাধিকার সংশোধনী ("ইকুয়াল রাইটস অ্যামেন্ডমেন্ট" তথা ইআইএ) বিল পাশের প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টা ফিলিস শ্ল্যাফলির নেতৃত্বাধীন নারীবাদ-বিরোধীদের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়।
অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন ১৯৮০ এর দশকের নারীবাদী যৌনতা বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের সমাপ্তি সূচিত করে। যৌনতা এবং পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত এই দীর্ঘস্থায়ী বিতর্কের ফলেই ১৯৯০ এর দশকের গোড়ায় নারীবাদের তৃতীয় তরঙ্গের আরম্ভ হয়।[5][6][7][8][9]