দ্য টাইম মেশিন হারবার্ট জর্জ ওয়েলস রচিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। বইটি ১৮৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। ওয়েলস মূলত সময় ভ্রমণ বিষয়বস্তু নিয়ে লেখার জন্য প্রসিদ্ধ। ওয়েলস প্রবর্তিত টাইম মেশিন নামটি এখন এক ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
দ্রুত তথ্য লেখক, প্রচ্ছদ শিল্পী ...
বন্ধ
দ্য টাইম মেশিন একই নামের তিনটি চলচ্চিত্রে, দুটি টেলিভিশন সিরিজে এবং বেশ কয়েকটি কমিক বইয়ে গৃহীত হয়েছে। এছাড়া বইটি পরোক্ষভাবে আরও বেশ কিছু কল্পকাহিনীকে প্রভাবিত করেছে।
ওয়েলস এর আগেও সময় ভ্রমণ ধারণাটি তার ছোট গল্প দ্য ক্রনিক আর্গোনাট্স (১৮৮৮) ব্যবহার করেন। তার কলেজের পত্রিকায় প্রকাশিত বইটি দ্য টাইম মেশিন বইয়ের ভিত্তি গড়ে তুলেছিল।
ওয়েলস পল মল গেজেট-এ এই কাজের কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ লেখার কথা ভাবেন। এমন সময় গেজেটটির প্রকাশক তাকে এই বিষয় নিয়ে একটি ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার কথা বলেন। ওয়েলস তার প্রস্তাবে সম্মত হন এবং ১৮৯৫ সালে হেইনিম্যান থেকে প্রকাশিত হওয়ার সময় ১০০ পাউন্ড স্টার্লিং পারিশ্রমিক পান।[1] হেনরি হোল্ট অ্যান্ড কোম্পানি ১৮৯৫ সালের ৭ মে প্রথম মুদ্রিত বই প্রকাশ করে;[2] এবং হেইনিম্যান ২৯ মে ইংরেজি মুদ্রণ প্রকাশ করে।[1] দুই প্রকাশনার সম্পাদনায় ভিন্নতা রয়েছে। হেনরি হোল্ট অ্যান্ড কোম্পানি সম্পাদিত বইটি হোল্ট টেক্সট ও হেইনিম্যান সম্পাদিত বইটি হেইনিম্যান টেক্সট নামে পরিচিত। তবে পরবর্তীকালে হেইনিম্যান প্রকাশনার বইটিই সর্বাধিক সম্পাদিত হয়।
গল্পে ওয়েলসের নিজের সামাজিক রাজনৈতিক মতাদর্শ, তার জীবন ও প্রাচুর্য, এবং শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক সমসাময়িক উদ্বেগের প্রতিফলন দেখা যায়। গল্পটিতে রে ল্যাঙ্কেস্টারের সামাজিক অবনতি তত্ত্বের প্রভাব রয়েছে।[3] এবং এডওয়ার্ড বুলওয়্যার-লিটন রচিত উপন্যাস ভ্রিল, দ্য পাওয়ার অফ দ্য কামিং এজ (১৮৭১) এও এই বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।[4] এই ধরনের বিষয়ের উপর অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক কাজসমূহ, এডওয়ার্ড বেলামির উপন্যাস লুকিং ব্যাকওয়ার্ড: ২০০০-১৮৮৭ (১৮৮৮)[5] এবং চলচ্চিত্র মেট্রোপলিস (১৯২৭)।[6]
এই কাজটি মৃতপ্রায় পৃথিবী উপধরনের প্রাথমিক সময়ের উদাহরণ। উপন্যাসের যে অংশে সময় ভ্রমণকারী দূরবর্তী ভবিষ্যৎ দেখছে যেখানে সূর্য অনেক বড় এবং লাল, তাতে মূলত সময়, পৃথিবী ও মানবজাতির শেষ দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[7]
ইংরেজ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক রিচমন্ড ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডের সারেতে বাস করেন এবং একজন বর্ণনাকারী তাকে টাইম ট্রাভেলার হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী সাপ্তাহিক ডিনার টেবিলে তার পেশকৃত বক্তৃতা বর্ণনা করেন। ট্রাভেলার বলেন যে সময় হল চতুর্মাত্রিক একটি বিষয় এবং তিনি টেবিলের উপর রাখার তার যন্ত্রের মডেলের মাধ্যমে তা দেখান। তিনি দেখান যে তিনি এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যা একজন ব্যক্তিকে সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করাতে পারেন যে পরবর্তী সপ্তাহে ফিরে এসে নতুন বর্ণনাকারী হিসেবে নতুন অনেক গল্প বর্ণনা করতে পারবেন।
একটি নতুন বর্ণনায় টাইম ট্রাভেলার খ্রিস্টপূর্ব ৮০২,৭০১ অব্দে চলে যান যেখানে তিনি এলয় নামে একটি ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের কৌতূহলের অভাবে তা সম্ভব হয় নি কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেন তারা খুবই শান্তিপূর্ণ একটি সম্প্রদায়। সেখান থেকে ফিরে টাইম ট্রাভেলার তার যন্ত্রটি খুঁজে পাচ্ছেন না এবং তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে যন্ত্রটি কেউ কাছেই কোন স্থানে নিয়ে গেছে যেখানে ভিতর থেকে লাগানো ভারী দরজা রয়েছে, যা দেখতে স্ফিংক্সের মত। তিনি যন্ত্রটি সেখান থেকে উদ্ধার করেন। রাতের আঁধারে তিনি বানর সদৃশ ভয়প্রদর্শনকারী মর্লকদের কবলে পড়েন, যারা মাটির নিচে অন্ধকারে বাস করে এবং রাতে ভূপৃষ্ঠে ওঠে। তাদের বাসস্থানে গিয়ে তিনি এমন সব যন্ত্রপাতি ও শিল্পের দেখা পান যা দিয়ে পৃথিবীকে স্বর্গ বানানো সম্ভব।
তিনি তার মতবাদ পাল্টিয়ে দেখেন যে মানুষের দৌড়াত্মে দুটি প্রজাতির উদ্ভব হয়েছে, একটি অলস শ্রেণী এলয় ও আরেকটি কর্মঠ শ্রেণী মর্লক। মর্লকেরা তার সময় যন্ত্রটি নিয়ে গেছে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পর তিনি মর্লকদের সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেন এবং জানতে পারেন অন্য কোন খাবার না পেয়ে তারা এলয়দের ভক্ষণ করে। ফলে তিনি তা এভাবে বিশ্লেষণ করেন যে, মর্লক ও এলয়দের সম্পর্ক প্রভু ও ভৃত্য নয় বরং খাদক ও খাদ্যবস্তু। ইতিমধ্যে তিনি উইনা নামের একটি এলয়কে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচান এবং কয়েকদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে স্নেহের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি উইনাকে নিয়ে দূরের একটি স্থানে যান এবং দেখেন সেখানে একটি জাদুঘর রয়েছে। জাদুঘরে ম্যাচ ও যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে যা দিয়ে তিনি তার যন্ত্র উদ্ধার করার জন্য মর্লকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন। এভাবে চলতে থাকে টাইম ট্রাভেলারের ভ্রমণ। তিনি উইনাকে তার সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান, কারণ দীর্ঘ ভ্রমণের ফলে সে ক্লান্ত। তারা একটি বনে থামে এবং সেখানে রাতে মর্লকেরা তাদের আক্রমণ করেলে উইনা জ্ঞান হারায়। ভ্রমণকারী আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালায় কিন্তু অচিরেই পুরো বনে আগুন লেগে যায়।
মর্লকেরা ভ্রমণকারীকে ধরার জন্য স্ফিংক্সের মুখ খোলে সময় যন্ত্র বের করে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে নি যে তিনি সেটা ব্যবহার করে পালিয়ে যাবেন। তিনি সে যন্ত্রটির লিভার টেনে সে সময় থেকে ৩০ মিলিয়ন বছর পরে চলে যান। সে সময়ে গিয়ে তিনি দেখেন মৃতপ্রায় পৃথিবীতে কয়েকটি প্রাণী বেঁচে আছে। লাল কাঁকড়ার মত কিছু প্রাণী রক্তের মত লাল সমুদ্র সৈকতে ধীরে ধীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং অসংখ্য প্রজাপতিকে ধাওয়া করছে। তিনি সময়ের সাথে সাথে ছোট ছোট ভ্রমণ চালাতে থাকেন এবং দেখেন পৃথিবীর ঘুর্ণন থেকে যাচ্ছে, সূর্য আরও বড়, লাল ও নিস্প্রভ হচ্ছে এবং পৃথিবী শান্ত ও ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে ও শেষ জীবিত প্রাণীসমূহও মারা যাচ্ছে। এসব দেখে বিপর্যস্ত হয়ে তিনি তার যন্ত্রের সাহায্যে ভিক্টোরিয়ান যুগে ফিরে তার সে স্থান ত্যাগ করার মাত্র ৩ ঘণ্টা পরে তার গবেষণাগারে ফিরে যান। ডিনারে আসা অবিশ্বাসকারী আমন্ত্রিতদের সামনে তিনি তার রোমাঞ্চকর ভ্রমণের কথা বর্ণনা করেন। তার ভ্রমণের সত্যতার নিদর্শন হিসেবে তিনি তার পকেট থেকে উইনার দেওয়া দুটি অদ্ভুত রকমের ফুল তাদের দেখান। মূল বর্ণনাকারী তখন বলেন তিনি পরের দিন সময় ভ্রমণকারীর বাড়িতে যান এবং তাকে আরেকটি ভ্রমণে বের হওয়ার আগে প্রস্তুত হতে দেখেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি ফিরে আসবেন বলে তিনি চলে যান এবং বর্ণনাকারী বলে তিনি তিন বছরেও ফিরে আসেন নি।
একাদশ পরিচ্ছেদের একটি অংশ মূল বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা নিউ রিভিউয়ে (মে ১৮৯৫) প্রকাশিত হয়েছিল। এই অংশটুকু মূলত ওয়েল্স তার সম্পাদক উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলির পরামর্শে লিখেছিলেন। হেনলি চেয়েছিলেন লেখক তার সম্পাদককে মান্য করে একটি পরিচ্ছদ বর্ধিত করুক যেখানে মনুষ্যতের চরম অবনতি চিত্রিত হবে।[8] এই অংশটুকু আরেকটি বই দ্য গ্রে ম্যান-এ প্রকাশিত হয়েছিল।[9] বাদ দেওয়া অংশটুকু ফরেস্ট জে অ্যাকারম্যান সম্পাদিত পেরি রোডানের মার্কিন সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল।
বাদ দেওয়া অংশে বর্ণিত আছে ট্রাভেলার মর্লকদের থেকে পালিয়ে আসার পর ক্যাঙ্গারুসদৃশ ফুরি বসতি পুর্ণ অনাবিষ্কৃত স্থানে পৌঁছান। তিনি ভয় দেখান এবং একটিকে পাথরের আঘাতে হত্যা করেন এবং কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে দেখেন তা মানুষ/এলয়/মর্লকদের পূর্বপুরুষ হতে পারে। একটি বিশাল সরীসৃপসদৃশ আর্থ্রোপড তার দিকে ধেয়ে আসলে ট্রাভেলার সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং পরের দিন আবিষ্কার করেন সরীসৃপটি মনুষ্যসদৃশ ফুরিটিকে খেয়ে ফেলেছে। বাদ দেওয়া অংশটুকু সংগ্রহ করে রেখেছে ডোভার প্রেস ও ইস্টন প্রেস।[10]
১৯৬০ সালের শুরুর সময় থেকে দ্য টাইম মেশিন নিয়ে পন্ডিতগণ অনেক মতামত প্রদান করে। প্রথম দিকে ওয়েল্সের প্রথম উপন্যাসসমূহ নিয়ে বিশদ গবেষণা হয়েছে, যেমন বার্নার্ড বার্জোঞ্জির দ্য আর্লি এইচ. জি. ওয়েল্স: অ্যা স্টাডি অফ দ্য সাইন্টিফিক রোমান্সেস এবং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে কল্পলোক নিয়ে গবেষণা হয়েছে, যেমন মার্ক আর. হিলেজাসের দ্য ফিউচার অ্যাজ নাইটমেয়ার: এইচ. জি. ওয়েল্স অ্যান্ড দ্য অ্যান্টি-ইউটোপিয়ানস্। ১৯৭০-এর দশকে কিছু সমালোচনা ও লিখিত কাজ হয়েছে, যেমন বইটির জটিল প্রকাশনার ইতিহাস, পান্ডুলিপি ও অপ্রকাশিত খন্ড খুঁজে বের করা। ১৯৯৫ সালে বইটির শতবার্ষিকীতে আরও কিছু পর্যালোচনার পুনরুত্থান হয় এবং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৫ সালের কনফারেন্স এবং একাডেমিক পেপারে ব্যাপক পরিমাণে এই উপন্যাসের উদ্ধৃতি, যা মূলত ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া প্রেস থেকে ২০০১ সালে মুদ্রিত এইচ. জি. ওয়েল্স্স পেরেনিয়াল টাইম মেশিন: সিলেক্টেড এসেজ ফ্রম দ্য সেন্টেনারি কনফারেন্স, "দ্য টাইম মেশিন: পাস্ট, প্রেজেন্ট, অ্যান্ড ফিউচার" থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই প্রকাশনা পরে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গাইড বই এইচ. জি. ওয়েল্স্স দ্য টাইম মেশিন: অ্যা রেফারেন্স গাইড (প্রীজার, ২০০৪) লেখার অনুমতি দেয়। দ্য ওয়েলসিয়ান জার্নাল দ্য টাইম মেশিন ২০টির মত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমিক জার্নাল দ্য আনডায়িং ফায়ার ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর তিনটি নিবন্ধ প্রকাশ করে।
এলয় নামটি হিব্রু এলহিম শব্দের বহুবচন, বা ওল্ড টেস্টামেন্ট-এ ছোট দেবতা।[11] মর্লক নামটি মলক নাটক থেকে নেওয়া হতে পারে, যার স্কটিশ অর্থ হল নীচ,[11] অথবা দালমাতিয়ার মরলাচ্চি সম্প্রদায়কে উল্লেখ করা হয়েছে।[12] পরবর্তী হাইপোথিসিসে দেখা যায় বলকান মরলাকরা পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের ভ্রমণকারী ও লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইয়োহান গটফ্রিট হের্ডার ও ইয়োহান ভোলফগাং ফন গ্যোটে এবং প্রায়ই বিভিন্ন লেখনীতে আদিম মানুষ, পশ্চাৎপদ, বর্বর হিসেবে তাদের সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যেত।
দ্য টাইম মেশিনকে একটি প্রতীকী উপন্যাস বলে উল্লেখ করা হয়।। বইতে স্ফিংক্স, ফুল ও আগুনের প্রতীক রয়েছে। দ্য টাইম মেশিন বইটিই প্রতীকী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথম লন্ডন সম্পাদনার লেখক ওয়েল্সের অনুরোধে বইটির মলাটে স্ফিংক্সের ছবি ব্যবহৃত হয় এবং তা পাঠকদের কাছে পরিচিতি লাভ করে।[11] স্ফিংক্সের মূর্তিতে মর্লকেরা সময় যন্ত্রটি লুকিয়ে রেখেছিল এবং এই বইতে ইডিপাস রচিত গল্পের স্ফিংক্সের ধাঁধার উল্লেখ রয়েছে; যে গল্পে প্রাসাদের প্রবেশের পূর্বে স্ফিংক্সের ধাঁধার উত্তর দিতে হয়।[13] সাদা ফুল উইনার ভক্তি ও নিরীহতা এবং সময় যন্ত্রের যন্ত্রাংশের বিপরীত্যের প্রতীক।[13] আগুন সভ্যতার প্রতীক, কারণ সময় ভ্রমণকারী মর্লকদের তাড়াতে আগুনের ব্যবহার করেন কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং বনে আগুন লাগে।[13]
মূল উপন্যাসে সময় ভ্রমণকারীর প্রকৃত নাম দেওয়া না হওয়ায় অন্য উৎসসমূহ তাকে বিভিন্ন নামে পরিচিতি প্রদান করে।
- এইচ. জি. ওয়েল্সের প্রোপৌত্র সিমন ওয়েলস পরিচালিত ২০০২ সালে পুনঃনির্মাণে তিনি সময় ভ্রমণকারীর নামকরণ করেন আলেকজান্ডার হার্ট্ডজেন।
- স্টিফেন বেক্সটার পরিচালিত দ্য টাইম মেশিন-এর সিক্যুয়াল দ্য টাইম শিপস্-এ সময় ভ্রমণকারী এক সময় ভ্রমণে তার নিজের ছোট কোন সত্তার সাথে দেখা হয়। তার ছোট সত্তা তার প্রকৃত নাম মোজেস জেনে লজ্জিত হয়। সে ব্র্যান্ডিতে বড় একটি টান দেয় এবং রাগান্বিত ধূসর চোখে তার দিকে তাকিয়ে সে জিজ্ঞেস করে তার নাম যে মোজেস তা সে কীভাবে জানে; যেকারণে স্কুলে তাকে সবাই বিরক্ত করত এবং যা সে বাড়ি ছাড়ার পর গোপন রেখেছিল।[14] এটি এইচ. জি. ওয়েল্সের দ্য ক্রনিক আর্গোনাটস্ গল্পে উল্লেখ করা হয়। গল্পে সময় যন্ত্রের উদ্ভাবকের নাম ডঃ মোজেস নেবোজিফেল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নেবোজিফেল নামটি ওয়েল্সের বেক্সটার প্রকাশিত বইতে ব্যবহার করেছেন।
- ফিলিপ হোসে ফার্মার ডক স্যাভেজ: হিজ অ্যাপোকালিপ্টিক লাইফ-এ সময় ভ্রমণকারীর নাম দেন ব্রুস ক্লার্ক ওয়াইল্ডম্যান।
- দ্য রুক কমিক বই ধারাবাহিকে সময় ভ্রমণকারীর নাম দেন অ্যাডাম ডেন।
- ডক্টর হু কমিক স্ট্রিপ গল্প দ্য ইটার্নাল প্রেজেন্ট-এর থিওফিলাস টলিভার চরিত্রটি ওয়েল্সের সময় ভ্রমণকারীর সাথে সম্পর্কিত। ওয়েল্স নিজেই টেলিভিশন ধারাবাহিক টাইমল্যাশ-এ অভিনয় করেন। এই গল্পের ঘটনাবলী থেকেই ওয়েল্স দ্য টাইম মেশিন লিখতে অনুপ্রাণিত হন।
- মার্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিক লিজেন্ডস্ অফ টুমরোর ১ম সিজনের ১১তম পর্বে টাইম মাস্টারদের থেকে নিজেকে আড়াল করার আশায় ভ্রমণকারীরা প্রাচীন পশ্চিমা সময়ে ফিরে আসেন। এসময়ে মার্টিন স্টেইন নামের একটি চরিত্র আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে একটি ছেলের জীবন বাঁচায়। একটি মারপিঠের দৃশ্যের পর ভ্রমণকারী দল ভবিষ্যৎ থেকে প্রাচীন সময়ে চলে এসেছে তা জানা যায় এবং মার্টিন স্টেইন জানতে পারেন তিনি যে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছেন তার নাম হার্বার্ট জর্জ ওয়েল্স। সে ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি এইচ. জি. ওয়েল্স? ছেলেটি উত্তর দেয়, এইচ. জি. ওয়েল্স, নামটি আমার পছন্দ হয়েছে।"[15]
- দ্য হার্টফোর্ড মেনুস্কিপ্ট-এ রিচার্ড কাউপার সময় ভ্রমণকারীর নাম দিয়েছেন ডঃ রবার্ট জেমস পেনস্লে, ১৮৫০ সালে জেমস ও মার্থা পেনস্লের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯৪ সালের ১৮ জুন কোন প্রকার খোঁজ না রেখে হারিয়ে যান, যিনি ওয়েল্সের মত একই সামাজিক ও রাজনৈতিক বৃত্তের মধ্যে ছিলেন - সুনির্দিষ্টভাবে ফেবিয়ান সমাজ-এ।
- আই.সি.ই.র গেমিং যন্ত্রপাতি টাইম রাইডারস্ সময় ভ্রমণকারীর নাম দিয়েছে অ্যাশলেই হোমস। এতে বলা হয়েছে সময় ভ্রমণকারী প্রকৃতপক্ষে একজন মহিলা যিনি পুরুষ শাসিত ভিক্টোরিয়ান যুগে পুরুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল। তাকে শার্লক হোমস-এর বোন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- এছাড়া বলা হয়ে থাকে সময় ভ্রমণকারী বিষয়টি টমাস এডিসন আবিষ্কার করেছেন।[16]
বেতার ও অডিও
- এস্কেপ - সিবিসি রেডিওতে দুইবার এই গল্প গৃহীত হয়; প্রথমবার জেফ কোরির কণ্ঠে ১৯৪৮ সালে এবং দ্বিতীয়বার জন ডেনার'র কণ্ঠে ১৯৫০ সালে। দুই পর্বেরই চিত্রনাট্য লিখেছেন আর্ভিং রেভেট্চ। সময় ভ্রমণকারীর নাম দেওয়া হয় ডুডলি এবং তার সাথে ছিল তার সংশয়বাদী বন্ধু ফ্লাওয়ার। তারা সময় যন্ত্রের সাহায্যে ১০০,০০৮ সালে চলে যান।
- অ্যালিয়েন ভয়েস (অডিও নাটক) - অডিও ক্যাসেট ও সিডি হিসেবে ১৯৯৪ সালে প্রকাশ করা হয়। লিওনার্ড নিময় সময় ভ্রমণকারীর ভূমিকায় কণ্ঠ দেন এবং এতে তার নাম ছিল জন। জন ডি ল্যান্সি ডেভিড ফিলবির ভূমিকায় কণ্ঠ দেন এবং তার ছেলেমেয়েরা এলয়দের চরিত্রে কণ্ঠ দেন।
- সেভেন্থ ভয়েস - ২০০০ সালে অ্যালান ইয়ং সেভেন্থ ভয়েস ইনকর্পোরেটেডের জন্য এবং ২০১৬ সালে বইটির ১২০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে এই বই পাঠ করেন।[17]
- বিবিসি বেতার ৩ সম্প্রচার - ২০০৯ সালে বিবিসি বেতার ৩ বিবিসি বেতারের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পর্বের জন্য এই বইয়ের ১০০ মিনিটের নাট্যরূপ তৈরি করেন। এটি পরিচালনা করেছেন জেরেমি মার্টিমের এবং নাটকটি ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সম্প্রচারিত হয়[18] এবং পরবর্তীতে বিবিসি অডিও বই হিসেবে এর ২টি সিডি বের হয়।
এতে মার্থার ভূমিকায় কণ্ঠ দেন ডনলা হিউজ, ছোট এইচ. জি. ওয়েলসের ভূমিকায় গুনার কথেরি, ছোট ওয়েলসের বন্ধু ফিলবি ও বেনেটের ভূমিকায় স্টিফেন ক্রিট্চল ও ক্রিস পাভ্লো, মিসেস ওয়াচেটের ভূমিকায় মাঞ্জিত মান, উইনার ভূমিকায় জিল ক্রাডো, ও অন্যান্য ভূমিকায় রবার্ট লন্সডেল, ইনাম মির্জা ও ড্যান স্টার্কি।
চলচ্চিত্র
- বিবিসি টেলিভিশন নাটক - প্রথম দৃশ্য মাধ্যমে এই বইটি গৃহীত হয় ১৯৪৯ সালের ২৩ জানুয়ারি, এতে টাইম ট্রাভেলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন রাসেল নেপিয়ার ও উইনার ভূমিকায় মেরি ডন। এই সরাসরি সম্প্রচারের কোন রেকর্ডিং রাখা হয় নি, শুধু কিছু সাদাকালো স্থিরচিত্র পাওয়া যায়। নাটকটির পান্ডুলিপি থেকে বুঝা যায় নাটকটিতে মূল বইয়ের কোন পরিবর্তন করা হয় নি।
- দ্য টাইম মেশিন (১৯৬০-এর চলচ্চিত্র) - জর্জ পাল প্রযোজিত ও পরিচালিত ১৯৬০ সালের মার্কিন চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেন রড টেইলর, অ্যালান ইয়ং ও ইভেতে মিমিয়েউক্স। চলচ্চিত্রটি একটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে।
১৯৯৩ সালে রড টেইলর টাইম মেশিন: দ্য জার্নি ব্যাক নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন, যেখানে অ্যালান ইয়ং ও হুইট বিসেলও উপস্থিত ছিলেন। এটি জর্জ পালের চলচ্চিত্রের একমাত্র সিক্যুয়াল এবং এই অনুষ্ঠানেরও চিত্রনাট্য লিখেছেন মূল চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার ডেভিড ডানকান। বিশেষ উপস্থিতি ছিলেন একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী ওয়াহ চ্যাং ও জিনি ওয়ারেন।
- দ্য টাইম মেশিন (১৯৭৮-এর চলচ্চিত্র) - ১৯৭৮ সালের ক্ল্যাসিকস্ ইলাস্ট্রেটেড ধারাবাহিকের একটি অংশ অবলম্বনে হেনিং শেলারআপ পরিচালিত ও সুন ক্ল্যাসিক পিকচার্স প্রযোজিত টেলিভিশন চলচ্চিত্র। এটি ওয়েলসের গল্পের আধুনিকীকরণ, যেখানে সময় ভ্রমণকারী ১৯৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের কাল্পনিক প্রতিরক্ষা সংস্থা দ্য মেগা কর্পোরেশন-এর হয়ে কাজ করেন। ডঃ নীল পেরি ও সম ভ্রমণকারীকে তাদের সহকর্মী ব্যানলি মেগা কর্পোরেশনের অন্যতম দুজন অবদানকারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
- দ্য টাইম মেশিন (২০০২-এর চলচ্চিত্র) - সিমন ওয়েলস পরিচালিত মার্কিন চলচ্চিত্র, ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ। এতে সময় ভ্রমণকারী হিসেবে অভিনয় করেছেন গাই পিয়ার্স। এ চলচ্চিত্রে তিনি একজন যন্ত্র প্রকৌশলের অধ্যাপক, নাম আলেকজান্ডার হার্টডিজেন। তার সহকর্মী ডেভিড ফিলবির ভূমিকায় অভিনয় করেন মার্ক এডি, আলেকজান্ডারের বাগদত্তা এমার ভূমিকায় সিয়েনা গুইলরি, মিসেস ওয়াচেটের ভূমিকায় ফিলিডা ল, উবার-মর্লকের ভূমিকায় জেরেমি আইরনস্ এবং দোকানদার চরিত্রে একটি ছোট ক্যামিও ভূমিকায় অভিনয় করেন অ্যালান ইয়ং, যিনি ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।
অন্য কাজ
- দ্য ফ্যান্টাসি ফিল্ম ওয়ার্ল্ডস্ অফ জর্জ পাল - জর্জ পালের জীবনীমূলক চলচ্চিত্র, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন আর্নল্ড লেভোবিট। এতে জর্জ পালের ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্রের কিছু চিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
- টাইম আফটার টাইম - নিকোলাস মেয়ার পরিচালিত ১৯৭৯ সালের মার্কিন চলচ্চিত্র। গল্পে এইচ. জি. ওয়েলস একটি সময় যন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং তার বন্ধুদের দেখান। তার বন্ধুদের একজন জ্যাক দ্য রিপার পুলিশের হাত থেকে পালাতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে ভবিষ্যতে (১৯৭৯) চলে যান। কিন্তু ভবিষ্যতে থাকার চাবি না থাকায় সে ফিরে আসে এবং ওয়েলস ভবিষ্যতকে বাঁচাতে তার পিছু নেয়।
- স্লাইডারস্ - রবার্ট কে ওয়েজ ও ট্রেসি টর্ম নির্দেশিত টেলিভিশন ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্ব দ্য লাস্ট ইডেন-এ দ্য টাইম মেশিন-এ বর্ণিত পৃথিবীর মত দুই শ্রেণীর জীবনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, এক শ্রেণী ভূপৃষ্ঠে বাস করে আরেক শ্রেণী ভূ-অভ্যন্তরে বাস করে।
- উইশবোন - রুক ডিফিল্ড নির্দেশিত টেলিভিশন ধারাবাহিকের বার্ক টু দ্য ফিউচার পর্বে দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসের মত উইশবোন সময় ভ্রমণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং উইনার সাথে তার দেখা হয়। তারা মর্লকদের সাথে যুদ্ধ করে।
- টাইম কিড - ২০০৩ সালের অ্যানিমেটেড টেলিভিশন চলচ্চিত্র। গল্পে সময় ভ্রমণকারী একজন উদ্ভাবকের সন্তান। সে সময় যন্ত্রের সাহায্যে ভবিষ্যতে তার পিতাকে খোঁজতে বের হয়।
- ওয়্যারহাউজ ১৩ - জেন এস্পেনসন ও ডি ব্রেন্ট মতে নির্দেশিত টেলিভিশন চলচ্চিত্রে সরকারী কর্মকর্তাদের হস্তনির্মিত একটি বস্তু উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কিছু নেতিবাচক অপ্রাকৃতিক ক্ষমতা রয়েছে। সে বস্তুসমূহ মাটির নিচে ওয়্যারহাউজ ১৩-তে ব্রোঞ্জনির্মিত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সাথে লুকানো রয়েছে। সেখান থেকে জানা যায় এইচ. জি. ওয়েলস আসলে একজন মহিলা, যার পুরো নাম হেলেনা জি. ওয়েলস। এইচ. জি. ওয়েলসের সময় যন্ত্রটিও সেখানে ছিল কিন্তু এর কাজে বইয়ে উল্লেখিত যন্ত্রের মত নয়।
- মর্লক - ২০১১ সালের সাইফাই টেলিভিশনের জন্য নির্মিত চলচ্চিত্র। এটি পুরোপুরি উপন্যাসের ভিত্তিতে নির্মিত নয়। গল্পে একজন ব্যর্থ বিজ্ঞানী জেমস রেডনর (ডেভিড হিউলেট) একটি সময় পোর্টাল তৈরি করেন। মর্লক নামক এক জাতি মানব জাতিকে ধ্বংস করে। এতে এলয় নেই তবে সময় ভ্রমণ প্রকল্পের সামরিক বাহিনীর নাম প্রজেক্ট এ.এল.ও.ওয়াই.।
- ফুতুরামা - ম্যাট গ্রোয়েনিং নির্দেশিত টেলিভিশন ধারাবাহিকের সপ্তম সিজনের সপ্তম পর্ব দ্য লেট ফিলিপ জে ফ্রাই-এ মূল বইয়ের কিছু অংশ ব্যবহৃত হয়েছে।
- টোটাল ড্রামা: দ্য রিডানকুলাস রেস - টেলিভিশন কার্টুন ধারাবাহিকের ২২তম পর্বে চরিত্রগুলো তাদের লাল টেনিস বল উদ্ধার করতে একটি গুহায় নামে। যখন কিটি গুহায় একা হয়ে পরে তখন তার পিছনে মর্লককে দেখা যায়।
কমিক বই
- ক্ল্যাসিকস্ ইলাস্ট্রেটেড - ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে মার্কিন সম্পাদনায় দ্য টাইম মেশিনকে প্রথম কমিক বই ফরম্যাটে রূপান্তর। ক্ল্যাসিকস্ ইলাস্ট্রেটেড-এর ফরাসি ভাষান্তর ক্লাসিক ইলাস্ট্রেস বের হয় ১৯৫৭ সালের ডিসেম্বর মাসে, স্ট্রাটো পাবলিকেশন্স থেকে অস্ট্রেলীয় ভাষান্তর ক্লাসিকস্ ইলাস্ট্রেটেড বের হয় ১৯৫৭ সালে, ফিনীয় ভাষান্তর কুভিতেতুজা ক্লাসিকোজা বের হয় ১৯৫৭ সালের নভেম্বর মাসে। পরবর্তীতে ক্ল্যাসিকস্ ইলাস্ট্রেটেডের গ্রীক ভাষান্তর প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে, সুয়েডীয় ১৯৮৭ সালে, জার্মান ১৯৯২ সালে এবং কানাডীয় ইংরেজি পুনঃমুদ্রণ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।
- ১৯৭৬ সালে মার্ভেল কমিকস্ তাদের মার্ভেল ক্ল্যাসিকস্ কমিকস্ ধারাবাহিকে আলেক্স নিনোর অঙ্কিত চিত্রসহ দ্য টাইম মেশিন-এর নতুন রূপান্তর প্রকাশ করে। এই রূপান্তর এর আগে প্রথম ১৯৭৩ সালে পেন্ডুলাম প্রেস থেকে তাদের পেন্ডুলাম নাউ এজ ক্ল্যাসিকস্ ধারাবাহিকে প্রকাশিত হয়েছিল। মার্ভেল ১৯৭৬ সালে এই বইকে রঙ্গিন পুনঃমুদ্রণ করে।
- ১৯৯০ সালে ইটার্নিটি কমিকস্ দ্য টাইম মেশিন অবলম্বনে তিনটি ইস্যু নিয়ে একটি ছোট ধারাবাহিক প্রকাশ করে। বইটি লিখেন বিল স্পেংলার এবং ছবি অঙ্কন করেন জন রস। বইটি পেপারব্যাক গ্রাফিক উপন্যাস হিসেবে ১৯৯১ সালে সংগৃহীত হয়।
- দ্য রুক - ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত ডার্ক হর্স কমিকস্-এর কমিক ধারাবাহিক।
- লা বেলে ভ্যালেন্স - থিও ভার্লেত ও আন্দ্রে ব্লান্দিন রচিত ১৯২৩ সালের বই, যেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কিছু সৈনিক সময় যন্ত্র ব্যবহার করে ১৪শ শতাব্দীর স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরে চলে যায়। বইটি ২০১২ সালে ব্রায়ান স্টেবলফোর্ড টাইমস্লিপ ট্রুপারস্ নামে ইংরেজি অনুবাদ করেন।
- ডাই রুকার দার জেইৎমাশিন - ঈগন ফ্রিদেল রচিত প্রথম সরাসরি সিক্যুয়াল, প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে। ২৪,০০০ শব্দের জার্মান মূল ভাষার বইটি ১৯৪০-এর দশকে ইংরেজিতে দ্য রিটার্ন অফ দ্য টাইম মেশিন নামে অনুবাদ করেন এডি সি বার্টিন এবং প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে।
- দ্য হার্টফোর্ড মেনুস্ক্রিপ্ট - রিচার্ড কাউপার রচিত বইটি ১৯৭৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই বইতে সময় ভ্রমণকারীর নাম দেওয়া হয় রবার্ট জেমস পেনস্লি, যিনি ১৮৮০ সালে জেমস ও মার্থা পেনস্লির কোলে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯৪ সালে হারিয়ে যান।
- দ্য স্পেস মেশিন - ক্রিস্টোফার প্রিস্ট রচিত বইটি ১৯৭৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- মর্লক নাইট - কে ডব্লিউ জেতার রচিত বইটি ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়। এই গল্পে মর্লকেরা টাইম মেশিন নিয়ে গবেষণা করে এবং ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডে হানা দেয়।
- টাইম মেশিন ২ - জর্জ পাল ও জো মোরহেইম রচিত ১৯৮১ সালে প্রকাশিত বই।
- দ্য ম্যান হু লাভড্ মর্লকস্ (১৯৮১) ও দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট উইনা (১৯৯৮) দুইটি ভিন্ন সিক্যুয়াল, প্রথমটি উপন্যাস ও পরেরটি ছোট গল্প, লিখেছেন ডেভিড জে. লেক।
- দ্য টাইম শিপস্ - স্টিফেন বেক্সটার রচিত বইটি ১৯৯৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই সিক্যুয়ালটি দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ওয়েল্সের উত্তরাধিকারীদের দাপ্তরিক অনুমোদন পায়।
- দ্য স্টীম ম্যান অফ দ্য প্রেইরি অ্যান্ড দ্য ডার্ক রাইডার গেট ডাউন: অ্যা ডাইম নভেল - জো আর. ল্যান্সডেল রচিত বইটি দ্য লং ওয়ানস্ প্রথম ১৯৯৯ সালে প্রকাশ করে। গল্পে সময় ভ্রমণকারী ভুলক্রমে সময় যন্ত্রটি নষ্ট করে ফেলে এবং যন্ত্রটি একটি ভ্যাম্পায়ারের মত দেখতে ডার্ক রাইডারে পরিণত হয়।
- অন দ্য সারফেস - রবার্ট জে. সয়্যার রচিত ২০০৩ সালে বই। গল্পে মর্লকেরা টাইম মেশিনের বহর নির্মাণ করে এবং ওয়েল্স তার মূল বইয়ে যে ভবিষ্যতের কথা বলেছেন তা জয় করতে বের হয়।
- বিয়ন্ড দ্য টাইম মেশিন (২০০৫) ও ট্যাঙ্গলস্ ইন টাম (২০০৫) - বার্ট লিব তার প্রথম বইতে লিখেন সময় ভ্রমণকারী অবশেষে ৩৩শ শতাব্দীতে থিতু হন এবং দ্বিতীয় বইতে তিনি উইনাকে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেন, যার মধ্যে ছোট সন্তানটি সেই গল্পের প্রধান চরিত্র।
- অ্যালান অ্যান্ড দ্য সান্ডারড্ ভেইল - অ্যালান মুর ও কেভিন ও'নেইল রচিত বইটি দ্য লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনার জেন্টলম্যান, ভলিউম ওয়ান-এর প্রিক্যুয়াল, যেখানে সময় ভ্রমণকারী সাহিত্যিক অ্যালান কোয়াটারমেইন, জন কার্টার ও র্যান্ডল্ফ কার্টারদের সাথে ভ্রমণ করেন।
- দ্য টাইম মেশিন: অ্যা সিক্যুয়াল - ডেভিড হেডেনের ২০১০ সালের সরাসরি সিক্যুয়াল, যা মূল বই যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু করা হয়েছে। সময় ভ্রমণকারী উইনাকে বাঁচাতে যান, কিন্তু দেখেন এলয়রা আগের তুলনায় আরও বেশি সহজ সরল এবং সময় ভ্রমণ আরও জটিল।
- দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার: সাইকিক ব্যাটেলিয়নস্ অ্যাগেইন্স্ট দ্য মর্লক - সিমন বেক্সটারের ২০১০ সালের উপন্যাস, যেখানে মর্লকরা ভবিষ্যৎ থেকে ফেরার পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য পৃথিবীকে শাসন করছে।
- টাইম-মেশিন ট্রুপারস্ - হাল কোলব্যাচ রচিত বইটি ২০১১ সালে অ্যাকাশিক পাবলিশার্স প্রকাশ করে। বইটি মূল বইয়ের দ্বিগুণ।
- দ্য টাইম ট্রাভেলার্স টেল: ক্রনিকল অফ অ্যা মর্লক ক্যাপ্টিভিটি - পল স্কুলারির ২০১২ সালের বইতে ওয়েল্সের মূল বইয়ের গল্পই চলতে থাকে। অনেক বছরের অনুপস্থিতির পর সময় ভ্রমণকারী ফিরে আসে এবং তার ভ্রমণের গল্প বর্ণনা করে।
- অ্যানো ৮০২৭০১ - পাবলো গোমেজ রচিত ২০১৪ সালের বইতে জর্জ পালের চলচ্চিত্রের গল্প চলতে থাকে। সময় ভ্রমণকারী সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পরও এলয়দের জন্য নতুন পৃথিবী গড়ে তুলে।
- গ্রেট ইলাস্ট্রেটেদ ক্ল্যাসিকস্-এ ওয়েল্সের উপন্যাস গৃহীত হয় এবং ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়। গল্পে সময় ভ্রমণকারী ২২০০ সালে তার বাড়িতে ফিরলে টেকনোক্রেট ও বিরোধীদলের মধ্যে সংগঠিত গৃহযুদ্ধে চলাকালীন তাকে বন্দী করা হয়।
- কল্পকাহিনীতে সময় ভ্রমণ
- সময় ভ্রমণ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর তালিকা
Hammond, John R. (২০০৪)। H. G. Wells's The Time Machine: A Reference Guide। Westport, Conn.: Praeger। আইএসবিএন 0313330077।
Hammond, John R. (২০০৪)। H. G. Wells's The Time Machine: A Reference Guide। Westport, Conn.: Praeger। পৃষ্ঠা 50। আইএসবিএন 0313330077।
Stover, Leon (১৯৯৬)। The Time Machine: An Invention – A Critical Text of the 1895 London First Edition। Jefferson, NC: McFarland & Company। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 0786401249।
Baxter, Stephen. The Time Ships (HarperPrism, 1995), p. 137.
টেমপ্লেট:এইচ. জি. ওয়েল্স