দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে দখলকৃত ফ্রান্সে জার্মান সামরিক প্রশাসন
From Wikipedia, the free encyclopedia
ফ্রান্সে সামরিক প্রশাসন (জার্মান: মিলিটারওয়ারওয়াল্টং ইন ফ্রাঙ্করেইখ; ফরাসি: অকুপেশন দে লা ফ্রান্স পের লা'আলেমেগনে) হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন দখলীকৃত কর্তৃত্ব, যার উদ্দেশ্য ছিল উত্তর ও পশ্চিম ফ্রান্সের দখলীকৃত অঞ্চলগুলিতে শাসন করা। ১৯৪২ সালের নভেম্বরে, এই তথাকথিত জোন অকুপির নতুন নামকরণ করা হয় জোন নর্ড ("উত্তর অঞ্চল"), এইসময় দক্ষিণে পূর্বে দখলহীন অঞ্চল যেটি জোন লিব্রে ("মুক্ত অঞ্চল") নামে পরিচিত ছিল, সেটিও দখল হয়ে যায় এবং তার নামকরণ করা হয় জোন সাড ("দক্ষিণ অঞ্চল")।
ফ্রান্সে সামরিক প্রশাসন | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৪০–১৯৪৪ | |||||||||||||
জার্মানি (গোলাপী) এবং ইতালির (হলুদ) ফ্রান্সের দখলীকৃত অঞ্চল: জোন অকুপি, জোন লিব্রে, জোন ইন্টারডাইট, বেলজিয়াম এবং উত্তর ফ্রান্সে সামরিক প্রশাসন, এবং সংযুক্ত আলসেস-লোরেন | |||||||||||||
অবস্থা | জার্মান সামরিক প্রশাসনের অধীন অঞ্চল | ||||||||||||
রাজধানী | প্যারিস | ||||||||||||
সামরিক কমান্ডার | |||||||||||||
• ১৯৪০-৪২ | অটো ভন স্ট্যাল্পনেওজেল | ||||||||||||
• ১৯৪২-৪৪ | সি এইচ ভন স্ট্যাল্পনেওজেল | ||||||||||||
• ১৯৪৪ | কার্ল কিটজিঙ্গার | ||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ | ||||||||||||
• সেকেন্ড কম্পাইন | ২২শে জুন ১৯৪০ | ||||||||||||
• কেস আন্তোন | ১১ই নভেম্বর ১৯৪২ | ||||||||||||
• প্যারিসের মুক্তি | ২৫শে আগস্ট ১৯৪৪ | ||||||||||||
|
ওয়্যামাটএর ব্লিট্জক্রিগ যুদ্ধের পদ্ধতিতে ফ্রান্সের পতন ঘটে। তারপরে কম্পাইনে দ্বিতীয় আর্মিস্টাইস নির্ধারিত শর্ত দ্বারা সেখানে আংশিকভাবে সামরিক প্রশাসন শুরু হয়। ফরাসী এবং জার্মান উভয়ই ভেবেছিল ব্রিটেন শর্ত মেনে নেওয়া পর্যন্তই এই দখল স্থায়ী হবে, এবং বিশ্বাস করা হয়েছিল এটি খুব তাড়াতাড়িই ঘটবে। উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি থাকবে, এই শর্তে ফ্রান্স সম্মতি জানায়।
ফ্রান্সের পরাজয়ের সময় ভেঙে যাওয়া ফরাসি তৃতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিস্থাপন ক'রে "ফ্রেঞ্চ স্টেট" (এটাত ফ্রানাইস) গঠিত হয়, এর সার্বভৌমত্ব এবং কর্তৃত্ব - মুক্ত অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। যেহেতু প্যারিস দখলকৃত অঞ্চলে ছিল, এর সরকার অবার্ণএর ভিচি শহর থেকে কাজ করতে থাকে, এবং তাই এটি ভিচি ফ্রান্স হিসাবে বেশি পরিচিত হয়।
ভিচি সরকার নামেমাত্র সমস্ত ফ্রান্সের দায়িত্বে ছিল, দখলকৃত অঞ্চলে সামরিক প্রশাসন ছিল ডি ফ্যাক্টো (প্রকৃতপক্ষে) নাৎসি স্বৈরতন্ত্র। ১৯৪২ সালের ৮ই নভেম্বর ফরাসী উত্তর আফ্রিকাতে মিত্রশক্তির অবতরণের পর, অপারেশন টর্চের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ১১ই নভেম্বর ১৯৪২ কেস আন্তোন এর সময়, জার্মানি ও ইতালি মিলে ফ্রান্স আক্রমণ করে এবং তারপর নাৎসিদের নিয়ম - মুক্ত অঞ্চলেও চালু হয়। ভিচির সরকার তখনও বর্তমান ছিল, যদিও তাদের কর্তৃত্বের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়।
নরম্যান্ডি এবং প্রোভেন্স অবতরণের পরে ফ্রান্সের মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সের সামরিক প্রশাসনের অন্ত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব যদিও ১৯৪০ সালের মে থেকে ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল, কিন্তু ১৯৪৪ গ্রীষ্মের শেষের দিকে এর বেশিরভাগ অঞ্চল মিত্রশক্তি মুক্ত করে।