দেবশ্রী রায়
ভারতীয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, রাজনীতিবিদ ও পশু-অধিকার সংরক্ষক / From Wikipedia, the free encyclopedia
দেবশ্রী রায় (জন্ম: ৮ আগস্ট, ১৯৬২) একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, রাজনীতিবিদ ও পশু-অধিকার সংরক্ষক।[2] তিনি নটরাজ দলের কর্ণধার। তিনি ভারতীয় লোকনৃত্যকে পাশ্চাত্য মঞ্চে উপস্থাপনা করেন এবং ধ্রুপদী ও লোকনৃত্যের সংমিশ্রণে এক অপূর্ব নৃত্যকৌশলী রচনা করেন। তিনি বাংলা ছায়াছবির অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেবশ্রী রায় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং দুই দশকব্যাপী তাঁর বাণিজ্যিক সাফল্য ধরে রাখেন।[3] তিনি তামিল চলচ্চিত্রে "চিন্তামণি" নামে অভিনয় করেছেন। তিনি একশোরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং পেয়েছেন চল্লিশের বেশি পুরস্কার। তিনি একজন পশুপ্রেমী।[4][5] তিনি ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের একজন মাননীয় বিধায়ক।
দেবশ্রী রায় | |
---|---|
চুমকী | |
জন্ম | (1962-08-08) ৮ আগস্ট ১৯৬২ (বয়স ৬১)[1] কলকাতা, ভারত |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী নৃত্যশিল্পী বিধায়ক |
পরিচিতির কারণ | বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, ভারতীয় রাজনৈতিক নেত্রী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম |
|
তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হিরন্ময় সেনের পাগল ঠাকুর (১৯৬৬)। এরপর তরুণ মজুমদারের কুহেলী (১৯৭১) ছবিতে রাণুর চরিত্রে অভিনয় করার পরে তার পরিচিতির বিস্তার ঘটে। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের নদী থেকে সাগরে (১৯৭৮) ছবিতে তিনি প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন।[6] ১৯৮১ সালে অপর্ণা সেনের ৩৬ চৌরঙ্গী লেন ছবিতে অভিনয়ের সুবাদেই দেবশ্রী সর্বভারতীয় মুখ হিসাবে পরিচিত হন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি কনক মিশ্রর পরিচালনায় জিয়ো তো আয়সে জিয়ো (১৯৮১)। ১৯৮২ সালে, গৌতম মুখোপাধ্যায়ের বাংলা ছবি ত্রয়ীর বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্যের দরুণ দেবশ্রী টালিগঞ্জের প্রথম সারিতে উঠে আসেন। আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে নব্বই দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বাংলা ছবির সর্বপ্রধান অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।[7] পরবর্তী কালে সিনেমায় যেমন হয় (১৯৯৪), উনিশে এপ্রিল (১৯৯৪), অসুখ (১৯৯৯), দেখা (২০০১), শিল্পান্তর (২০০২), প্রহর (২০০৪) - এই সব ছবিতে তার অভিনয় প্রতিভা উচ্চপ্রশংসিত হয়।