Loading AI tools
হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দূরদেশ (হিন্দি শিরোনাম: গেহরি চোট, অনু. গভীর আঘাত) অমৃশ সাঙ্গাল ও এহতেশাম পরিচালিত ১৯৮৩ সালের ভারত-বাংলাদেশ-কানাডার যৌথ প্রযোজিত[1] হিন্দি ভাষার অপরাধ-নাট্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্র নাদিম ও ববিতার জন্য বলিউডে প্রথম অভিনীত[1][2][3][4] এবং প্রথিতযশা অভিনেতা ডেভিড আব্রাহামের মৃত্যুর পূর্বে শেষ অভিনীত চলচ্চিত্র। একইসাথে এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ববিতা বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বপ্রথম বলিউডে প্রবেশ করেন।[1] বলিউডে 'গেহরি চোট' নামে মুক্তির পর ছায়াছবিটি বাংলাদেশে মুক্তির উদ্দেশে বাংলায় ভাষান্তর করা হয়।[1]
দূরদেশ | |
---|---|
পরিচালক | অমৃশ সাঙ্গাল এহতেশাম |
প্রযোজক | শামিম আহমেদ জগদীশ বাহরুশ |
রচয়িতা | সুরাজ সানিম |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | উষা খান্না |
চিত্রগ্রাহক | কে. কে. মহাজন |
সম্পাদক | গোবিন্দ ডালওয়াড়ি |
প্রযোজনা কোম্পানি | ফ্রেন্ডস ফিল্মস (কানাডা) ইন্টারন্যাশনাল এহতেশাম প্রোডাকশন্স (বাংলাদেশ) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪০ মিনিট |
দেশ | কানাডা ভারত বাংলাদেশ |
ভাষা | হিন্দি বাংলা |
অরুন খান্না (শশী কাপুর) কানাডার টরন্টোর একজন অনাবাসী ভারতীয় যিনি শোভা (শর্মিলা ঠাকুর) নামক এক ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন। তাদের রাজু (রাজ বাব্বার) নামক একটি ছেলে ও পিংকি (ববিতা) নামক একটি মেয়ে আছে। শোভা কানাডার পশ্চিমা জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে ব্যর্থ হন এবং ঘটনাক্রমে ব্যক্তিগত সচিবের সাথে গোপন সম্পর্ক থাকার সন্দেহ করায় পরবর্তীতে অরুনের থেকে আলাদা হয়ে যান। শোভা নিজের ছেলেকে সাথে নিয়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অন্যদিকে অরুন তাদের মেয়ে পিংকিকে নিয়ে কানাডায় থেকে যান। কুড়ি বছর পর পিংকি মানসিক রোগাক্রান্ত খুনি টনি (নাদিম বেগ) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী চক্র দ্বারা অপহৃত হওয়ার পর তাদের পরিবার একত্র হয়। টনি পিংকির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তাকে ভালোবেসে ফেলে। পিংকি প্রথমে তাকে বাধা কিন্তু পরে সেও টনিকে ভালোবেসে ফেলে। রাজু যে কিনা তার বাবার পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞ তার মায়ের সাথে কানাডায় আসে। তার মা তাকে বলে অরুন তাদের এক পারিবারিক বন্ধু যার নিজ মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন। রেণুর (পারভীন ববি) সাহায্য নিয়ে রাজু পিংকির অপহরণকারীদের খুঁজে পায়। রাজু দ্রুত আবিষ্কার করে অরুন আসলে তার বাবা এবং পিংকি তার বোন। অপহরণ চক্র রাজুর সাথে যোগাযোগ করে এবং রাজা অপহরণকারীদের কাছে তাদের দাবিকৃত পরিমান অর্থ তুলে দেয়। টনির মনিব (ডেভিড আব্রাহাম চেলুকার) টনি পিংকির খুব কাছে চলে এসেছে উপলব্ধি করার পরে পিংকিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। টনি হস্তক্ষেপ করে এবং মনিবকে মেরে ফেলার পর পিংকিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। টনি ও পিংকি একটি কটেজে লুকায় এবং তার মনিবের লোকেরা তাদের খুঁজে পাওয়ার পর বন্দুকসহ ঘিরে ধরে। রাজু ও তার পরিবারও তখন সেখানে পৌঁছে যায় এবং লোকদের সাথে লড়াই করে। পিংকি তার বাবাকে দেখতে পেয়ে তার দিকে ছুটে যায় অন্যদিকে টনি ও মনিবের লোকেদের মাঝে গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। টনি বন্দুকের গুলি থেকে পিংকিকে বাঁচাতে তার নিকট ছুটে যায়। রাজু ও রেণু গুন্ডাদের মেরে ফেলার পর টনির মৃত্যুর আগে পিংকি স্বীকার করে যে সে টনিকে ভালোবাসে। সবশেষে পিংকি তার বাবা, মা ও ভাইয়ের সাথে মিলিত হয়।
দূরদেশ | |
---|---|
কর্তৃক চলচ্চিত্র সঙ্গীত | |
মুক্তির তারিখ | ১৯৮৩ |
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত |
দৈর্ঘ্য | ২২:৪৮ |
ভাষা | হিন্দি, বাংলা |
এই ছায়াছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন উষা খান্না ও কামাল জোশি, গানের কথা লিখেছেন ইন্দিওয়ার।[5] চলচ্চিত্রের বাংলা সংস্করণে সংগীত পরিচালনা করেছেন গোলাম হোসেন লিটু। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
চলচ্চিত্রের গানের তালিকা (হিন্দি) | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "ইয়ারন মেরে ইয়ার সে মিলো" (দৃশ্যে ছিলেন পারভীন ববি) | আশা ভোঁসলে | ৪:১৬ |
২. | "আপ তো আইসে নে থে" (দৃশ্যে ছিলেন পারভীন ববি ও রাজ বাব্বার) | লতা মঙ্গেশকর ও কে জে যেসুদাস | ৫:১৩ |
৩. | "দুশমানি না কারো সানাম" (দৃশ্যে ছিলেন নাদিম বেগ ও ববিতা) | লতা মঙ্গেশকর | ৪:৪৯ |
৪. | "রুখ যা সাথী (পুরুষ)" (দৃশ্যে ছিলেন শশী কাপুর ও শর্মিলা ঠাকুর) | আনোয়ার | ৪:১৭ |
৫. | "রুখ যা সাথী (মহিলা)" (দৃশ্যে ছিলেন শশী কাপুর ও শর্মিলা ঠাকুর) | লতা মঙ্গেশকর | ৪:১৩ |
চলচ্চিত্রের গানের তালিকা (বাংলা) | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "তুমি আমারে ভালোবাসো" ("আপ তো আইসে নে থে" এর বাংলা সংস্করণ) | সাবিনা ইয়াসমিন ও সৈয়দ আব্দুল হাদী | ৫:১০ |
২. | "দুশমনি করো না প্রিয়তম[6]" ("দুশমনি না কারো সানাম" এর বাংলা সংস্করণ) | সাবিনা ইয়াসমিন | ৪:৪৫ |
৩. | "যেওনা সাথী" ("রুখ যা সাথী" এর পুরুষ ও মহিলা কণ্ঠ) | সাবিনা ইয়াসমিন ও সৈয়দ আব্দুল হাদী[7] | ৩:৪৬ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.