দার্শনিক ক্ষুর
মূলনীতি বা গড়পড়তা নিয়ম যা কোনও ঘটনার অসম্ভাব্য ব্যাখ্যাগুলিকে বাদ দিতে সাহায্য করে / From Wikipedia, the free encyclopedia
দর্শনশাস্ত্রের আলোচনায় ক্ষুর বলতে এমন একটি মূলনীতি বা গড়পড়তা নিয়মকে বোঝায় যা কোনও ঘটনার অসম্ভাব্য ব্যাখ্যাগুলিকে "চেঁছে ফেলতে" অর্থাৎ দূর করতে সাহায্য করে বা অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এড়াতে সাহায্য করে।[1][2][3]
নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য দার্শনিক ক্ষুর দেওয়া হল:
- অক্কামের ক্ষুর: অধিকতর সরল ব্যাখ্যাগুলির সঠিক হবার সম্ভাবনা বেশি; অপ্রয়োজনীয় বা অসম্ভাব্য পূর্বানুমান পরিহার করুন।
- হ্যানলনের ক্ষুর: যেখানে কোনও কিছুর ব্যাখ্যায় নির্বুদ্ধিতাকে পর্যাপ্ত কারণ হিসেবে গণ্য করা যায়, সেখানে কখনোই অপচিকীর্ষাকে কারণ হিসেবে গণ্য করবেন না।[4]
- হিচেন্সের ক্ষুর: যা কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই দাবি করা যায়, তা কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই নাকচ করা যায়।
- হিউমের শিরোশ্ছেদক: যা হয় তা থেকে যা হওয়া উচিত, তাতে উপনীত হওয়া যায় না। "যদি কোনও কারণ কোনও ফলাফল উৎপাদনে জন্য পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে হয় আমাদেরকে হয় সেই কারণটিকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, অথবা সেই কারণটিকে এমনভাবে বৈশিষ্ট্যায়িত করতে হবে যাতে সেটি ফলাফলের সাপেক্ষে ন্যায্য অনুপাতে গণ্য হয়।"[5][6]
- অ্যালডারের ক্ষুর: যদি কোনও কিছুকে পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণের দ্বারা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সেটি বিতর্কের যোগ্য নয়।[7]
- সাগানের আদর্শ: অসাধারণ দাবির জন্য অসাধারণ সাক্ষ্যপ্রমাণ আবশ্যক।
- পপারের খণ্ডনযোগ্যতা মূলনীতি: কোনও তত্ত্বকে যদি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে গণ্য করতে হয়, তাহলে সেটিকে অবশ্যই খণ্ডনযোগ্য হতে হবে।[8]
- গ্রাইসের ক্ষুর: কার্পণ্যের মূলনীতি হিসেবে ভাষিক ব্যাখ্যার জন্য বাগার্থগত প্রতিবেশের (semantic context) তুলনায় কথোপকথনমূলক ব্যঞ্জনার্থ বেশি পছন্দনীয়।[9][10]