দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা
পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা হল ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক জেলা। এই জেলার সদর আলিপুরে অবস্থিত। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উত্তর দিকে কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এই জেলাটি আয়তনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ও জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের ৭৩৯টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ষষ্ঠ। এই জেলার এক দিকে কলকাতা মহানগরীর একাংশ এবং অপর দিকে সুন্দরবন অঞ্চলের বনাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী গ্রামগুলির অবস্থান।[3] ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ চব্বিশ পরগনা জেলা বিভাজিত করে এই জেলাটি গঠন করা হয়।[4]
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের জেলা | |
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার ক্রমে: গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির, বোয়ালি রাজবাড়ি, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, সুন্দরবনের বাঘ,শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির, জটার দেউল | |
ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্রে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সীমানা | |
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২.১৮১৫২৬২° উত্তর ৮৮.৫৩৭৮০৪৮৪° পূর্ব / 22.1815262; 88.53780484 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
বিভাগ | প্রেসিডেন্সি |
প্রতিষ্ঠা | ১ মার্চ, ১৯৮০ |
সদর | আলিপুর |
সরকার | |
• মহকুমা | আলিপুর সদর, বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ |
• সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | ঠাকুরপুকুর মহেশতলা, বজবজ ১, বজবজ ২, বিষ্ণুপুর ১, বিষ্ণুপুর ২, ভাঙড় ১, ভাঙড় ২, সোনারপুর, বারুইপুর, জয়নগর ১, জয়নগর ২, কুলতলি, ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, বাসন্তী, গোসাবা, ফলতা, মগরাহাট ১, মগরাহাট ২, ডায়মন্ড হারবার ১, ডায়মন্ড হারবার ২, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর ১, মথুরাপুর ২, কুলপি, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর |
• লোকসভা কেন্দ্র | জয়নগর (তফসিলি জাতি), মথুরাপুর (তফসিলি জাতি), ডায়ন্ড হারবার, যাদবপুর (আংশিক), কলকাতা দক্ষিণ (আংশিক) |
• বিধানসভা কেন্দ্র | গোসাবা (তফসিলি জাতি), বাসন্তী (তফসিলি জাতি), কুলতলি (তফসিলি জাতি), পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার (তফসিলি জাতি), জয়নগর (তফসিলি জাতি), বারুইপুর পূর্ব (তফসিলি জাতি), ক্যানিং পশ্চিম (তফসিলি জাতি), ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব (তফসিলি জাতি), মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর (তফসিলি জাতি), সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, সোনারপুর উত্তর, মহেশতলা, বজবজ |
আয়তন | |
• মোট | ৯,৯৬০ বর্গকিমি (৩,৮৫০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৮১,৬১,৯৬১ |
• জনঘনত্ব | ৮২০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
জনপরিসংখ্যান | |
• সাক্ষরতা | ৭৮.৫৭ % |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৪৯ ♀ / ১০০০ ♂ |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা[1][2] |
• অতিরিক্ত সরকারি | ইংরেজি[1] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
প্রধান সড়কপথ | ১২ নং জাতীয় সড়ক, ১ নং রাজ্য সড়ক, ৩ নং রাজ্য সড়ক |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৭৫০ মিমি |
ওয়েবসাইট | www |
৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করা[5] সুন্দরবনের কিছু অংশ, যার নামকরণ করা হয়েছে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, এই জেলায় অবস্থিত। এই উদ্যানটি একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। এখানকার সজনেখালিতে, লুথিয়ান দ্বীপে ও হ্যালিডে দ্বীপে বর্তমানে আরও তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এছাড়া, পাথরপ্রতিমার কাছে ভগবতপুর কুমির প্রকল্প এবং সজনেখালিতে পাখিরালয় রয়েছে। ১৯৮৯ সালে সুন্দরবনের এই ভারতীয় অংশকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ঘোষণা করা হয়।