দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
অ্যান্টার্কটিকায় ভারতীয় গবেষণা কেন্দ্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সময়ে স্থাপিত হয়।
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী | |
---|---|
গবেষণা কেন্দ্র | |
স্থানাঙ্ক: ৭০°০৫′৩৭″ দক্ষিণ ১২°০০′০০″ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
সরকার | |
• ধরন | মেরু গবেষণা সংস্থা |
• শাসক | ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা কর্মসূচি |
অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্র |

অবস্থান
স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্যদের মধ্যে পর্যালোচনা হয় এবং আকাশ থেকে তোলা চিত্র, নরওয়ে মেরু সংস্থানের তৈরী মানচিত্র ও তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্যদের অভিমত, এই সব কিছু গভীর ভাবে পরীক্ষা করা হয়। তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্যরা গবেষণা স্থাপনের স্থান হিসেবে ৭০°০২′০০″ দক্ষিণ ১২°০০′০০″ পূর্ব স্থানাঙ্ককে নির্বাচিত করলেও হেলিকপ্টারের দ্বারা সমীক্ষার মাধ্যমে সেই স্থানের নিকটবর্তী লেনিনগ্রাদকোলেন ও কুর্ক্লাকেন বরফের চাদরের দক্ষিণ প্রান্তে ফাটলের চিহ্ন পাওয়া যায়। এই কারণে, ঐ স্থানকে বাতিল করে তার দশ কিলোমিটার দূরে ৭০°০৫′৩৭″ দক্ষিণ ১২°০০′০০″ পূর্ব স্থানাঙ্কে একটি ফাটলবিহীন স্থানে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। [১]
স্থাপনা
১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৭শে ডিসেম্বর অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণের কিছু সময়ের মধ্যেই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। আট সপ্তাহের শেষে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তারিখে দলটি স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ করে। এই গবেষণা কেন্দ্রের নাম রাখা হয় দক্ষিণ গঙ্গোত্রী।[২]
কাঠামো
শক্তি
আবর্জনা ব্যবস্থাপনা
দূষণমুক্ত অ্যান্টার্কটিকায় বর্জ্য পদার্থের সঠিক ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী অনুযায়ী তরল বর্জ্য পদার্থ নালার মাধ্যমে মাটির তলায় নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা করা হয়। কঠিন বর্জ্য পদার্থকে জমা করে অ্যান্টার্কটিকা থেকে ফেরত আনা হয়। [১]
সংযোগ
ডাক ব্যবস্থা
১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী দক্ষিণ গঙ্গোত্রী গবেষণা কেন্দ্রে গোয়া ডাক বিভাগের অধিনে একটি খোলা হয়। এই উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছয়। বৈজ্ঞানিক তথা সপ্তম ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্য সুধাকর রাও এই ডাকঘরের প্রথম অবৈতনিক অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। [৩][৪]
আবহাওয়া
১৯৮৮ সালের দক্ষিণ গঙ্গোত্রী-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ১২.৪ (৫৪.৩) |
−১ (৩০) |
−০.২ (৩১.৬) |
−৮.৭ (১৬.৩) |
−৬ (২১) |
−৭ (১৯) |
−১১.৪ (১১.৫) |
−৮ (১৮) |
−৮.১ (১৭.৪) |
−১১ (১২) |
−৪.৬ (২৩.৭) |
১.২ (৩৪.২) |
১২.৪ (৫৪.৩) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ৪.১ (৩৯.৪) |
−৪.৩ (২৪.৩) |
−৬.৮ (১৯.৮) |
−১৩.১ (৮.৪) |
−১৭.১ (১.২) |
−১২.৬ (৯.৩) |
−১৭.৪ (০.৭) |
−২১.৫ (−৬.৭) |
−২০.২ (−৪.৪) |
−১৩.২ (৮.২) |
−৭.৪ (১৮.৭) |
−১.৭ (২৮.৯) |
−১০.৯ (১২.৩) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | −১.৪ (২৯.৫) |
−৬.৩ (২০.৭) |
−৯.৮ (১৪.৪) |
−১৭ (১) |
−২০.৪ (−৪.৭) |
−১৫ (৫) |
−২১ (−৬) |
−২৫.৪ (−১৩.৭) |
−২৫.১ (−১৩.২) |
−১৭.৯ (−০.২) |
−১৩.৩ (৮.১) |
−৫.৬ (২১.৯) |
−১৪.৮ (৫.২) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | −৫.৩ (২২.৫) |
−৮.৯ (১৬.০) |
−১৩.৩ (৮.১) |
−২১.৪ (−৬.৫) |
−২৪.৫ (−১২.১) |
−১৭.৯ (−০.২) |
−২৪.৮ (−১২.৬) |
−৩০.৩ (−২২.৫) |
−২৯.৩ (−২০.৭) |
−২১.৬ (−৬.৯) |
−১৮.৪ (−১.১) |
−১০ (১৪) |
−১৮.৮ (−১.৮) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | −১২.৫ (৯.৫) |
−১৬.৩ (২.৭) |
−২০.৫ (−৪.৯) |
−৩০.৭ (−২৩.৩) |
−৩৫.১ (−৩১.২) |
−৩১ (−২৪) |
−৩৪ (−২৯) |
−৪২.২ (−৪৪.০) |
−৩৯.৫ (−৩৯.১) |
−২৮ (−১৮) |
−২৫.১ (−১৩.২) |
−১৩.৬ (৭.৫) |
−৪২.২ (−৪৪.০) |
উৎস: [৫] |
ব্যবহার
তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের বারো জন সদস্য সর্বপ্রথম ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত দক্ষিণ গঙ্গোত্রীতে শীতকাল কাটান। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৈত্রী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হলে নবম ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সময় ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ গঙ্গোত্রী গবেষণা কেন্দ্রকে বাতিল করা হয়। [৬]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.