দক্ষিণ কোরিয়ার জনপরিসংখ্যান
From Wikipedia, the free encyclopedia
এটি জনসংখ্যার ঘনত্ব, জাতিগততা, শিক্ষার স্তর, জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক অবস্থা, ধর্মীয় অনুষঙ্গ এবং জনসংখ্যার অন্যান্য দিক সহ দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যার একটি পরিসংখ্যান।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপরিসংখ্যান | |
---|---|
জনসংখ্যা | ৫,১৮,৪৪,৮৩৪ (২০২২ প্রাক্কলন) |
বৃদ্ধিহার | ০.২৪% (২০২২ প্রাক্কলন) |
জন্মহার | ৫.৩ জন্ম/১,০০০ জন (২০২১) |
মৃত্যুহার | ৭.১২ মৃত্যু/১,০০০ জন (২০২২ প্রাক্কলন) |
গড় আয়ু | ৮২.৯৭ বছর |
• পুরুষ | ৭৯.৮৮ বছর |
• মহিলা | ৮৬.২৪ বছর (২০২২ প্রাক্কলন) |
গর্ভহার | ০.৮১ শিশুজন্ম/নারী (২০২১) |
শিশুমৃত্যু হার | ২.৮৭ মৃত্যু/১,০০০ জন্ম |
গড় অভিবাসন হার | ২.৬৩ অভিবাসী/১,০০০ জনে (২০২২ প্রাক্কলন) |
বয়স গঠন | |
০-১৪ বছর | ১২.০২% |
৬৫ বছর-তদুর্ধ্ব | 16.৭৪% |
লিঙ্গানুপাত | |
মোট | ১.০১ পুরুষ/মহিলা (২০২২ প্রাক্কলন) |
জন্মকালে | ১.০৫ পুরুষ/মহিলা |
অনুর্ধ্ব ১৫ | ১.০৫ পুরুষ/মহিলা |
৬৫-তদুর্ধ্ব | ০.৬ পুরুষ/মহিলা |
জাতীয়তা | |
জাতীয়তা | কোরিয়ান |
প্রধান জাতিগোষ্ঠী | কোরিয়ান (৯৯.৯৯%) |
ভাষা | |
কথিত | কোরীয় |
২০১২ সালের জুনে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৫০ মিলিয়ন,[1] যা ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ সর্বোচ্চ প্রায় ৫১ মিলিয়নে পৌঁছায়।[2] তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দক্ষিণ কোরিয়ার মোট উর্বরতার হার (টিএফআর) হ্রাস পেয়েছে। কিছু গবেষকের মতে, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে একবিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ দেশটির জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে প্রায় ২৮ মিলিয়ন।[3]
২০১৮ সালের অক্টোবরে দেশটিতে মাত্র ২৬,৫০০ শিশু এবং সেবছর সর্বমোট আনুমানিক ৩,২৫,০০০ শিশুর জন্মের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় উর্বরতা আন্তর্জাতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে ওঠে। কারণ এর ফলে দেশটি বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারবিশিষ্ট দেশ হয়ে ওঠে।[4][5][6] দক্ষিণ কোরিয়ার উর্বরতার নাটকীয় হ্রাসের আরও একটি ইঙ্গিত হিসাবে, ২০২০ সালে দেশটি জন্মের তুলনায় বেশি মৃত্যু রেকর্ড করেছে। ফলে আধুনিক রেকর্ড শুরু হওয়ার পর এটি ছিল প্রথম জনসংখ্যা হ্রাস।[7][8]
বিশ্লেষকরা দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য নিম্ন জন্মহার ও দেশটির উচ্চ অর্থনৈতিক বৈষম্যের পাশাপাশি জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, ওইসিডি সদস্যদেশের হিসেবে নিম্ন মজুরি, কাজের সুযোগের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান আবাসন-ব্যয়কে দায়ী করেন।[9] ফলস্বরূপ, অনেক দক্ষিণ কোরিয়ান তাদের দেশকে "হেল জোসন[lower-alpha 1] বলে অভিহিত করেছে এবং গত দুই প্রজন্ম নিজেদেরকে "সামফো"[lower-alpha 2] এবং "এন-ফো"[lower-alpha 3] বলে মনে করেছে।[10][11] এছাড়া ওইসিডি ও অন্যান্য উন্নত বিশ্বের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি।[12]